ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানীশংকৈলে কবরস্থান পরিস্কার করার নামে গাছ কাটার অভিযোগ

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরশহরের সরকারী একমাত্র কবরস্থানের বিভিন্ন জঙ্গল পরিস্কারের অন্তরালে সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গাছ কেটে আত্বসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠে স্বয়ং পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর সরকারের বিরুদ্বে।
শিবদিঘী পাচপীর কবরস্থানটি পৌরশহরের মধ্যে পড়ায় কার্যত কবরস্থানটি রক্ষাবেক্ষন করার দায়িত্ব বর্তায় পৌরসভার উপর। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হঠাৎ করেই কবরস্থানের জঙ্গল পরিস্কার করতে দেখা যায় কিছু শ্রমিককে। সে-সময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেয়র’র নির্দেশে তার আস্থাভাজন কিছু ব্যক্তির তত্বাবধানে তারা কবরস্থানের বিভিন্ন জঙ্গল পরিস্কার করছেন। পাশাপাশি কবরস্থানে থাকা জিংগোল,জাম কাঠাল সহ প্রায় ২০টি গাছ কেটে নেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট গাছের মোটা মোটা ডাল গুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এ বিষয়ে পৌরসভায় কোন ধরনের রেজুলেশন কিংবা আলোচনা করা হয় নি। এমনকি একাধিক কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগে থেকে জানে না কবরস্থান পরিস্কার বা গাছ কাটা হবে। মেয়র তার একক সিদ্বান্তে এ কাজ করেছেন।
সরকারী বিধি মোতাবেক সরকারী সম্পত্তির উপর থাকা গাছ কাটতে হলে উপজেলার নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রসেসিং শেষে বনবিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে নিলামের মাধ্যমে তা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মেয়র আলমগীর সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কবরস্থানের গাছ কেটে আত্বসাৎ করেছেন বলে জনমনে অভিযোগ উঠেছে।
রানীশংকৈল বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কবরস্থানের গাছ কাটার বিষয়ে তারা কিছু জানে না।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের ০১৭২৩১৮৪১৮০ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার নম্বরটি বারবার বন্ধ পাওয়া গেছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রানীশংকৈলে কবরস্থান পরিস্কার করার নামে গাছ কাটার অভিযোগ

আপডেট টাইম ০৫:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল পৌরশহরের সরকারী একমাত্র কবরস্থানের বিভিন্ন জঙ্গল পরিস্কারের অন্তরালে সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে গাছ কেটে আত্বসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠে স্বয়ং পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আলমগীর সরকারের বিরুদ্বে।
শিবদিঘী পাচপীর কবরস্থানটি পৌরশহরের মধ্যে পড়ায় কার্যত কবরস্থানটি রক্ষাবেক্ষন করার দায়িত্ব বর্তায় পৌরসভার উপর। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হঠাৎ করেই কবরস্থানের জঙ্গল পরিস্কার করতে দেখা যায় কিছু শ্রমিককে। সে-সময় তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেয়র’র নির্দেশে তার আস্থাভাজন কিছু ব্যক্তির তত্বাবধানে তারা কবরস্থানের বিভিন্ন জঙ্গল পরিস্কার করছেন। পাশাপাশি কবরস্থানে থাকা জিংগোল,জাম কাঠাল সহ প্রায় ২০টি গাছ কেটে নেওয়া হয় এবং অবশিষ্ট গাছের মোটা মোটা ডাল গুলো কেটে নেওয়া হয়েছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, এ বিষয়ে পৌরসভায় কোন ধরনের রেজুলেশন কিংবা আলোচনা করা হয় নি। এমনকি একাধিক কাউন্সিলরের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা আগে থেকে জানে না কবরস্থান পরিস্কার বা গাছ কাটা হবে। মেয়র তার একক সিদ্বান্তে এ কাজ করেছেন।
সরকারী বিধি মোতাবেক সরকারী সম্পত্তির উপর থাকা গাছ কাটতে হলে উপজেলার নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রসেসিং শেষে বনবিভাগের অনুমতি সাপেক্ষে নিলামের মাধ্যমে তা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু মেয়র আলমগীর সরকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই কবরস্থানের গাছ কেটে আত্বসাৎ করেছেন বলে জনমনে অভিযোগ উঠেছে।
রানীশংকৈল বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, কবরস্থানের গাছ কাটার বিষয়ে তারা কিছু জানে না।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র আলমগীর সরকারের ০১৭২৩১৮৪১৮০ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার নম্বরটি বারবার বন্ধ পাওয়া গেছে।