ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মন্ত্রিসভায় রদবদল: বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন ৪ জন

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক : প্রশাসনিক কর্ম-তৎপরতা বাড়ানো, সরকারের গতিশীলতা বাড়াতে এ বছর মন্ত্রিসভা রদবদলের দিকে ঝুঁকেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রী হিসেবে আজ মঙ্গলবার শপথ নিতে বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল। এছড়া রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলী ও টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হিসেবে মোস্তাফা জব্বারও বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত গওয়া গেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তার পদটি শূন্যই রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত।
এছাড়া সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদ খালি আছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আজ সোমবার বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
এদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব এর ফোন আমি পেয়েছি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাব।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। কখরও লোভ করিনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন ।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনপদ লক্ষ্মীপুরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ কে এম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য। প্রবীণ এ রাজনীতিবীদ দু’বারের এমপি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘এ সুখবরের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীপুরবাসী আশায় বুক বেঁধেছে। আমরা দীর্ঘদিন মন্ত্রীত্ব বঞ্চিত ছিলাম। এবার পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন ভাবনায় এগুনো যাবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, এ খবর লক্ষ্মীপুরের ১৭ লাখ মানুষের জন্য আনন্দের। আমরা উন্নয়নে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। এবার গণমুখী আরও বেশ কিছু বৃহৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হবে। আমাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে বলে আশা করছি।
মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়ার বিষয়ে জানতে ফোন করে অভিনন্দন জানানো হলে মোস্তফা জব্বার ধন্যবাদ জানান। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আপনাকে ফোন করা হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জব্বার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই বলব না, আমার মুখ বন্ধ, আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নেন।’
মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি। তাকে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা যুক্ত করার পথপ্রদর্শক মনে করা হয়। তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকশিত হয় যা প্রথম বাংলা কিবোর্ড এবং ইউনিকোড আসার পূর্বপর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে।

এদিকে, রাজবাড়ী-১ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীও বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন। সোমবার ফোন পেয়ে তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দলের সিনিয়র, ত্যাগী ও বেশ কয়েকজন তৃণমূলের পরিচ্ছন্ন নেতাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী ও পূর্ণমন্ত্রীসহ কমপক্ষে ৬ জন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘বর্তমান মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, এমন দু’জন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। এছাড়া তথ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৯ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ৩১ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৫জন উপদেষ্টা ও একজন বিশেষ দূত রয়েছেন।

এর আগে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সরকারে নতুন মুখ বা দপ্তর পরিবর্তন হয়েছে তিন দফা। ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় যোগ হয় নতুন পাঁচ মুখ। প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হন একজন। সেদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি তার আগের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই দায়িত্ব পালন করছেন।
একই দিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।
এরপর মন্ত্রিসভায় আরও একটি রদবদল হয়। সেটি চমকের তৈরি করে দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ পান তার নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মন্ত্রিসভায় রদবদল: বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন ৪ জন

আপডেট টাইম ০৭:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক : প্রশাসনিক কর্ম-তৎপরতা বাড়ানো, সরকারের গতিশীলতা বাড়াতে এ বছর মন্ত্রিসভা রদবদলের দিকে ঝুঁকেছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে মন্ত্রী হিসেবে আজ মঙ্গলবার শপথ নিতে বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল। এছড়া রাজবাড়ীর এমপি কাজী কেরামত আলী ও টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হিসেবে মোস্তাফা জব্বারও বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত গওয়া গেছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক মারা যাওয়ার পর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তার পদটি শূন্যই রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এখন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বরত।
এছাড়া সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর পদ খালি আছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ আজ সোমবার বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন দিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী হিসেবে বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
এদিকে, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের এমপি একেএম শাহজাহান কামাল বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিব এর ফোন আমি পেয়েছি। আগামীকাল সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাব।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে মানুষের জন্য রাজনীতি করছি। কখরও লোভ করিনি। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিরামহীনভাবে কাজ করছেন ।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া জনপদ লক্ষ্মীপুরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ কে এম শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য। প্রবীণ এ রাজনীতিবীদ দু’বারের এমপি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ‘এ সুখবরের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীপুরবাসী আশায় বুক বেঁধেছে। আমরা দীর্ঘদিন মন্ত্রীত্ব বঞ্চিত ছিলাম। এবার পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন ভাবনায় এগুনো যাবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, এ খবর লক্ষ্মীপুরের ১৭ লাখ মানুষের জন্য আনন্দের। আমরা উন্নয়নে কিছুটা পিছিয়ে ছিলাম। এবার গণমুখী আরও বেশ কিছু বৃহৎ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরে শেখ হাসিনার হাত আরও শক্তিশালী হবে। আমাদের জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে বলে আশা করছি।
মন্ত্রিসভায় ডাক পাওয়ার বিষয়ে জানতে ফোন করে অভিনন্দন জানানো হলে মোস্তফা জব্বার ধন্যবাদ জানান। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আপনাকে ফোন করা হয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জব্বার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই বলব না, আমার মুখ বন্ধ, আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নেন।’
মোস্তফা জব্বার বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সাবেক সভাপতি। তাকে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা যুক্ত করার পথপ্রদর্শক মনে করা হয়। তার প্রতিষ্ঠানের বিজয় বাংলা কিবোর্ড ১৯৮৮ সালে প্রকশিত হয় যা প্রথম বাংলা কিবোর্ড এবং ইউনিকোড আসার পূর্বপর্যন্ত বহুল ব্যবহৃত হয়েছে।

এদিকে, রাজবাড়ী-১ আসনে চারবারের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীও বঙ্গভবনে ডাক পেয়েছেন। সোমবার ফোন পেয়ে তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মন্ত্রিসভায় রদবদল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘দলের সিনিয়র, ত্যাগী ও বেশ কয়েকজন তৃণমূলের পরিচ্ছন্ন নেতাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিমন্ত্রী ও পূর্ণমন্ত্রীসহ কমপক্ষে ৬ জন মন্ত্রিসভায় যুক্ত হবেন।’
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘বর্তমান মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, এমন দু’জন প্রতিমন্ত্রীকে পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। এছাড়া তথ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৯ জন। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ ৩১ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রীর পদমর্যাদায় ৫জন উপদেষ্টা ও একজন বিশেষ দূত রয়েছেন।

এর আগে, ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সরকারে নতুন মুখ বা দপ্তর পরিবর্তন হয়েছে তিন দফা। ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রিসভায় যোগ হয় নতুন পাঁচ মুখ। প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হন একজন। সেদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি তার আগের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই দায়িত্ব পালন করছেন।
একই দিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।
এরপর মন্ত্রিসভায় আরও একটি রদবদল হয়। সেটি চমকের তৈরি করে দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ পান তার নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসন।