ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক \ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী জগতে আসেন। এরই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসব মুখোর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ।

সোমবার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রঙ্গন, শান্তীনগর, আশ্রমপাড়া, কালিবাড়ী, দূর্গাবাড়ী, রোড সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে এই সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। সকাল ৭টায় প্রতিমা স্থাপন, ১০টায় পঞ্জিকা অনুযায়ী মন্ত্র পাঠ, সকাল ১১টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, বেলা ২টায় প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং রাতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়।

রোববার মধ্যরাতে প্রতিমা স্থাপন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর চরণামৃত নেবেন ভক্তরা। সকাল নয়টায় হয় বাণী অর্চনা। পুরোহিতরা ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’এ মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে আরাধনা করে পূজার আচার পালন করেন ভক্তরা। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেন। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা হয় অনেকস্থানে।
উল্লেখ্য সন্ধ্যার পর বিভিন্ন পূজা মন্ডপে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত

আপডেট টাইম ০৭:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক \ হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা রাজহাঁসে চেপে দেবী সরস্বতী জগতে আসেন। এরই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসব মুখোর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা ।

সোমবার ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় গোবিন্দ জিউ মন্দির প্রঙ্গন, শান্তীনগর, আশ্রমপাড়া, কালিবাড়ী, দূর্গাবাড়ী, রোড সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে এই সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। সকাল ৭টায় প্রতিমা স্থাপন, ১০টায় পঞ্জিকা অনুযায়ী মন্ত্র পাঠ, সকাল ১১টায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, বেলা ২টায় প্রসাদ বিতরণ করা হয় এবং রাতে আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়।

রোববার মধ্যরাতে প্রতিমা স্থাপন করে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সূচনা হয়। তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই, ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর চরণামৃত নেবেন ভক্তরা। সকাল নয়টায় হয় বাণী অর্চনা। পুরোহিতরা ‘সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমল লোচনে/বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যংদেহী নমোহস্তুতে’এ মন্ত্র উচ্চারণ করে বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে আরাধনা করে পূজার আচার পালন করেন ভক্তরা। এরপর ভক্তরা পুষ্পাঞ্জলি দেন। তাদের বিশ্বাস, দেবী খুশি হলে বিদ্যা ও বুদ্ধি অর্জিত হবে। দেবীর সামনে ‘হাতেখড়ি’ দিয়ে শিশুদের বিদ্যাচর্চার সূচনা করা হয় অনেকস্থানে।
উল্লেখ্য সন্ধ্যার পর বিভিন্ন পূজা মন্ডপে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।