ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অফিসে প্রেমের ক্ষেত্রে যেসব কথা না বলাই ভালো

???????????????????????

সারাদিন ডেস্ক::
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রেমে পড়া বর্তমানে খুবই সহজাত একটি বিষয়। একই সঙ্গে বিষয়টি একটু বিব্রতকরও।

ভল্ট ডটকম এর একটি গবেষণা মতে, ৫৭ শতাংশ লোক তাদের কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময় কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রেমে পড়েছেন এবং ১৬ শতাংশ লোক তাদের কর্মক্ষেত্রে সেই সহকর্মী প্রেমিক বা প্রেমিকাটিকেই বিয়ে করেছেন।

যদিও এখনও অফিসে ডেটিং করাটা অফিসের নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী বলেই ধরে নেয়া হয়, তারপরও আপনি যদি তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতেই হবে এবং জানতে হবে কর্মক্ষেত্রে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্নগুলো করা উচিত আর কোন প্রশ্নগুলো করা উচিত না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার এই ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কটি অফিসের অন্যান্য কাজের সঙ্গে গোলমেল পাকিয়ে ফেলা যাবে না। কিছু আবেগময় কথা আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে আপনাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী অপমান বোধ করতে পারে এবং এমনকি এতে করে আপনি অফিস থেকে বহিস্কারও হতে পারেন। তাই অফিসে এসব কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

‘আপনি বিবাহিত তাতে আমার কিছু আসে যায় না’

ভল্ট ডটকম এর একটি জরিপ মতে, ৫৩ শতাংশ কর্মজীবি কমপক্ষে তাদের একজন বিবাহিত সহকর্মীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার মাধ্যমে থাপ্পর খেয়েছেন। সত্যি কথা বলতে গেলে বিবাহিত পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে প্রেমের স্বপ্ন দেখাটা নাটক সিনেমাতেই মানায়। অফিসে তা প্রয়োগ করতে যাবেন না।

‘মিষ্টি কিছু বলো’

আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারে যদি আপনার বস ইতিবাচক থেকে থাকে তারপরও পছন্দের মানুষটির সঙ্গে অফিসে সুমিষ্ট আলাপে জড়াবেন না। এতে করে আপনার সহকর্মীরা বিরক্ত বোধ করতে পারেন। মিষ্টি আলাপগুলো বাড়ির জন্যই জমিয়ে রাখুন।

‘অফিসে আমার সঙ্গে কথা বলো না’

যখন আপনি অফিসে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছেন তখন আবার নিজের পেশাদারীত্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দুজনের মধ্যে অত্যাধিক শীতল ব্যবহার সন্দেহ বাড়াতে পারে। অফিসে তার সঙ্গে অন্যান্য সহকর্মীর মতোই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলুন।

‘তুমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন?’

অফিসে সম্পর্ক করাটা এমনিতেই যথেষ্ট জটিল। এক্ষেত্রে কেবল দুইজন জড়িত থাকাটাই ভালো। তৃতীয় কোনো ব্যক্তিটিকে এক্ষেত্রে টেনে আনবেন না। ত্রিভুজ প্রেম উপন্যাসের জন্যই রাখুন।

‘তুমিই সেরা’

কর্মক্ষেত্রে কাউকে অগ্রাধিকার দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ভালোবাসেন বলেই কোনো ব্যক্তির প্রতি পক্ষপাত প্রদর্শন করা উচিত হবে না। এটি সন্দেহ জাগিয়ে তুলতে পারে বা গুরুতর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘চলো অফিসে মজা করি’

এটি সত্যিই একটি ভয়ঙ্কর ধারণা। যদি কেউ আপনাকে অফিসে কোনো অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলে তাহলে এর ব্যাখ্যা দেয়া আপনার জন্য কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘চলো এখনই সবাইকে বলে দেই’

এটি আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আপনাদের সম্পর্ক সম্পর্কে যদি কাউকে জানাতেই চান তবে সবার আগে আপনার বসকে জানান। আপনাদের রোম্যান্স সম্পর্কে কাউকে বলার আগে এ বিষয়ে কোম্পানির নীতি কি তা জেনে নিন।

‘হানি’, ‘সুইটহার্ট’ ‘বেবি’

প্রণয়ঘটিত এসব ছদ্দনাম নিঃসন্দেহে অনেক আদুরে। কিন্তু এগুলো বেডরুমেই শুনতে ভালো লাগে। অফিসের জন্য এই শব্দগুলো উপযুক্ত নয়।

‘চলো একসঙ্গে অফিসে সেলফি তুলি’

আপনি যদি আপনাদের সম্পর্কটি গোপন রাখতে চান তবে এটি করা মোটেও ঠিক হবে না। বিশেষ করে যদি আপনার কলিগরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অনুসরণকারী হয়। যদি আপনাদের সম্পর্কটি সবাই জেনে থাকে, তাহলে এটি সত্যিই সত্যিই ভালোই দেখায়।

‘চলো তোমাকে সাহায্য করা যাক’

প্রত্যেকেই তার সঙ্গী সঙ্গিনীর সফলতা দেখতে চায়। কিন্তু অফিসে আপনাকে একই সঙ্গে আপনার নৈতিকতা ধরে রাখতে হবে। তাই তার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রদর্শণ করা যাবে না।

‘আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি’

ভালোবাসা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটি এমন কিছু নয় যা আপনাকে অফিসে প্রচার করা উচিত। সহকর্মীকে ভালোবাসার কথা জানাতে অফিস সঠিক সময় ও সঠিক স্থান নাও হতে পারে।

‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’

অফিস কাজের জায়গা, বিয়ের প্রস্তাবের জায়গা নয়। তাই অফিসে সবচেয়ে পছন্দের মানুষ হিসেবে আপনি বদনাম না কুড়াতে চান, তাহলে অফিসে পছন্দের মানুষটিকে এ প্রশ্ন করবেন না।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

অফিসে প্রেমের ক্ষেত্রে যেসব কথা না বলাই ভালো

আপডেট টাইম ১০:১৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::
কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রেমে পড়া বর্তমানে খুবই সহজাত একটি বিষয়। একই সঙ্গে বিষয়টি একটু বিব্রতকরও।

ভল্ট ডটকম এর একটি গবেষণা মতে, ৫৭ শতাংশ লোক তাদের কর্মজীবনের কোনো না কোনো সময় কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর প্রেমে পড়েছেন এবং ১৬ শতাংশ লোক তাদের কর্মক্ষেত্রে সেই সহকর্মী প্রেমিক বা প্রেমিকাটিকেই বিয়ে করেছেন।

যদিও এখনও অফিসে ডেটিং করাটা অফিসের নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী বলেই ধরে নেয়া হয়, তারপরও আপনি যদি তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন, তাহলে আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতেই হবে এবং জানতে হবে কর্মক্ষেত্রে প্রেমের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্নগুলো করা উচিত আর কোন প্রশ্নগুলো করা উচিত না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার এই ব্যক্তিগত প্রেমের সম্পর্কটি অফিসের অন্যান্য কাজের সঙ্গে গোলমেল পাকিয়ে ফেলা যাবে না। কিছু আবেগময় কথা আপনার সহকর্মীদের কাছ থেকে আপনাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারে, আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী অপমান বোধ করতে পারে এবং এমনকি এতে করে আপনি অফিস থেকে বহিস্কারও হতে পারেন। তাই অফিসে এসব কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।

‘আপনি বিবাহিত তাতে আমার কিছু আসে যায় না’

ভল্ট ডটকম এর একটি জরিপ মতে, ৫৩ শতাংশ কর্মজীবি কমপক্ষে তাদের একজন বিবাহিত সহকর্মীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়ার মাধ্যমে থাপ্পর খেয়েছেন। সত্যি কথা বলতে গেলে বিবাহিত পুরুষ বা মহিলার সঙ্গে প্রেমের স্বপ্ন দেখাটা নাটক সিনেমাতেই মানায়। অফিসে তা প্রয়োগ করতে যাবেন না।

‘মিষ্টি কিছু বলো’

আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারে যদি আপনার বস ইতিবাচক থেকে থাকে তারপরও পছন্দের মানুষটির সঙ্গে অফিসে সুমিষ্ট আলাপে জড়াবেন না। এতে করে আপনার সহকর্মীরা বিরক্ত বোধ করতে পারেন। মিষ্টি আলাপগুলো বাড়ির জন্যই জমিয়ে রাখুন।

‘অফিসে আমার সঙ্গে কথা বলো না’

যখন আপনি অফিসে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলছেন তখন আবার নিজের পেশাদারীত্বের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দুজনের মধ্যে অত্যাধিক শীতল ব্যবহার সন্দেহ বাড়াতে পারে। অফিসে তার সঙ্গে অন্যান্য সহকর্মীর মতোই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলুন।

‘তুমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলে কেন?’

অফিসে সম্পর্ক করাটা এমনিতেই যথেষ্ট জটিল। এক্ষেত্রে কেবল দুইজন জড়িত থাকাটাই ভালো। তৃতীয় কোনো ব্যক্তিটিকে এক্ষেত্রে টেনে আনবেন না। ত্রিভুজ প্রেম উপন্যাসের জন্যই রাখুন।

‘তুমিই সেরা’

কর্মক্ষেত্রে কাউকে অগ্রাধিকার দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ভালোবাসেন বলেই কোনো ব্যক্তির প্রতি পক্ষপাত প্রদর্শন করা উচিত হবে না। এটি সন্দেহ জাগিয়ে তুলতে পারে বা গুরুতর বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘চলো অফিসে মজা করি’

এটি সত্যিই একটি ভয়ঙ্কর ধারণা। যদি কেউ আপনাকে অফিসে কোনো অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলে তাহলে এর ব্যাখ্যা দেয়া আপনার জন্য কষ্টদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে।

‘চলো এখনই সবাইকে বলে দেই’

এটি আসলে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। আপনাদের সম্পর্ক সম্পর্কে যদি কাউকে জানাতেই চান তবে সবার আগে আপনার বসকে জানান। আপনাদের রোম্যান্স সম্পর্কে কাউকে বলার আগে এ বিষয়ে কোম্পানির নীতি কি তা জেনে নিন।

‘হানি’, ‘সুইটহার্ট’ ‘বেবি’

প্রণয়ঘটিত এসব ছদ্দনাম নিঃসন্দেহে অনেক আদুরে। কিন্তু এগুলো বেডরুমেই শুনতে ভালো লাগে। অফিসের জন্য এই শব্দগুলো উপযুক্ত নয়।

‘চলো একসঙ্গে অফিসে সেলফি তুলি’

আপনি যদি আপনাদের সম্পর্কটি গোপন রাখতে চান তবে এটি করা মোটেও ঠিক হবে না। বিশেষ করে যদি আপনার কলিগরা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার অনুসরণকারী হয়। যদি আপনাদের সম্পর্কটি সবাই জেনে থাকে, তাহলে এটি সত্যিই সত্যিই ভালোই দেখায়।

‘চলো তোমাকে সাহায্য করা যাক’

প্রত্যেকেই তার সঙ্গী সঙ্গিনীর সফলতা দেখতে চায়। কিন্তু অফিসে আপনাকে একই সঙ্গে আপনার নৈতিকতা ধরে রাখতে হবে। তাই তার প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ প্রদর্শণ করা যাবে না।

‘আমি তোমাকে খুবই ভালোবাসি’

ভালোবাসা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু এটি এমন কিছু নয় যা আপনাকে অফিসে প্রচার করা উচিত। সহকর্মীকে ভালোবাসার কথা জানাতে অফিস সঠিক সময় ও সঠিক স্থান নাও হতে পারে।

‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’

অফিস কাজের জায়গা, বিয়ের প্রস্তাবের জায়গা নয়। তাই অফিসে সবচেয়ে পছন্দের মানুষ হিসেবে আপনি বদনাম না কুড়াতে চান, তাহলে অফিসে পছন্দের মানুষটিকে এ প্রশ্ন করবেন না।