ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পীরগঞ্জে হত দরিদ্রদের অর্থ বিত্তবানদের পকেটে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন রাজস্ব উদ্বৃত্ত খাত থেকে হত দরিদ্র মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় নলকুপ স্থাপনের জন্যে ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ নেয়। ওইসব অর্থ বাস্তবে দরিদ্র মানুষের আঙ্গিনায় কাগজ কলমে নলকুপ দেখিয়ে সিংহভাগ টাকা বিত্তবান ও প্রশাসনের পকেট ভারি হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র মানুষেরা নলকুপ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানাযায়, ওই অর্থ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া নলকুপ স্থাপনের নামে ২ লক্ষ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ১ লক্ষ ৭০ হাজার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম ১ লক্ষ ৭০ হাজার, ১০টি ইউ‘পি চেয়ারম্যান ১৯ লক্ষ, ১নং ভোমরাদহ ইউ‘পি সদস্য ললিত চন্দ্র রায় ১ লক্ষ, ভাতারমারী ফার্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণাগার নির্মাণে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিয়ে কোন কাজ করেননি বলে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে। এসব সরকারি অর্থ সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, উপজেলা প্রকৌশলী (এল.জি.ই.ডি) ইসমাইল হোসেন ও প্রকল্প কমিটির সভাপতিগণ আত্মসাৎ করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। নলকুপগুলো যাদের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে সরেজমিন তদন্ত করলে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি শতভাগ প্রমাণিত হবে বলে এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের ধারনা। বিষয়টি এলাকার অভিজ্ঞ মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পীরগঞ্জে হত দরিদ্রদের অর্থ বিত্তবানদের পকেটে

আপডেট টাইম ০৭:১৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মে ২০১৮

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন রাজস্ব উদ্বৃত্ত খাত থেকে হত দরিদ্র মানুষের বাড়ির আঙ্গিনায় নলকুপ স্থাপনের জন্যে ২৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা অর্থ বরাদ্দ নেয়। ওইসব অর্থ বাস্তবে দরিদ্র মানুষের আঙ্গিনায় কাগজ কলমে নলকুপ দেখিয়ে সিংহভাগ টাকা বিত্তবান ও প্রশাসনের পকেট ভারি হয়েছে। সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র মানুষেরা নলকুপ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানাযায়, ওই অর্থ বছরে উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম জিয়া নলকুপ স্থাপনের নামে ২ লক্ষ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ১ লক্ষ ৭০ হাজার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম ১ লক্ষ ৭০ হাজার, ১০টি ইউ‘পি চেয়ারম্যান ১৯ লক্ষ, ১নং ভোমরাদহ ইউ‘পি সদস্য ললিত চন্দ্র রায় ১ লক্ষ, ভাতারমারী ফার্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণাগার নির্মাণে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিয়ে কোন কাজ করেননি বলে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানাগেছে। এসব সরকারি অর্থ সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.বি.এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, উপজেলা প্রকৌশলী (এল.জি.ই.ডি) ইসমাইল হোসেন ও প্রকল্প কমিটির সভাপতিগণ আত্মসাৎ করেছেন বলে একাধিক সূত্রে জানাগেছে। নলকুপগুলো যাদের নামে বিতরণ দেখানো হয়েছে সরেজমিন তদন্ত করলে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি শতভাগ প্রমাণিত হবে বলে এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের ধারনা। বিষয়টি এলাকার অভিজ্ঞ মহল সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।