ঢাকা ০৩:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প জাপানিদের কাছে তুলে ধরলো টোকিও দূতাবাস

শিপলু জামান, জাপান (টোকিও) থেকে : বাংলাদেশের ইতিহাস- ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং পর্যটন সম্পর্কে জাপানি নাগরিকদের অবহিত করা ও তাঁদের বাংলাদেশে ভ্রমণে আগ্রহী করার অভিপ্রায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিওর বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রান্ডিং বাংলাদেশ লক্ষ্য নিয়ে “বাংলাদেশ কালচার এন্ড ট্যুরিজম সেমিনার” নামক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও এবং সহযোগিতা করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রায় একশ জাপানি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশকে জাপানিদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির কর্পোরেট এডভাইজার তাদাশি সুগায়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও সবচেয়ে ভাল বন্ধু রাষ্ট্র। জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সহযোগী এবং খুব দ্রুত তারা আমাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারহিসাবে চিহ্নিত হবে- রাষ্ট্রদূত আশা করেন। রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র, কৃষ্টি -কালচার, সাহিত্য – সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় আগত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, জাপান এবং জাপানি মানুষ, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছে এবং দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দিন দিন আরো গভীর হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত, জাপানি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করার আহ্বান জানান। দূতাবাসের প্রথম সচিব জোবায়েদ হোসেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান, উৎসব, জীবন-জীবিকা, বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান সমূহ, ঐতিহ্যবাহী খাবার ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির প্রেসিডেন্ট মাসাতু কিতামুরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাস কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ কে একটি সুখি রাষ্ট্র হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এসময় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন শিল্প জাপানিদের কাছে তুলে ধরলো টোকিও দূতাবাস

আপডেট টাইম ০৫:৪০:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুলাই ২০১৮

শিপলু জামান, জাপান (টোকিও) থেকে : বাংলাদেশের ইতিহাস- ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং পর্যটন সম্পর্কে জাপানি নাগরিকদের অবহিত করা ও তাঁদের বাংলাদেশে ভ্রমণে আগ্রহী করার অভিপ্রায়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিওর বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রান্ডিং বাংলাদেশ লক্ষ্য নিয়ে “বাংলাদেশ কালচার এন্ড ট্যুরিজম সেমিনার” নামক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস, টোকিও এবং সহযোগিতা করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রায় একশ জাপানি নাগরিক উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশকে জাপানিদের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাই এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির কর্পোরেট এডভাইজার তাদাশি সুগায়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত অতিথিদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও সবচেয়ে ভাল বন্ধু রাষ্ট্র। জাপান বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় সহযোগী এবং খুব দ্রুত তারা আমাদের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদারহিসাবে চিহ্নিত হবে- রাষ্ট্রদূত আশা করেন। রাবাব ফাতিমা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র, কৃষ্টি -কালচার, সাহিত্য – সংস্কৃতি, ধর্মীয় সম্প্রীতি, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয় আগত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, জাপান এবং জাপানি মানুষ, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছে এবং দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক দিন দিন আরো গভীর হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত, জাপানি নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ করার আহ্বান জানান। দূতাবাসের প্রথম সচিব জোবায়েদ হোসেন বাংলাদেশের সংস্কৃতি, দর্শনীয় স্থান, উৎসব, জীবন-জীবিকা, বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষিত স্থান সমূহ, ঐতিহ্যবাহী খাবার ইত্যাদি বিষয়ে উপস্থাপনা করেন। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয় অনুষ্ঠানে। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ একাডেমির প্রেসিডেন্ট মাসাতু কিতামুরা এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাস কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ কে একটি সুখি রাষ্ট্র হিসাবে আখ্যায়িত করেন। এসময় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়