ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন পাটের অপেক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকেরা

ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট::ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভেলাজান, রাণীশৈংকেল উপজেলার গোগর, চাপোর, ভান্ডারা,হরিপুর উপজেলার বকুয়া ধীরগঞ্জ সহ পাঁচ উপজেলায় পাট কাটার শুরু হয়েছে। রুহিয়া থানা এলাকায়, রাধানাগর, ঘনিমহেশপুর সহ বেশ কিছু স্থানে ইতোমধ্যে পাট ধুয়ে শুকানের কাজে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা। নতুন পাট নিয়ে স্বপ্নে বুক বেঁধেছেন তারা। আগামী ১০ হতে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন পাট বাজারে আসবে এ আশা কৃষকের অপেক্ষায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এবারে জেলায় পাটচাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে।চাষিরা পাট কেটে পুকরের পানিতে মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রেখে ৭ থেকে ৮ দিন পর ধুয়ে শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন তারা। আর ক’দিন পরেই নতুন পাট বাজারে আসবে। দাম মোটামুটি থাকায় এবং ক্ষুদ্র পাটকল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পাটের আবাদ বেশি হচ্ছে। দেশি পাটের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য আবিষ্কার, পাটপণ্যের দ্বিগুণ রপ্তানি বৃদ্ধি, পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলকসহ ব্যবহারে বহুমাত্রিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে কৃষকরা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলেও তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। তাদের দাবি, সরকার যেন ধানের মত পাটেরও বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যাতে করে দালাল ও ফড়িয়ারা দাম নিয়ে সুযোগ নিতে না পারে। কৃষকরা বলেন, পাটের একবছর সুদিন এবং আরেক বছর দুর্দিন। তবে এবার চাষিরা পাটের সুদিনের প্রত্যাশায় বুক বেধেছেন বলে জানাচ্ছেন তারা
গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতে ডোবা নালা খালে পানি থাকায় জাগে একদিকে সুবিধা এবং অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কম হবে। ঠাকুরগাঁও উপজেলার মলানি গ্রামের কৃষক সামশুদ্দিন মন্ডল। তার মতো অনেক চাষির দাবি প্রতি মনে পাটের দাম ১৯শ’ টাকার ওপরে যেন পাটের দাম বাজারে থাকে। নইলে এবারো চাষিদের লোকসান গুণতে হবে। বর্তমানে পুরাতন মানসম্পন্ন প্রতি মন পাটের দাম ১৮শ’ টাকা। চাষিরা পাটে ভাল দাম পাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে অন্য দিকে। আগের মত পাট চাষবাস হয়না বলে জানান সদর উপজেলার কৃষক হবিবর রহমান। অন্য দিকে, পীরগঞ্জ , রানীশৈংকেল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, উপজেলার যে সব এলাকাজুড়ে পাট আবাদ হতো এখন বেশির ভাগে আম বাগনে পরিনিত হয়োছে।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন পাটের অপেক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকেরা

আপডেট টাইম ০৫:১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ অগাস্ট ২০১৮

ঠাকুরগাঁও করেসপন্ডেন্ট::ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভেলাজান, রাণীশৈংকেল উপজেলার গোগর, চাপোর, ভান্ডারা,হরিপুর উপজেলার বকুয়া ধীরগঞ্জ সহ পাঁচ উপজেলায় পাট কাটার শুরু হয়েছে। রুহিয়া থানা এলাকায়, রাধানাগর, ঘনিমহেশপুর সহ বেশ কিছু স্থানে ইতোমধ্যে পাট ধুয়ে শুকানের কাজে ব্যস্ত এ অঞ্চলের কৃষকরা। নতুন পাট নিয়ে স্বপ্নে বুক বেঁধেছেন তারা। আগামী ১০ হতে ১৫ দিনের মধ্যে নতুন পাট বাজারে আসবে এ আশা কৃষকের অপেক্ষায়।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এবারে জেলায় পাটচাষ হয়েছে অনেক বেশি। জমিতে।চাষিরা পাট কেটে পুকরের পানিতে মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে রেখে ৭ থেকে ৮ দিন পর ধুয়ে শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন তারা। আর ক’দিন পরেই নতুন পাট বাজারে আসবে। দাম মোটামুটি থাকায় এবং ক্ষুদ্র পাটকল প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় পাটের আবাদ বেশি হচ্ছে। দেশি পাটের পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য আবিষ্কার, পাটপণ্যের দ্বিগুণ রপ্তানি বৃদ্ধি, পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যাগ বাধ্যতামূলকসহ ব্যবহারে বহুমাত্রিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে কৃষকরা বলছেন, সবকিছু ঠিক থাকলেও তাদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। তাদের দাবি, সরকার যেন ধানের মত পাটেরও বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দেয়। যাতে করে দালাল ও ফড়িয়ারা দাম নিয়ে সুযোগ নিতে না পারে। কৃষকরা বলেন, পাটের একবছর সুদিন এবং আরেক বছর দুর্দিন। তবে এবার চাষিরা পাটের সুদিনের প্রত্যাশায় বুক বেধেছেন বলে জানাচ্ছেন তারা
গত কয়েকদিনে বৃষ্টিপাতে ডোবা নালা খালে পানি থাকায় জাগে একদিকে সুবিধা এবং অন্যদিকে উৎপাদন খরচ কম হবে। ঠাকুরগাঁও উপজেলার মলানি গ্রামের কৃষক সামশুদ্দিন মন্ডল। তার মতো অনেক চাষির দাবি প্রতি মনে পাটের দাম ১৯শ’ টাকার ওপরে যেন পাটের দাম বাজারে থাকে। নইলে এবারো চাষিদের লোকসান গুণতে হবে। বর্তমানে পুরাতন মানসম্পন্ন প্রতি মন পাটের দাম ১৮শ’ টাকা। চাষিরা পাটে ভাল দাম পাওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে অন্য দিকে। আগের মত পাট চাষবাস হয়না বলে জানান সদর উপজেলার কৃষক হবিবর রহমান। অন্য দিকে, পীরগঞ্জ , রানীশৈংকেল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও, উপজেলার যে সব এলাকাজুড়ে পাট আবাদ হতো এখন বেশির ভাগে আম বাগনে পরিনিত হয়োছে।