ঢাকা ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার একযুগ পরে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত পীরগঞ্জে ২২০ পিস টার্পেন্টাডল সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক পীরগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেল্পার ও শিশু নিহত পীরগঞ্জে জুয়ার ঘাটি থেকে ৪ জুয়ারী আটক পীরগঞ্জে ৮০ পিস টার্পেন্টাডল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার ভারতীয় হাই কমিশনার সস্ত্রীক অরেঞ্জ ভ্যালি দেখতে পীরগঞ্জে আসছেন পীরগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার সোনার হরিণ ধরতে পেরে আবেগাপ্লুত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পূজা তিগ্যা সহ দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা, ঠাকুরগাঁওয়ে আবেদন ফরমের ১২০ টাকা খরচেই পুলিশে চাকরি

ভূমি অফিসের চুরি যাওয়া ৬টি আলমিরা উদ্ধার হলেও ১ জনকে বাদ দিয়ে মামলা-জনমনে অন্তহীন প্রতিক্রিয়া

সারাদিন ডেস্ক::
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস থেকে চুরি যাওয়া ৬ টি স্টিলের আলমিরা অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর কয়েকজনের বাড়ী থেকে উদ্ধার হলেও মামলা এবং জব্দ তালিকায় ১ জনের নাম থাকায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি বাসা-বাড়ী থেকে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ৬ টি আলমিরা উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ জানান, ঈদুল আযহার আগে উপজেলা ভুমি আফিসের একটি কক্ষে ৬ টি নতুন স্টিলের আলমিরা রেখে দরজায় তালা দিয়ে ছুটিতে যায় কর্মচারীরা। এরই মধ্যে দরজার তালা ভেঙ্গে আলমিরাগুলো চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ছুটি শেষে অফিস খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে চুরি যাওয়া ২ টি আলমিরা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুহুল আমিন মনির নামে একজনকে আটক করা হয়।পরে আরো ৪ টি আলমিরা উদ্ধার করে পুলিশ। চোরাইমাল উদ্ধারের পর উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাহীন আলম বাদী হয়ে ১. রুহুল আমীন মনির(৩২)-পিতা গোলাম ফারুক ২.রাব্বী পকু(২৪)-পিতা আয়ুব আলী সহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের নামে এবং চোরাইমাল ক্রয়কারী (৩) সিরাজুল ইসলাম(৪০)পিতা-মৃত নইর উদ্দিন ৪. শ্রী রনজিৎ অকশা(৩৫) পিতা বৈদ্যনাথ- অলিম্পিয়া রাইস মিল কোয়ার্টার, ৫. বাসেদ(৪৫)পিতা মো. আলম-ভেলাতৈর ভদ্রপাড়া ও ৬. মো. রুবেল(২২) পিতা-হারুন অর রশিদ-রাইসমিল পাড়া এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলেও অপর ক্রেতা মোছা. পেয়ারা বেগম ম্বামী আব্দুর রশিদ-জগথা এর নাম এজাহার ভুক্ত করেননি। মামলা নং ১১,তাং ০৪.০৯.১৮ইং। ধারা-৪৬১/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড। অথচ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ’র উপস্থিতিতে পুলিশের এসআই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে প্রথমেই আব্দুর রশিদের বাসা থেকে চোরাই আলমিরা উদ্ধার করেন। যা এলাকার অসংখ্য লোকজন প্রত্যক্ষ করেন। পরবর্তীতে এজাহারে অজ্ঞাতকারনে ঐ ক্রেতার নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ব্যাক্তি এ বিষয়ে জানার জন্য আমাদের সংবাদ সারাদিন অফিসে ফোন করে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। এ বিষযে মামলার বাদি শাহিন আলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এলাকার লোকজনকে আমি চিনিনা, আমাদের সহকর্মী তহশিলদার রায়হান ভাই ও আনিসুল ভাই এজাহার রেডি করেছে, আমি সই করেছি মাত্র তাই এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে ভুমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডাব্লিউএম রায়হান শাহ বলেন, বিষযটি এমন হয়েছে আমার জানা নেই, তবে আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছিলাম, যারা চোর ও চোরাইমালের ক্রেতা তাদের সবাইকে আসামী করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিষয়টি কিভাবে কি হলো এবং কেন হলো এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বিদ্যুৎ পৃষ্ঠ হয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ভূমি অফিসের চুরি যাওয়া ৬টি আলমিরা উদ্ধার হলেও ১ জনকে বাদ দিয়ে মামলা-জনমনে অন্তহীন প্রতিক্রিয়া

আপডেট টাইম ০৮:১২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সারাদিন ডেস্ক::
জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস থেকে চুরি যাওয়া ৬ টি স্টিলের আলমিরা অবশেষে ৪ সেপ্টেম্বর কয়েকজনের বাড়ী থেকে উদ্ধার হলেও মামলা এবং জব্দ তালিকায় ১ জনের নাম থাকায় জনমনে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, ৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে শহরের হাসপাতাল এলাকার কয়েকটি বাসা-বাড়ী থেকে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া ৬ টি আলমিরা উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
পীরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস প্রধানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ জানান, ঈদুল আযহার আগে উপজেলা ভুমি আফিসের একটি কক্ষে ৬ টি নতুন স্টিলের আলমিরা রেখে দরজায় তালা দিয়ে ছুটিতে যায় কর্মচারীরা। এরই মধ্যে দরজার তালা ভেঙ্গে আলমিরাগুলো চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। ছুটি শেষে অফিস খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে চুরি যাওয়া ২ টি আলমিরা উদ্ধার করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুহুল আমিন মনির নামে একজনকে আটক করা হয়।পরে আরো ৪ টি আলমিরা উদ্ধার করে পুলিশ। চোরাইমাল উদ্ধারের পর উপজেলা ভুমি অফিসের নাজির কাম ক্যাশিয়ার শাহীন আলম বাদী হয়ে ১. রুহুল আমীন মনির(৩২)-পিতা গোলাম ফারুক ২.রাব্বী পকু(২৪)-পিতা আয়ুব আলী সহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের নামে এবং চোরাইমাল ক্রয়কারী (৩) সিরাজুল ইসলাম(৪০)পিতা-মৃত নইর উদ্দিন ৪. শ্রী রনজিৎ অকশা(৩৫) পিতা বৈদ্যনাথ- অলিম্পিয়া রাইস মিল কোয়ার্টার, ৫. বাসেদ(৪৫)পিতা মো. আলম-ভেলাতৈর ভদ্রপাড়া ও ৬. মো. রুবেল(২২) পিতা-হারুন অর রশিদ-রাইসমিল পাড়া এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলেও অপর ক্রেতা মোছা. পেয়ারা বেগম ম্বামী আব্দুর রশিদ-জগথা এর নাম এজাহার ভুক্ত করেননি। মামলা নং ১১,তাং ০৪.০৯.১৮ইং। ধারা-৪৬১/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড। অথচ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডব্লিউএম রায়হান শাহ’র উপস্থিতিতে পুলিশের এসআই মকবুল হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে প্রথমেই আব্দুর রশিদের বাসা থেকে চোরাই আলমিরা উদ্ধার করেন। যা এলাকার অসংখ্য লোকজন প্রত্যক্ষ করেন। পরবর্তীতে এজাহারে অজ্ঞাতকারনে ঐ ক্রেতার নাম না থাকার বিষয়টি নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন ব্যাক্তি এ বিষয়ে জানার জন্য আমাদের সংবাদ সারাদিন অফিসে ফোন করে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। এ বিষযে মামলার বাদি শাহিন আলমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এলাকার লোকজনকে আমি চিনিনা, আমাদের সহকর্মী তহশিলদার রায়হান ভাই ও আনিসুল ভাই এজাহার রেডি করেছে, আমি সই করেছি মাত্র তাই এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। তবে ভুমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এডাব্লিউএম রায়হান শাহ বলেন, বিষযটি এমন হয়েছে আমার জানা নেই, তবে আমি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছিলাম, যারা চোর ও চোরাইমালের ক্রেতা তাদের সবাইকে আসামী করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিষয়টি কিভাবে কি হলো এবং কেন হলো এ বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান।