ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘৬২ থেকে ১৮’ আইয়ুব বাচ্চু, ঘুমাতে যাচ্ছেন মায়ের কবরের পাশেই

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::কিংবদন্তী ব্যান্ড সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মায়ের কবরের পাশেই চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে শায়িত হবেন ।
এ বিষয়ে বাচ্চুর ভগ্নিপতি ওমর উদ্দিন আনসারী বাংলা কাগজকে জানিয়েছেন , শনিবার সকালেই মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। এরপর আইয়ুব বাচ্চুর নানাবাড়ি মাদারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ।
পরে বাদ আসর চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি জানাজা হবে। তারপর মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। ১৩ বছর ধরে বাইশ মহল্লা কবরস্থানে বাচ্চুর মায়ের কবরটি দেখভাল করেন জাফর আহমদ।
তিনি বলেন, বাচ্চু ভাই যতবারই চট্টগ্রামে আসতেন, মায়ের কবর জিয়ারত করতেন। তারপর আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যেতেন।
জাফর আরও বলেন, তার মায়ের কবরের বামপাশের জায়গাটি নির্বাচন করেছে বাচ্চুর মামারা। আগামী শনিবার জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুকে এখানেই দাফন করা হবে বলে জেনেছি।
কিংবদন্তী ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ৫৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকাল সোয়া ৯টায় তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে ৯টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীত অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
এ ছাড়াও কাজ করেছেন মিক্সড অ্যালবামসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ১৬ অক্টোবর রংপুরে জিলা স্কুল মাঠে জীবনের শেষ কনসার্টটি করেন তিনি।
১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যামে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন এ শিল্পী। এরপর ১৯৮৬ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্ত গোলাপ’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেন এ কিংবদন্তি। তারপর আর থামতে হয়নি, গেয়ে গেছেন… শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় সব গান।
প্রথম গান– হারানো বিকেলের গল্প
প্রথম একক অ্যালবাম– রক্তগোলাপ (১৯৮৬)
ব্যান্ড অ্যালবাম– এলআরবি (১৯৯২),সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), যুদ্ধ (২০১১)।
একক অ্যালবাম– রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)।
জিমি হেন্ড্রিক্স এবং জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হতেন আইয়ুব বাচ্চু। রাজধানীর মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার আছে একটি নিজস্ব মিউজিক স্টুডিও।

এক নজরে আইয়ুব বাচ্চু :
নাম– আইয়ুব বাচ্চু রবিন
জন্ম– ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে।
মৃত্যু– ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায়।
পেশা– গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী।
সংগীত জীবন শুরু– প্রথমে ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু করেন ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। মাঝে যুক্ত হন সোলস ব্যান্ডে। পরে ১৯৯১ সালে গঠন করেন তার নিজের ব্যান্ড ‘এলআরবি’।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

‘৬২ থেকে ১৮’ আইয়ুব বাচ্চু, ঘুমাতে যাচ্ছেন মায়ের কবরের পাশেই

আপডেট টাইম ০৪:২৭:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::কিংবদন্তী ব্যান্ড সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মায়ের কবরের পাশেই চট্টগ্রাম নগরীর বাইশ মহল্লা কবরস্থানে শায়িত হবেন ।
এ বিষয়ে বাচ্চুর ভগ্নিপতি ওমর উদ্দিন আনসারী বাংলা কাগজকে জানিয়েছেন , শনিবার সকালেই মরদেহ চট্টগ্রামে আনা হচ্ছে। এরপর আইয়ুব বাচ্চুর নানাবাড়ি মাদারবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ।
পরে বাদ আসর চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি জানাজা হবে। তারপর মায়ের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হবে। ১৩ বছর ধরে বাইশ মহল্লা কবরস্থানে বাচ্চুর মায়ের কবরটি দেখভাল করেন জাফর আহমদ।
তিনি বলেন, বাচ্চু ভাই যতবারই চট্টগ্রামে আসতেন, মায়ের কবর জিয়ারত করতেন। তারপর আমার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে চলে যেতেন।
জাফর আরও বলেন, তার মায়ের কবরের বামপাশের জায়গাটি নির্বাচন করেছে বাচ্চুর মামারা। আগামী শনিবার জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুকে এখানেই দাফন করা হবে বলে জেনেছি।
কিংবদন্তী ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) ৫৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সকাল সোয়া ৯টায় তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পরে ৯টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে সঙ্গীত অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুর আগে দীর্ঘ সঙ্গীত জীবনে শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান।
এ ছাড়াও কাজ করেছেন মিক্সড অ্যালবামসহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রেও। মৃত্যুর মাত্র দুই দিন আগে ১৬ অক্টোবর রংপুরে জিলা স্কুল মাঠে জীবনের শেষ কনসার্টটি করেন তিনি।
১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যামে সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন এ শিল্পী। এরপর ১৯৮৬ সালে তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্ত গোলাপ’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেন এ কিংবদন্তি। তারপর আর থামতে হয়নি, গেয়ে গেছেন… শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক জনপ্রিয় সব গান।
প্রথম গান– হারানো বিকেলের গল্প
প্রথম একক অ্যালবাম– রক্তগোলাপ (১৯৮৬)
ব্যান্ড অ্যালবাম– এলআরবি (১৯৯২),সুখ (১৯৯৩), তবুও (১৯৯৪), ঘুমন্ত শহরে (১৯৯৫), ফেরারী মন (১৯৯৬), স্বপ্ন (১৯৯৬), যুদ্ধ (২০১১)।
একক অ্যালবাম– রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)।
জিমি হেন্ড্রিক্স এবং জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হতেন আইয়ুব বাচ্চু। রাজধানীর মগবাজারে ‘এবি কিচেন’ নামে তার আছে একটি নিজস্ব মিউজিক স্টুডিও।

এক নজরে আইয়ুব বাচ্চু :
নাম– আইয়ুব বাচ্চু রবিন
জন্ম– ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে।
মৃত্যু– ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায়।
পেশা– গায়ক, লিড গিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার ও প্লেব্যাক শিল্পী।
সংগীত জীবন শুরু– প্রথমে ১৯৭৮ সালে যাত্রা শুরু করেন ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে। মাঝে যুক্ত হন সোলস ব্যান্ডে। পরে ১৯৯১ সালে গঠন করেন তার নিজের ব্যান্ড ‘এলআরবি’।