ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮

সারাদিন ডেস্ক::সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৮ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট ও নাটোরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারের পাশে লেগুনা-পাবনা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়জন মারা যান। আহত হন আরো দুজন। নিহত ও আহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী। নিহতদের মধ্যে লেগুনার চালক উল্লাপাড়ার পাগলা গ্রামের  রেজাউল ইসলাম (৩২), কয়ড়া কেষ্টপুর গ্রামের সবুজ হোসেন (৩০), মোহাম্মাদ আলী (৩৫), জয়ান উদ্দীন (৩৪), নুরে ইসলাম (৩৩), ফজলুল হক (৪৫), উল্লাপাড়ার বড়হর গ্রামের আক্তার হোসেন (৪২) ও বেতকান্দি গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫)। নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি। আহতদেরকে প্রথমে উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল সাখাওয়াম মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পুলিশ পাবনা এক্সপ্রেসের কোচটি আটক করেছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূরে আলম জানান, লেগুনাটি চাকলসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে উল্লাপাড়া থেকে হাটিকুমরুল যাচ্ছিল। অপর দিকে পাবনা এক্সপ্রেসটি ঢাকা থেকে পাবনায় ফিরছিল। বোয়ালিয়া বাজারের গরুর হাটের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, উল্লাপাড়া থানা পুলিশ ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানা চত্বরে রাখা হয়েছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বোয়ালিয়া বাজারে গরুরহাট থাকায় গরুবাহী বেশ কিছু নছিমন ও করিমন মহাসড়কের উপরে দাঁড়িয়ে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনার পর পর বগুড়া-নগরবাড়ী সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এই পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানায় মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের গণিগঞ্জে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ছয়জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। হতাহতদের সকলেই লেগুনাযাত্রী। গতকাল সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছিল। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি পরিবহনই সড়ক থেকে  ছিটকে খাদে পড়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে দিরাই আসে লিমন পরিবহন। সকাল সাড়ে ৬টায় দিরাই থেকে আবার যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় গাড়িটি। একই সময় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের মদনপুর এলাকায় নেমে লেগুনাযোগে বাড়ি আসছিল কয়েকজন গার্মেন্টকর্মী। গণিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পূর্ব দিকে পড়ে যায়। বাসটি রাস্তার পশ্চিমে উল্টে খাদে পড়ে যায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানালেন, এ পর্যন্ত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে। অন্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ সদরের ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিউটন দাস তালুকদার জানালেন, সকালে এসে তারা নিহতদের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আহত কয়েকজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের দালাল বাজারে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষে খুশি বেগম নামে এক নারী নিহত ও একজন আহত হয়। নিহত খুশি বেগম সদর উপজেলার গঙ্গাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। গতকাল বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিএনজি অটোরিকশা করে গঙ্গাপুর থেকে দালাল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন খুশি বেগম। অটোরিকশাটি দালালবাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে দ্রুতগতিতে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় খুশি বেগমসহ দুজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে মারিয়া তাসনিম (১১)র মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বনপাড়া মহিষভাঙ্গা এলাকার পাটোয়ারী তেল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারিয়া ডিএমপির কদমতলী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিলের মেয়ে। ঈদের ছুটি কাটাতে তারা গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায় যাচ্ছিল।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সার্জেন্ট সারোয়ার হোসেন জানান,  বৃষ্টির সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী বাসকে সাইড দিতে গিয়ে হাইয়েজ ব্রান্ডের মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ফিডার সড়ক সংলগ্ন গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ১১ বছরের মারিয়া মারা যায়। আহতদের বনপাড়া ও রাজশাহী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় পথচারী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার এসআই মলয়েন্দ্র নাথ জানান, গতকাল দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকার বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুফতা আক্তার (৬) ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামের মুক্ত শেখের ছেলে। এসআই বলেন, মুফতা তার বাবার সঙ্গে মহাসড়কের পাশে একটি সেলুনে চুল কাটাতে যায়। সেলুনে ভিড় থাকায় তার বাবা তাকে বসতে বলে বাইরে আসেন। পরে মেয়েটি বাবাকে খুঁজতে বের হয়ে রাস্তা পারাপারের সময় মোল্লাহাট থেকে বাগেরহাটগামী দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস মুফতাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮

আপডেট টাইম ০১:৪৮:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

সারাদিন ডেস্ক::সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ১৮ জন নিহত হয়েছে। গতকাল সিরাজগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, বাগেরহাট ও নাটোরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরো প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, গতকাল দুপুরে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজারের পাশে লেগুনা-পাবনা এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নয়জন মারা যান। আহত হন আরো দুজন। নিহত ও আহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী। নিহতদের মধ্যে লেগুনার চালক উল্লাপাড়ার পাগলা গ্রামের  রেজাউল ইসলাম (৩২), কয়ড়া কেষ্টপুর গ্রামের সবুজ হোসেন (৩০), মোহাম্মাদ আলী (৩৫), জয়ান উদ্দীন (৩৪), নুরে ইসলাম (৩৩), ফজলুল হক (৪৫), উল্লাপাড়ার বড়হর গ্রামের আক্তার হোসেন (৪২) ও বেতকান্দি গ্রামের আব্দুল মান্নান (৪৫)। নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি। আহতদেরকে প্রথমে উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল সাখাওয়াম মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পুলিশ পাবনা এক্সপ্রেসের কোচটি আটক করেছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে উল্লাপাড়া থানার উপপরিদর্শক নূরে আলম জানান, লেগুনাটি চাকলসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে উল্লাপাড়া থেকে হাটিকুমরুল যাচ্ছিল। অপর দিকে পাবনা এক্সপ্রেসটি ঢাকা থেকে পাবনায় ফিরছিল। বোয়ালিয়া বাজারের গরুর হাটের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, উল্লাপাড়া থানা পুলিশ ও হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। নিহতদের লাশ হাইওয়ে থানা চত্বরে রাখা হয়েছে।  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বোয়ালিয়া বাজারে গরুরহাট থাকায় গরুবাহী বেশ কিছু নছিমন ও করিমন মহাসড়কের উপরে দাঁড়িয়ে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে দুর্ঘটনার পর পর বগুড়া-নগরবাড়ী সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশের প্রচেষ্টায় প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এই পথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া থানায় মামলা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সুনামগঞ্জ-দিরাই সড়কের গণিগঞ্জে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ছয়জন নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছে। হতাহতদের সকলেই লেগুনাযাত্রী। গতকাল সকাল ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছিল। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের গণিগঞ্জ এলাকায় দুই পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুটি পরিবহনই সড়ক থেকে  ছিটকে খাদে পড়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাতে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে দিরাই আসে লিমন পরিবহন। সকাল সাড়ে ৬টায় দিরাই থেকে আবার যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় গাড়িটি। একই সময় ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ সিলেট সড়কের মদনপুর এলাকায় নেমে লেগুনাযোগে বাড়ি আসছিল কয়েকজন গার্মেন্টকর্মী। গণিগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়ে-মুচড়ে রাস্তার পূর্ব দিকে পড়ে যায়। বাসটি রাস্তার পশ্চিমে উল্টে খাদে পড়ে যায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানালেন, এ পর্যন্ত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে। অন্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
সুনামগঞ্জ সদরের ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা নিউটন দাস তালুকদার জানালেন, সকালে এসে তারা নিহতদের লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি আহত কয়েকজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ২-৩ জনের অবস্থা গুরুতর ছিল।
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুর-রায়পুর সড়কের দালাল বাজারে ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংর্ঘষে খুশি বেগম নামে এক নারী নিহত ও একজন আহত হয়। নিহত খুশি বেগম সদর উপজেলার গঙ্গাপুর এলাকার শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। গতকাল বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিএনজি অটোরিকশা করে গঙ্গাপুর থেকে দালাল বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন খুশি বেগম। অটোরিকশাটি দালালবাজার এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে দ্রুতগতিতে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় খুশি বেগমসহ দুজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, নাটোরের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে মারিয়া তাসনিম (১১)র মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও ৫ জন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে বনপাড়া মহিষভাঙ্গা এলাকার পাটোয়ারী তেল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মারিয়া ডিএমপির কদমতলী থানার সাব ইন্সপেক্টর আব্দুল জলিলের মেয়ে। ঈদের ছুটি কাটাতে তারা গ্রামের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায় যাচ্ছিল।
হাইওয়ে থানার পুলিশ সার্জেন্ট সারোয়ার হোসেন জানান,  বৃষ্টির সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী বাসকে সাইড দিতে গিয়ে হাইয়েজ ব্রান্ডের মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ফিডার সড়ক সংলগ্ন গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ১১ বছরের মারিয়া মারা যায়। আহতদের বনপাড়া ও রাজশাহী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের ফকিরহাটে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় পথচারী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার এসআই মলয়েন্দ্র নাথ জানান, গতকাল দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকার বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মুফতা আক্তার (৬) ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামের মুক্ত শেখের ছেলে। এসআই বলেন, মুফতা তার বাবার সঙ্গে মহাসড়কের পাশে একটি সেলুনে চুল কাটাতে যায়। সেলুনে ভিড় থাকায় তার বাবা তাকে বসতে বলে বাইরে আসেন। পরে মেয়েটি বাবাকে খুঁজতে বের হয়ে রাস্তা পারাপারের সময় মোল্লাহাট থেকে বাগেরহাটগামী দ্রুতগামী একটি মাইক্রোবাস মুফতাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।