ঢাকা ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষদের বোতাম ডানদিকে আর নারীদের বাঁদিকে থাকার রহস্য!

ডেস্ক:: নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যে কোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোর্টের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডান হাতও নাকি সেভাবেই থাকতো। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । এরপর তারই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়। পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেরাই পরে এসেছেন। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের নারীদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই নারীদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখা হতো। রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হতো তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হতো ডান দিকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়। পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়।সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। নারীরা যখন ঘোড়ায় চড়তো বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে। আরো একটি কারণ হলো, নারীরা যে পুরুষদের থেকে কোনো অংশে কম নয়, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরছেন। তারপরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই নারীরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন। দর্জিকে একসঙ্গে অনেক জামা বানাতে হতো। পুরুষ ও নারীদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরুষদের বোতাম ডানদিকে আর নারীদের বাঁদিকে থাকার রহস্য!

আপডেট টাইম ০৯:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০১৯

ডেস্ক:: নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যে কোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোর্টের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডান হাতও নাকি সেভাবেই থাকতো। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । এরপর তারই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়। পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেরাই পরে এসেছেন। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের নারীদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই নারীদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখা হতো। রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হতো তলোয়ার। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হতো ডান দিকে। আর নারীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়। পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তলোয়ার চালাতে সুবিধা হয়।সেই তলোয়ার গোঁজা থাকত বাঁ কোমরে। বের করার সময় তলোয়ার যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। নারীরা যখন ঘোড়ায় চড়তো বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে। আরো একটি কারণ হলো, নারীরা যে পুরুষদের থেকে কোনো অংশে কম নয়, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরছেন। তারপরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই নারীরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন। দর্জিকে একসঙ্গে অনেক জামা বানাতে হতো। পুরুষ ও নারীদের জামা যাতে মিশে না যায়, চট করে আলাদা করে নেওয়ার সুবিধার জন্যই এই ব্যবস্থা।