ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হরিপুরে সীমান্তবর্তী গ্রামের শামসুল হক মাস্টারের মৌমাছি বান্ধব বাড়ি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::
‘মৌমাছি, মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই। ”
বাস্তবে তাদের দাঁড়াবারও সময় নাই। ফুল থেকে মধু আহরণ করে জমাচ্ছে মৌমাছির দল।
এটা কোন বনে জঙ্গলে নয়, লোকালয়ে বাড়ির চার পাশে। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাবরি গ্রামের শামসুল হক ওরফে নেনকু মাস্টারের বাড়িটিতে। ঠাকুরগাঁও
জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০
কিলোমিটার দূরে হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাবরি গ্রামের নেনকু মাস্টারের বাড়িতে র্দীঘদিন থেকে ১২টি মৌচাক বাড়ির বাহিরে ও ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে।
এলাকার চারপাশ থেকে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করে চাক তৈরি করেছে মৌমাছির দল।
বাড়ির বিভিন্ন স্থানে মৌমাছিরা অবস্থান করায় নজর কাড়ছে এলাবাসীর। শামসুল হক ওরফে নেনকু মাস্টারের বাড়িটি মৌমাছি বান্ধব হওয়ায় আশপাশের এলাকার লোকজন প্রতিদিন বাড়িটিতে ভিড় জমাচ্ছেন মৌমাছি দেখতে ও মধু কেনার জন্য।
বাড়ির মালিক শামসুল হক মাস্টার জানান, মৌমাছি নিজেরাই তার বাড়িতে এসে বাসা বেঁধেছে বছর ১০ বছর আগে। এলাকার ও পরিবারের কেউ মৌমাছি গুলোকে বিরক্ত করে না আর মৌমাছিরাও তাদের আক্রমণ করে না বলে জানান তিনি।
মৌচাক থেকে প্রতিমাসে দুইবার মধু সংগ্রহ করেন বাড়ির মালিক। প্রতিবার ১২-২০ কেজি মধু সংগ্রহ করেন তিনি। এতে বছরে ২৪ বারে ৪শ’ কেজি মধু সংগ্রহ করেন বাড়ি মালিক।
মৌচাক মধু সংগ্রহের পর নিজে ভাগের অংশ ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করেন। এবং বাকি অর্ধেক নিয়ে যান মধু সংগ্রহকারীরা।
মৌমাছি সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও হ্যাডস্ কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের অধ্যক্ষ সফিউল আলম বলেন, পরিশ্রমী আদর্শ প্রাণী হিসেবে এদের সহজে আলাদা করা যায়। কারণ এরা নির্দিষ্ট বিধি বিধান ও সুশৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে হাজারও প্রজাতির মৌমাছি আছে। এদের মধ্যে এপিস সেরানা নামের মৌমাছি এদেশের গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায়। এরা সাধারণত গাছের গর্তে, বাসা, দালানের কার্নিশ, সানশেড, ইটের স্তুপ ও মাটির গর্তে বাসা বাঁধে। প্রতি চাকে একটি রাণী, শতাধিক পুরুষ মৌমাছি থাকে আর এদের নেতৃত্বে আরো ২৫-৩০ হাজার সৈনিক মৌমাছি মিলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে বলে জানান অধ্যক্ষ সফিউল আলম।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

হরিপুরে সীমান্তবর্তী গ্রামের শামসুল হক মাস্টারের মৌমাছি বান্ধব বাড়ি

আপডেট টাইম ১২:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি::
‘মৌমাছি, মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে দাঁড়াবার সময় তো নাই। ”
বাস্তবে তাদের দাঁড়াবারও সময় নাই। ফুল থেকে মধু আহরণ করে জমাচ্ছে মৌমাছির দল।
এটা কোন বনে জঙ্গলে নয়, লোকালয়ে বাড়ির চার পাশে। এমন দৃশ্য চোখে পড়বে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাবরি গ্রামের শামসুল হক ওরফে নেনকু মাস্টারের বাড়িটিতে। ঠাকুরগাঁও
জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০
কিলোমিটার দূরে হরিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ডাবরি গ্রামের নেনকু মাস্টারের বাড়িতে র্দীঘদিন থেকে ১২টি মৌচাক বাড়ির বাহিরে ও ভিতরে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে।
এলাকার চারপাশ থেকে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করে চাক তৈরি করেছে মৌমাছির দল।
বাড়ির বিভিন্ন স্থানে মৌমাছিরা অবস্থান করায় নজর কাড়ছে এলাবাসীর। শামসুল হক ওরফে নেনকু মাস্টারের বাড়িটি মৌমাছি বান্ধব হওয়ায় আশপাশের এলাকার লোকজন প্রতিদিন বাড়িটিতে ভিড় জমাচ্ছেন মৌমাছি দেখতে ও মধু কেনার জন্য।
বাড়ির মালিক শামসুল হক মাস্টার জানান, মৌমাছি নিজেরাই তার বাড়িতে এসে বাসা বেঁধেছে বছর ১০ বছর আগে। এলাকার ও পরিবারের কেউ মৌমাছি গুলোকে বিরক্ত করে না আর মৌমাছিরাও তাদের আক্রমণ করে না বলে জানান তিনি।
মৌচাক থেকে প্রতিমাসে দুইবার মধু সংগ্রহ করেন বাড়ির মালিক। প্রতিবার ১২-২০ কেজি মধু সংগ্রহ করেন তিনি। এতে বছরে ২৪ বারে ৪শ’ কেজি মধু সংগ্রহ করেন বাড়ি মালিক।
মৌচাক মধু সংগ্রহের পর নিজে ভাগের অংশ ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি করেন। এবং বাকি অর্ধেক নিয়ে যান মধু সংগ্রহকারীরা।
মৌমাছি সম্পর্কে ঠাকুরগাঁও হ্যাডস্ কৃষি ডিপ্লোমা কলেজের অধ্যক্ষ সফিউল আলম বলেন, পরিশ্রমী আদর্শ প্রাণী হিসেবে এদের সহজে আলাদা করা যায়। কারণ এরা নির্দিষ্ট বিধি বিধান ও সুশৃঙ্খলার মধ্যে আবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে হাজারও প্রজাতির মৌমাছি আছে। এদের মধ্যে এপিস সেরানা নামের মৌমাছি এদেশের গ্রামে-গঞ্জে দেখা যায়। এরা সাধারণত গাছের গর্তে, বাসা, দালানের কার্নিশ, সানশেড, ইটের স্তুপ ও মাটির গর্তে বাসা বাঁধে। প্রতি চাকে একটি রাণী, শতাধিক পুরুষ মৌমাছি থাকে আর এদের নেতৃত্বে আরো ২৫-৩০ হাজার সৈনিক মৌমাছি মিলে দলবদ্ধভাবে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে বলে জানান অধ্যক্ষ সফিউল আলম।