ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ের ভিডিওকলে, অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সংসার ভাঙার উপক্রম!

স্টাফ রিপোর্টার::
মোবাইল ফোনে ভিডিওকলে কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্ত বিনিময় করেন পঁয়তাল্লিশ বছরের এক বিধবা নারী। কৌশলে ভিডিও থেকে ছবি নিয়ে রাখেন কলের অন্য প্রান্তে থাকা যুবক। এক সময় ওই নারীর মেয়ের স্বামীর পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয় ছবিগুলো। মায়ের আপত্তিকর ছবি শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ায় এখন মেয়ের সংসার ভাঙার উপক্রম। তিন মাস হয়েছে তিনি সন্তান সম্ভবা। এমন খুশির খবরের মধ্যেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে মেয়েটির। সবশেষ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ও সিকিউরিটি বিভাগের শরণাপন্ন হলে ব্ল্যাকমেইল করা যুবককে বাড্ডা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় ঠিকাদার ওই যুবকের নাম মো. ফরিদুল ইসলাম (৩৯)।

পাবনার ফরিদপুর থানার গোপালনগরে তিন কন্যাকে নিয়ে থাকেন তার স্ত্রী। ঢাকায় ফেটেক্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় থাকতেন মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ার উকিলবাড়ি এলাকার বসুন্ধরা লেনে। মিরপুরে থাকার সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ফরিদের। কয়েক মাস আগে মারা যান ওই নারীর স্বামী। এর কারণে নিয়মিত ওই নারীর মিরপুর এক নম্বর এলাকার বাসায় যেতেন ফরিদ। এসব বিষয়ে জানতেন ওই নারীর মেয়েও। এর মাঝে ফরিদ ওই নারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনও করেন। সর্ম্পকের প্রায় তিন মাসের মাথায় মিরপুর থেকে বাসা বদলে বাড্ডায় চলে যান নারী ও তার মেয়ে। দুরত্ব বাড়ায় ঠিকাদার ফরিদের সঙ্গে শুরু হয় সর্ম্পকের অবনতি। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে আপক্তিকর কিছু মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ফরিদ। কিছুদিন পর ওই নারীর মেয়ের শ্বশুরের ও আরো কিছু মানুষের কাছে ছবি পাঠানো হয়। মায়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও কথোপকথনের কারণে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার শ্বশুর। এমনকি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে, বাড্ডা থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামি মো. ফরিদুল ইসলামকে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার তাকে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাইবার ক্রাইম ও সিকিউরিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাঈদ নাসিরুল্লাহ কে বলেন, আসামিকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ওই নারীকে সব সময়ের জন্য কাছে পেতে ঠিকাদার ফরিদ তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানায়। তবে একজনের ছবির কারণে আরেকজনের সংসার ভাঙবে এটা কাম্য নয়। এছাড়া কারো সঙ্গে সর্ম্পক গড়া কিংবা ছবি-ভিডিও বিনিময়ের ক্ষেত্রেও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে সবাইকে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

মায়ের ভিডিওকলে, অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের সংসার ভাঙার উপক্রম!

আপডেট টাইম ১১:৩৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার::
মোবাইল ফোনে ভিডিওকলে কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্ত বিনিময় করেন পঁয়তাল্লিশ বছরের এক বিধবা নারী। কৌশলে ভিডিও থেকে ছবি নিয়ে রাখেন কলের অন্য প্রান্তে থাকা যুবক। এক সময় ওই নারীর মেয়ের স্বামীর পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয় ছবিগুলো। মায়ের আপত্তিকর ছবি শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ায় এখন মেয়ের সংসার ভাঙার উপক্রম। তিন মাস হয়েছে তিনি সন্তান সম্ভবা। এমন খুশির খবরের মধ্যেই মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে মেয়েটির। সবশেষ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাইবার ক্রাইম ও সিকিউরিটি বিভাগের শরণাপন্ন হলে ব্ল্যাকমেইল করা যুবককে বাড্ডা থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পেশায় ঠিকাদার ওই যুবকের নাম মো. ফরিদুল ইসলাম (৩৯)।

পাবনার ফরিদপুর থানার গোপালনগরে তিন কন্যাকে নিয়ে থাকেন তার স্ত্রী। ঢাকায় ফেটেক্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় থাকতেন মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ার উকিলবাড়ি এলাকার বসুন্ধরা লেনে। মিরপুরে থাকার সুবাদে ওই নারীর সঙ্গে পরিচয় হয় ফরিদের। কয়েক মাস আগে মারা যান ওই নারীর স্বামী। এর কারণে নিয়মিত ওই নারীর মিরপুর এক নম্বর এলাকার বাসায় যেতেন ফরিদ। এসব বিষয়ে জানতেন ওই নারীর মেয়েও। এর মাঝে ফরিদ ওই নারীর সঙ্গে আর্থিক লেনদেনও করেন। সর্ম্পকের প্রায় তিন মাসের মাথায় মিরপুর থেকে বাসা বদলে বাড্ডায় চলে যান নারী ও তার মেয়ে। দুরত্ব বাড়ায় ঠিকাদার ফরিদের সঙ্গে শুরু হয় সর্ম্পকের অবনতি। এক পর্যায়ে ওই নারীর সঙ্গে আপক্তিকর কিছু মুহূর্তের ছবি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয় ফরিদ। কিছুদিন পর ওই নারীর মেয়ের শ্বশুরের ও আরো কিছু মানুষের কাছে ছবি পাঠানো হয়। মায়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও কথোপকথনের কারণে ওই মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার শ্বশুর। এমনকি স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে, বাড্ডা থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আসামি মো. ফরিদুল ইসলামকে বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল বুধবার তাকে ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাইবার ক্রাইম ও সিকিউরিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাঈদ নাসিরুল্লাহ কে বলেন, আসামিকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ওই নারীকে সব সময়ের জন্য কাছে পেতে ঠিকাদার ফরিদ তাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের জানায়। তবে একজনের ছবির কারণে আরেকজনের সংসার ভাঙবে এটা কাম্য নয়। এছাড়া কারো সঙ্গে সর্ম্পক গড়া কিংবা ছবি-ভিডিও বিনিময়ের ক্ষেত্রেও সচেতন ও সতর্ক হতে হবে সবাইকে।