ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরকীয়ার টানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের চাঞ্চল্যকর বিয়ে

সারাদিন ডেক্স: প্রেম মানে না সমাজ, প্রেম মানে না বয়স – কবির এই কথাকে সত্য প্রমাণ করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় (পরকীয়ার জের ধরে) একটি চাঞ্চল্যকর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম (৪০) পরকীয়ার টানে স্বামী ও দুই সন্তান ছেড়ে বহুবিবাহের নায়ক উপজেলার তালুককানুপুর ইউপি সদস্য মথুরাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের (৪৫) হাত ধরে উধাও হয়ে যান।

অবশেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা ও ইউপি সদস্য রেজাউল ৫ লাখ ১০১ টাকা দেনমোহর ধার্য (কাবিন) করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে শাকিলার সাবেক স্বামী আব্দুর রাজ্জাক ভোলা বলেন, মা মরে গিয়ে যদি (দুটি) সন্তান এতিম হয়, তখন মা-হারা ওই সন্তানকে বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বোঝাতে পারেন। কিন্ত মা বেঁচে থাকতেই যদি দুটি সন্তান এতিম হয়, তখন ওই সন্তান দুটিকে বাবা কী দিয়ে বোঝাবেন?

গত এক সপ্তাহ যাবৎ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ইউপি সদস্যের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, গরিব বলে যাকে দলমত-নির্বিশেষে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল, সেই স্বামী ভোলা মিয়া ও দুই সন্তানের মুখে চুনকালি দিয়েছেন শাকিলা। তিনি শুধু স্বামী-সন্তানদের মুখেই চুনকালি দেননি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোটারদেরও অপমান করেছে।

উল্লেখ্য, ইউপি মেম্বার রেজাউল এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। শাকিলা ওই মেম্বারের চতুর্থ স্ত্রী।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পরকীয়ার টানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের চাঞ্চল্যকর বিয়ে

আপডেট টাইম ০২:০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০১৯

সারাদিন ডেক্স: প্রেম মানে না সমাজ, প্রেম মানে না বয়স – কবির এই কথাকে সত্য প্রমাণ করে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় (পরকীয়ার জের ধরে) একটি চাঞ্চল্যকর বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক সপ্তাহ আগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম (৪০) পরকীয়ার টানে স্বামী ও দুই সন্তান ছেড়ে বহুবিবাহের নায়ক উপজেলার তালুককানুপুর ইউপি সদস্য মথুরাপুর গ্রামের রেজাউল করিমের (৪৫) হাত ধরে উধাও হয়ে যান।

অবশেষে নিশ্চিত হওয়া গেছে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা ও ইউপি সদস্য রেজাউল ৫ লাখ ১০১ টাকা দেনমোহর ধার্য (কাবিন) করে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে শাকিলার সাবেক স্বামী আব্দুর রাজ্জাক ভোলা বলেন, মা মরে গিয়ে যদি (দুটি) সন্তান এতিম হয়, তখন মা-হারা ওই সন্তানকে বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বোঝাতে পারেন। কিন্ত মা বেঁচে থাকতেই যদি দুটি সন্তান এতিম হয়, তখন ওই সন্তান দুটিকে বাবা কী দিয়ে বোঝাবেন?

গত এক সপ্তাহ যাবৎ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাকিলা বেগম পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে ইউপি সদস্যের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী বলেন, গরিব বলে যাকে দলমত-নির্বিশেষে মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল, সেই স্বামী ভোলা মিয়া ও দুই সন্তানের মুখে চুনকালি দিয়েছেন শাকিলা। তিনি শুধু স্বামী-সন্তানদের মুখেই চুনকালি দেননি, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ভোটারদেরও অপমান করেছে।

উল্লেখ্য, ইউপি মেম্বার রেজাউল এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। শাকিলা ওই মেম্বারের চতুর্থ স্ত্রী।