ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রেতার আঘাতে বিক্রেতার ভাইয়ের মৃত্যু, আটক ২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ক্রেতার আঘাতে মানিক চন্দ্র দাস নামে এক মোবাইলের দোকান মালিকের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করেছে রাণীশংকৈল থানার পুলিশ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার সময় রাণীশংকৈল পৌর শহরের রুস্তম মার্কেটের মোবাইল দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক চন্দ্র দাস উপজেলার দাসপাড়া এলাকার ঝড়ুয়া চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনোয়ার ও জিয়া নামে দুজনকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, দুমাস আগে রাণীশংকৈল পৌর শহরের রুস্তম মার্কেটে ভূদেব চন্দ্র দাসের মোবাইল দোকান থেকে উপজেলার সহোদর গ্রামের আইনুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) একটি মোবাইল ফোন কেনেন। কিন্তু মোবাইলে ঠিকমতো চার্জ না হওয়ায় তিনি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার দোকানে এসে চার্জ না হওয়ার বিষয়টি জানান। এ সময় দোকান মালিক তার চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইলে চার্জ নেয়।

কিন্তু আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি বাসায় গিয়ে মোবাইলে চার্জ দিতে গেলে চার্জ হয় না।এ নিয়ে দোকানদার ভূদেব ও ক্রেতা আনোয়ারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দোকান মালিকের বড় ভাই মানিক চন্দ্র দাস ঘটনাস্থলে এসে কাস্টমার আনোয়ারকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মানিক চন্দ্রকে লাথি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই পড়ে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর রেফার্ড করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে রাণীশংকৈল গোগর চৌরাস্তা মোড়ে মানিক চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, নিহত মানিক চন্দ্র দাস প্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে আসলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

 

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রেতার আঘাতে বিক্রেতার ভাইয়ের মৃত্যু, আটক ২

আপডেট টাইম ০২:০৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ক্রেতার আঘাতে মানিক চন্দ্র দাস নামে এক মোবাইলের দোকান মালিকের ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করেছে রাণীশংকৈল থানার পুলিশ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার সময় রাণীশংকৈল পৌর শহরের রুস্তম মার্কেটের মোবাইল দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক চন্দ্র দাস উপজেলার দাসপাড়া এলাকার ঝড়ুয়া চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনোয়ার ও জিয়া নামে দুজনকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, দুমাস আগে রাণীশংকৈল পৌর শহরের রুস্তম মার্কেটে ভূদেব চন্দ্র দাসের মোবাইল দোকান থেকে উপজেলার সহোদর গ্রামের আইনুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪০) একটি মোবাইল ফোন কেনেন। কিন্তু মোবাইলে ঠিকমতো চার্জ না হওয়ায় তিনি শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার দোকানে এসে চার্জ না হওয়ার বিষয়টি জানান। এ সময় দোকান মালিক তার চার্জার দিয়ে চার্জ দিলে মোবাইলে চার্জ নেয়।

কিন্তু আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি বাসায় গিয়ে মোবাইলে চার্জ দিতে গেলে চার্জ হয় না।এ নিয়ে দোকানদার ভূদেব ও ক্রেতা আনোয়ারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় দোকান মালিকের বড় ভাই মানিক চন্দ্র দাস ঘটনাস্থলে এসে কাস্টমার আনোয়ারকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মানিক চন্দ্রকে লাথি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই পড়ে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর রেফার্ড করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে রংপুর নিয়ে যাওয়ার পথে রাণীশংকৈল গোগর চৌরাস্তা মোড়ে মানিক চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, নিহত মানিক চন্দ্র দাস প্রেসার ও ডায়াবেটিসের রোগী ছিলেন। খবর পেয়ে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে আসলে কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।