ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শোভন-রাব্বানীর বহিষ্কারে যা বললেন মির্জা ফখরুল

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কার করায় প্রমাণ হয় যে, দেশে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চলছে। রোববার দলটির চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুইজনের অপসারণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটাই (ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে দুর্নীতির দায়ে সরিয়ে দেয়া) প্রমাণ করেছে দেশে কি হারে দুর্নীতি চলছে, চাঁদাবাজি ….। এটাতে শুধুমাত্র একটা প্রকাশ পেয়েছে যে, এটাতে একটি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জড়িত তাদেরকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বহিষ্কার করতে হয়েছে। এরকম সারা দেশে অনেক চলছে। এটা প্রমাণ করে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে চলে গেছে। এটা (বহিষ্কার) হচ্ছে স্বীকৃতি, রিকগনেশন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তারা দুর্নীতি করছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার আপনি কিভাবে দেখছেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তাদের দল দুর্নীতি করছে এবং সবাই মিলে দুর্নীতি করছে। এটা তো রিকগনেশন অব করাপশন। আমরা তো এটাতে …।

ছাত্রদলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আইন দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। আমি সেদিনও বলেছি, যে এভাবে রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা- এখানেই আমাদের আপত্তি। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। যে একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে আদালত এবং সেটা সরকারের উদ্যোগে, তারাই করাচ্ছে। এটাতে প্রমাণিত যে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিরোধীদলে বিশ্বাস করে না। এটাই বাস্তবতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে জনগনের কাছে আমরা যে বক্তব্যটি দিতে চাই তা হচ্ছে- আসুন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা- একথায় উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে আমাদের দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে গণতন্ত্রের চেতনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

শোভন-রাব্বানীর বহিষ্কারে যা বললেন মির্জা ফখরুল

আপডেট টাইম ০৪:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বহিষ্কার করায় প্রমাণ হয় যে, দেশে দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি চলছে। রোববার দলটির চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ছাত্রলীগের শীর্ষ দুইজনের অপসারণ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটাই (ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে দুর্নীতির দায়ে সরিয়ে দেয়া) প্রমাণ করেছে দেশে কি হারে দুর্নীতি চলছে, চাঁদাবাজি ….। এটাতে শুধুমাত্র একটা প্রকাশ পেয়েছে যে, এটাতে একটি সংগঠনের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি জড়িত তাদেরকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর বহিষ্কার করতে হয়েছে। এরকম সারা দেশে অনেক চলছে। এটা প্রমাণ করে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে চলে গেছে। এটা (বহিষ্কার) হচ্ছে স্বীকৃতি, রিকগনেশন। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তারা দুর্নীতি করছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার আপনি কিভাবে দেখছেন- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে, তাদের দল দুর্নীতি করছে এবং সবাই মিলে দুর্নীতি করছে। এটা তো রিকগনেশন অব করাপশন। আমরা তো এটাতে …।

ছাত্রদলের কাউন্সিল প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আইন দিয়ে তো রাজনীতি হয় না। আমি সেদিনও বলেছি, যে এভাবে রাজনীতিকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা- এখানেই আমাদের আপত্তি। এটা নজিরবিহীন ঘটনা। যে একটা রাজনৈতিক দলের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে আদালত এবং সেটা সরকারের উদ্যোগে, তারাই করাচ্ছে। এটাতে প্রমাণিত যে, এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, বিরোধীদলে বিশ্বাস করে না। এটাই বাস্তবতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে জনগনের কাছে আমরা যে বক্তব্যটি দিতে চাই তা হচ্ছে- আসুন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করা- একথায় উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণে আমাদের দলমত নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে গণতন্ত্রের চেতনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই এবং ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর।

সংবাদ সম্মেলন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।