ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক পীরগঞ্জে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় ভ্যান চালকের চালকের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা ঠাকুরগাঁও জেলা আ.লীগের সভাপতি হলেন বাবলু স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও ঠাকুরগাঁওয়ে শহীদ জায়া’রা ভিক্ষাবৃত্তি করে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৬ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার পীরগঞ্জে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় র‌্যালী পীরগঞ্জে দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা ছাদে অবৈধ রেস্তোরাঁ, সিলিন্ডারে লিকেজ: ল্যাবএইড হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা অকটেনে ৪ টাকা, পেট্রোলে ৩ টাকা, ডিজেলে ৭৫ পয়সা কমল মজুতদারি-কালোবাজারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠে সিআইডির ১২ টিম

‘নাস্তানাবুদ হতেই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যান সম্পাদকরা’-ড. আসিফ নজরুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যানই নাস্তানাবুদ হতে! সেখানেই শেষ নয়, নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তাদের যে কী একটা বেহায়া হাসি দেখি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন।

শনিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। ‘হুমকির মুখে বাক স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

ঢাবির এই আইনের শিক্ষক বলেন, আমি প্রায়ই বিবিসি, সিএনএন দেখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন সাংবাদিকরা তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। কিসের ট্রাম্প, কিসের কী! তিনবার, চারবার তারা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন। বারবার তারা বলতে থাকেন, ‘আপনার (রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রীর) কোনো অধিকার নেই আমার প্রশ্ন বন্ধ করার।’ প্রেসিডেন্টদের ঘাম ছেড়ে জ্বর চলে আসার মতো অবস্থা হয়। আর বাংলাদেশে হয় উল্টো।

সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দাবি করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিন্তা নিয়ন্ত্রণের ধারাও রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনি অপরাধ করার চিন্তা করতে পারেন, এটাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। অর্থাৎ আপনি কী ভাবতে পারেন, সেটা আগে থেকেই আরেকজন ভেবে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে! আপনি ভাবলেন কেন, আপনার ভাবনাটা তো অপরাধ। তার মানে আপনার কল্পনা, চিন্তাশক্তি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এই আইনে আছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

পীরগঞ্জে টার্পেন্টাডল ট্যাবলেট সহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক

‘নাস্তানাবুদ হতেই প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যান সম্পাদকরা’-ড. আসিফ নজরুল ইসলাম

আপডেট টাইম ০৫:১৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদকরা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে যানই নাস্তানাবুদ হতে! সেখানেই শেষ নয়, নাস্তানাবুদ হওয়ার পর তাদের যে কী একটা বেহায়া হাসি দেখি, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলন।

শনিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন আসিফ নজরুল। ‘হুমকির মুখে বাক স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

ঢাবির এই আইনের শিক্ষক বলেন, আমি প্রায়ই বিবিসি, সিএনএন দেখি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী যখন সংবাদ সম্মেলন করেন, তখন সাংবাদিকরা তাদের নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। কিসের ট্রাম্প, কিসের কী! তিনবার, চারবার তারা দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করেন। বারবার তারা বলতে থাকেন, ‘আপনার (রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রীর) কোনো অধিকার নেই আমার প্রশ্ন বন্ধ করার।’ প্রেসিডেন্টদের ঘাম ছেড়ে জ্বর চলে আসার মতো অবস্থা হয়। আর বাংলাদেশে হয় উল্টো।

সভায় ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া দাবি করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চিন্তা নিয়ন্ত্রণের ধারাও রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনি অপরাধ করার চিন্তা করতে পারেন, এটাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মামলা করার বিধান রাখা হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে। অর্থাৎ আপনি কী ভাবতে পারেন, সেটা আগে থেকেই আরেকজন ভেবে আপনার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে! আপনি ভাবলেন কেন, আপনার ভাবনাটা তো অপরাধ। তার মানে আপনার কল্পনা, চিন্তাশক্তি আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এই আইনে আছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সদস্য ড. শাহদীন মালিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সি আর আবরার, ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রুবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।