ঢাকা ০৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১-২০গ্রেডের সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন বৈষম্য ও ৮ দফা দাবী নিয়ে সংসদে আলোচনা

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::১১-২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরিজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের চলমান আন্দোলন কর্মসূচীকে ঘিরে সারাদেশের সরকারী চাকুরিজীবিরা ব্যাপক উৎকন্ঠা ও হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করলেও এ সপ্তাহে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির সমাপনি ভাষনের উপর আলোচনায় সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় উঠে আসে চাকুরীজীবিদের এসব হতাশা ও বৈষম্যের আলোচনা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারী চলতি সংসদের সমাপনী দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব রাখার প্রাক্কালে মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ স্পীকারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, মাননাীয় প্রধানমন্ত্রী ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরীজীবিরা বৈষম্যের শিকার, তাদের বেতন বৈষম্য দূর করা দরকার। তিনি চাকুরীজিবীদের ৮ দফা দাবী সংসদে তুলে ধরে বলেন, ৩শ’ টাকা যাতায়াত ভাতা, ২শ’টাকা টিফিন ভাতা, ৫শ’টাকা শিক্ষা ভাতা, ১৫শ’টাকা চিকিৎসাভাতা একেবারেই বেমানান। এসব ভাতা বাজার দরের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হওয়া উচিৎ। তিনি সরকারী চাকুরীজিবীদের দাবী দাওয়া পূরনে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।

একই বিষয় নিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে উপরস্থ গ্রেডের সাথে ১১-২০ গ্রেডের চাকুরীজিবিদের বেতন বৈষম্য দূরীকরনে একটি কমিটি বা নতুন পে কমিশন গঠনের অনুরোধ করে ১৪ লাখ কর্মচারীর হতাশা দূরীকরনের দাবী জানান। কর্মচারীদের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, আইএলও বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেয়ে থাকে, যার অনুপাত ১:৪, কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশে এর অনুপাত ১:১০। তারা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের দাবী ৭ম পে কমিশনে যেরুপ টাইম স্খেল ও সিলেকশন গ্রেড ছিল তা পূনবহাল করতে হবে। এছাড়া ৮ম পে কমিশন সংসদে পাশের পর অর্থ সচিব বলেছিলেন, ১ম গ্রেডের বেতন কিন্তু ডাবল হয়নি তবে ২০ গ্রেডের বেতন ডাবলেরও বেশি হয়েছে। এই বলে সকলের মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়ে এই পেস্কেল ছিল মূলত: শুভঙ্করের ফাকি। বলা হয়েছিল প্রজতন্ত্রের সরকারী পদে কোন কর্মকর্তা শব্দ থাকবেনা, সকলে হবে প্রজাতন্ত্রেও কর্মচারী এবং ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ শ্রেনী উঠিয়ে দিয়ে গ্রেড অনুযায়ী সকলের মূল্যায়ন হবে। কিন্তু আদৌ তা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাদা কম সুদে গৃহ নির্মান লোন এবং কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বীমা করার ঘোষনা থাকলেও কমিশনের গত ৫ বছরেও এসব বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব কারনে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরীজিরা ৮ম পে কমিশন সংশোধন করে ৮দফার দাবীতে ধাারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে।

সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ডাক ঢোল পিটিয়ে বিদ্যমান বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকলস্তরের কর্মচারীদের জন্য একটি সুষম পে-স্কেল ঘোষনার উদ্দেশ্যে পে-কমিশন গঠন করা হলো ২০১৩ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণরকে প্রধান করে গঠিত কমিশন মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যাছাই-বাছাই করে একটি সুষম পে-স্কেল প্রস্তাবও করেছিলো। সেখানে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ১৮ হাজার টাকা এবং শেষে ১২ হাজার আর গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১২ করার প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু পরে সচিব কমিটি তা যাচাই বাছাই করতে গিয়ে নিজেদের ১ নং গ্রেডের বেতন ৭৮ হাজার করে আর ২০ গ্রেডের বেতন করে ৮ হাজার ২শ’। এই বেতন কাঠামোয় আইএলও’র নীতির ধার ধারলেননা তারা। নিজেদের খেয়াল খুশিমত বেতন বাড়িয়ে নীচের ১০ টি গ্রেডকে ঠেলে দিলেন অন্ধকারে। বৈষম্য না কমে আরো বেড়ে যায় । যাতে করে উচ্চ আর নিম্নের বৈষম্য হয়েছে পাহাড়সম। ১ম গ্রেডে বেতন স্কেল ৭৮ হাজার কিন্তু ২০ তম গ্রেডে মাত্র ৮ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা। আবার ১ম গ্রেডের উপরে আরও দুটি গ্রেড রয়েছে। গ্রেড ১- ১০ নং এর মোট পার্থক্য- ৬৫ হাজার ৫শ’ টাকা অপরদিকে গ্রেড ১১-২০ নং এর পার্থক্য মাত্র- ৪ হাজার ২শ’৫০ টাকা। আবার নিচের দিকের এক গ্রেড থেকে পরের গ্রেডের পার্থক্য মাত্র ২/৩শ টাকা, যা তাদের সাথে মজা করা বা তামাশা করার মতো। ২০১৫ সালের পে-স্কেলের আগে নিয়ম ছিল, আট বছর চাকরি পূর্ণ হলে প্রথমবারের মতো গ্রেড উন্নীত হবে, যাকে টাইম স্কেল বলা হতো। ২০১৫ সালের পে-স্কেলে তা বাদ দিয়ে নিয়ম করা হয়, ১০ বছর চাকরির পর প্রথমবারের মতো গ্রেড পরিবর্তন হবে। ধরা যাক, একজন ১৮ নম্বর ধাপে চাকরি শুরু করেছেন। ১০ বছর অপেক্ষার পর তার বেতন বাড়বে ২০০ টাকা। এটা কি চরম নৈরাজ্য নয়?

যেখানে উপরের এক গ্রেড পরিবর্তনে বেতন বাড়ে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা, সব গ্রেডে সমানহারে বেতন বাড়লে আজ নীচের দিকের কর্মচারীরা হতাশায় নিমজ্জিত হতোনা। সামগ্রিকভাবে বেতন গ্রেডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের পার্থক্য বের করে ১৯ দিয়ে ভাগ করলে ৩ হাজার ৬শ’ ৭১ বা ৩হাজার বা ৪ হাজার হবার কথা কিন্তু হয়নি। উপরেরর দিকে হয়েছে কিনতু নীচের দিকে ২/৩ শ’ করা হয়েছে। ফলে এখানে শ্রেণী দ্বন্দ তৈরী হয়েছে। এখানে সমতা বা সামন্জস্যতা বজায় রাখা হয়নি যা এ যাবৎকালের বৈষম্যের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।

জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে বৈষম্যের শিকার ১১-২০ গ্রেডের ৮ দফা দাবী গুলো উপস্থাপন করায় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও উপনেতা জিএম কাদের এমপি কে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক গোলাবুল ইসলাম, সদস্য সচিব এসএম আজম সহ নেতারা। তারা সন্তোষ প্রকাশ করে রাজনৈতিক নেতাদের এ বিষয়ে আরো আন্তরিক ভুমিকা পালনের আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

১১-২০গ্রেডের সরকারী চাকুরীজীবিদের বেতন বৈষম্য ও ৮ দফা দাবী নিয়ে সংসদে আলোচনা

আপডেট টাইম ০২:২২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::১১-২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরিজীবিদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের চলমান আন্দোলন কর্মসূচীকে ঘিরে সারাদেশের সরকারী চাকুরিজীবিরা ব্যাপক উৎকন্ঠা ও হতাশার মধ্যে দিনাতিপাত করলেও এ সপ্তাহে জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির সমাপনি ভাষনের উপর আলোচনায় সংসদ সদস্যদের ধন্যবাদ প্রস্তাব আলোচনায় উঠে আসে চাকুরীজীবিদের এসব হতাশা ও বৈষম্যের আলোচনা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারী চলতি সংসদের সমাপনী দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষনের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাব রাখার প্রাক্কালে মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ স্পীকারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, মাননাীয় প্রধানমন্ত্রী ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরীজীবিরা বৈষম্যের শিকার, তাদের বেতন বৈষম্য দূর করা দরকার। তিনি চাকুরীজিবীদের ৮ দফা দাবী সংসদে তুলে ধরে বলেন, ৩শ’ টাকা যাতায়াত ভাতা, ২শ’টাকা টিফিন ভাতা, ৫শ’টাকা শিক্ষা ভাতা, ১৫শ’টাকা চিকিৎসাভাতা একেবারেই বেমানান। এসব ভাতা বাজার দরের সাথে সামন্জস্যপূর্ন হওয়া উচিৎ। তিনি সরকারী চাকুরীজিবীদের দাবী দাওয়া পূরনে প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানান।

একই বিষয় নিয়ে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে উপরস্থ গ্রেডের সাথে ১১-২০ গ্রেডের চাকুরীজিবিদের বেতন বৈষম্য দূরীকরনে একটি কমিটি বা নতুন পে কমিশন গঠনের অনুরোধ করে ১৪ লাখ কর্মচারীর হতাশা দূরীকরনের দাবী জানান। কর্মচারীদের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলনকারী নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, আইএলও বা আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেয়ে থাকে, যার অনুপাত ১:৪, কিন্তু বাংলাদেশে ব্যাতিক্রম। বাংলাদেশে এর অনুপাত ১:১০। তারা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের দাবী ৭ম পে কমিশনে যেরুপ টাইম স্খেল ও সিলেকশন গ্রেড ছিল তা পূনবহাল করতে হবে। এছাড়া ৮ম পে কমিশন সংসদে পাশের পর অর্থ সচিব বলেছিলেন, ১ম গ্রেডের বেতন কিন্তু ডাবল হয়নি তবে ২০ গ্রেডের বেতন ডাবলেরও বেশি হয়েছে। এই বলে সকলের মন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দিয়ে এই পেস্কেল ছিল মূলত: শুভঙ্করের ফাকি। বলা হয়েছিল প্রজতন্ত্রের সরকারী পদে কোন কর্মকর্তা শব্দ থাকবেনা, সকলে হবে প্রজাতন্ত্রেও কর্মচারী এবং ১ম ২য় ৩য় ৪র্থ শ্রেনী উঠিয়ে দিয়ে গ্রেড অনুযায়ী সকলের মূল্যায়ন হবে। কিন্তু আদৌ তা বাস্তবায়ন হয়নি। এছাদা কম সুদে গৃহ নির্মান লোন এবং কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বীমা করার ঘোষনা থাকলেও কমিশনের গত ৫ বছরেও এসব বাস্তবায়ন করা হয়নি। এসব কারনে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের সরকারী চাকুরীজিরা ৮ম পে কমিশন সংশোধন করে ৮দফার দাবীতে ধাারাবাহিক আন্দোলন করে আসছে।

সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ডাক ঢোল পিটিয়ে বিদ্যমান বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকলস্তরের কর্মচারীদের জন্য একটি সুষম পে-স্কেল ঘোষনার উদ্দেশ্যে পে-কমিশন গঠন করা হলো ২০১৩ সালে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণরকে প্রধান করে গঠিত কমিশন মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যাছাই-বাছাই করে একটি সুষম পে-স্কেল প্রস্তাবও করেছিলো। সেখানে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ১৮ হাজার টাকা এবং শেষে ১২ হাজার আর গ্রেড সংখ্যা ২০ থেকে কমিয়ে ১২ করার প্রস্তাব করেছিল, কিন্তু পরে সচিব কমিটি তা যাচাই বাছাই করতে গিয়ে নিজেদের ১ নং গ্রেডের বেতন ৭৮ হাজার করে আর ২০ গ্রেডের বেতন করে ৮ হাজার ২শ’। এই বেতন কাঠামোয় আইএলও’র নীতির ধার ধারলেননা তারা। নিজেদের খেয়াল খুশিমত বেতন বাড়িয়ে নীচের ১০ টি গ্রেডকে ঠেলে দিলেন অন্ধকারে। বৈষম্য না কমে আরো বেড়ে যায় । যাতে করে উচ্চ আর নিম্নের বৈষম্য হয়েছে পাহাড়সম। ১ম গ্রেডে বেতন স্কেল ৭৮ হাজার কিন্তু ২০ তম গ্রেডে মাত্র ৮ হাজার ২শ’ ৫০ টাকা। আবার ১ম গ্রেডের উপরে আরও দুটি গ্রেড রয়েছে। গ্রেড ১- ১০ নং এর মোট পার্থক্য- ৬৫ হাজার ৫শ’ টাকা অপরদিকে গ্রেড ১১-২০ নং এর পার্থক্য মাত্র- ৪ হাজার ২শ’৫০ টাকা। আবার নিচের দিকের এক গ্রেড থেকে পরের গ্রেডের পার্থক্য মাত্র ২/৩শ টাকা, যা তাদের সাথে মজা করা বা তামাশা করার মতো। ২০১৫ সালের পে-স্কেলের আগে নিয়ম ছিল, আট বছর চাকরি পূর্ণ হলে প্রথমবারের মতো গ্রেড উন্নীত হবে, যাকে টাইম স্কেল বলা হতো। ২০১৫ সালের পে-স্কেলে তা বাদ দিয়ে নিয়ম করা হয়, ১০ বছর চাকরির পর প্রথমবারের মতো গ্রেড পরিবর্তন হবে। ধরা যাক, একজন ১৮ নম্বর ধাপে চাকরি শুরু করেছেন। ১০ বছর অপেক্ষার পর তার বেতন বাড়বে ২০০ টাকা। এটা কি চরম নৈরাজ্য নয়?

যেখানে উপরের এক গ্রেড পরিবর্তনে বেতন বাড়ে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা, সব গ্রেডে সমানহারে বেতন বাড়লে আজ নীচের দিকের কর্মচারীরা হতাশায় নিমজ্জিত হতোনা। সামগ্রিকভাবে বেতন গ্রেডের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্নের পার্থক্য বের করে ১৯ দিয়ে ভাগ করলে ৩ হাজার ৬শ’ ৭১ বা ৩হাজার বা ৪ হাজার হবার কথা কিন্তু হয়নি। উপরেরর দিকে হয়েছে কিনতু নীচের দিকে ২/৩ শ’ করা হয়েছে। ফলে এখানে শ্রেণী দ্বন্দ তৈরী হয়েছে। এখানে সমতা বা সামন্জস্যতা বজায় রাখা হয়নি যা এ যাবৎকালের বৈষম্যের রেকর্ডকে হার মানিয়েছে।

জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে বৈষম্যের শিকার ১১-২০ গ্রেডের ৮ দফা দাবী গুলো উপস্থাপন করায় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও উপনেতা জিএম কাদের এমপি কে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংগঠনের ঠাকুরগাঁও জেলা সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক গোলাবুল ইসলাম, সদস্য সচিব এসএম আজম সহ নেতারা। তারা সন্তোষ প্রকাশ করে রাজনৈতিক নেতাদের এ বিষয়ে আরো আন্তরিক ভুমিকা পালনের আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।