ঢাকা ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাইস চেয়ারম্যানের প্রাইভেট কার জব্দ, ঠাকুরগাঁওয়ে আম ব্যবসায়ী আশরাফ হত্যা মামলার ৩ ঘাতক গ্রেপ্তার

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি::১৫ জুলাই জেলার পীরগঞ্জ থানা পুলিশ আম ব্যবসায়ী আশরাফ হত্যা মামলার ৩ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার পর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় এর খুলনা মেট্রো- ক ১১-০০৬৭ নং প্রাইভেট কারটি লাশ অন্যত্রে সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহার করায় প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ভামদা গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩৫), নারায়নপুর গ্রামের দরমিয়ান আলীর পুত্র বেল্লাল হোসেন (৩০), জগথা সরকারি কলেজের পশ্চিম পার্শ্বের আব্দুর রহিম মিস্ত্রি এর পুত্র রোকন্জ্জুামান (৩০)। জানা গেছে ২নং কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দলপতিপুর গ্রামের মৃত কালু মোহাম্মদ এর পুত্র ও আম ব্যবসায়ী আশরাফ আলী (৫০) রবিবার মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি থেকে পীরগঞ্জ শহরে আসে এবং ওই দিন সে বাড়ি ফিরে যায়নি। সোমবার সকাল ১১টায় ৭নং হাজীপুর ইউনিয়নের খটশিংগা বাজারের পার্শ্বে ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায়ের কাছে হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং আসামীদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যার পর লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহারের জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় এর প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই হত্যা কান্ডের সাথে আসামীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপ্ক্টের মো.খায়রুল ইসলাম বলেন এটি একটি চাঞ্চল্যকার মামলা। মামলাটি আমি পাওয়ার পর পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করি এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় মূল ঘাতকদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হই। উল্লেখ্য ঘাতক সাদ্দাম হোসেন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে এবং বেলাল হোসেন উপজেলা নির্বাচন অফিসে মাষ্টাররোলে কর্মরত। রোকনুজ্জামান ও বেলাল হোসেন সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার প্রকৃত কারন এখনো জানা যায়নি। হত্যার শিকার আশরাফের কয়েকজন নিকট ব্যা্ক্তির সূত্রে জানা যায়, মূল ঘাতক সাদ্দাম বেশ কিছুদিন আগে আশরাফের নিকট ৫/৮ লাখ টাকা ধারে নিয়ে পরিশোধে টালবাহানা করে আসছিল এবং ঘটনার দিন সকালে কয়েকবার আশরাফের মোবাইলে ফোনও দিয়েছিল সে। পারিবারিক সূত্র বলছে সাদ্দামের ফোন পেয়েই তার কাছে টাকা নিতে উপজেলা পরিষদে গিয়েছিল আশরাফ। তবে এই আর্থিক লেনদেনের কারনে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাইস চেয়ারম্যানের প্রাইভেট কার জব্দ, ঠাকুরগাঁওয়ে আম ব্যবসায়ী আশরাফ হত্যা মামলার ৩ ঘাতক গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম ০৫:০৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি::১৫ জুলাই জেলার পীরগঞ্জ থানা পুলিশ আম ব্যবসায়ী আশরাফ হত্যা মামলার ৩ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যার পর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় এর খুলনা মেট্রো- ক ১১-০০৬৭ নং প্রাইভেট কারটি লাশ অন্যত্রে সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহার করায় প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ভামদা গ্রামের আমিনুল ইসলামের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (৩৫), নারায়নপুর গ্রামের দরমিয়ান আলীর পুত্র বেল্লাল হোসেন (৩০), জগথা সরকারি কলেজের পশ্চিম পার্শ্বের আব্দুর রহিম মিস্ত্রি এর পুত্র রোকন্জ্জুামান (৩০)। জানা গেছে ২নং কোষারাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দলপতিপুর গ্রামের মৃত কালু মোহাম্মদ এর পুত্র ও আম ব্যবসায়ী আশরাফ আলী (৫০) রবিবার মোটর সাইকেল যোগে বাড়ি থেকে পীরগঞ্জ শহরে আসে এবং ওই দিন সে বাড়ি ফিরে যায়নি। সোমবার সকাল ১১টায় ৭নং হাজীপুর ইউনিয়নের খটশিংগা বাজারের পার্শ্বে ভুট্টা ক্ষেত থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা বুধবার দুপুরে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায়ের কাছে হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং আসামীদের স্বীকারোক্তি মতে হত্যার পর লাশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজে ব্যবহারের জন্য উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় এর প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন এই হত্যা কান্ডের সাথে আসামীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপ্ক্টের মো.খায়রুল ইসলাম বলেন এটি একটি চাঞ্চল্যকার মামলা। মামলাটি আমি পাওয়ার পর পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করি এবং উর্ধতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় মূল ঘাতকদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হই। উল্লেখ্য ঘাতক সাদ্দাম হোসেন পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে এবং বেলাল হোসেন উপজেলা নির্বাচন অফিসে মাষ্টাররোলে কর্মরত। রোকনুজ্জামান ও বেলাল হোসেন সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যার প্রকৃত কারন এখনো জানা যায়নি। হত্যার শিকার আশরাফের কয়েকজন নিকট ব্যা্ক্তির সূত্রে জানা যায়, মূল ঘাতক সাদ্দাম বেশ কিছুদিন আগে আশরাফের নিকট ৫/৮ লাখ টাকা ধারে নিয়ে পরিশোধে টালবাহানা করে আসছিল এবং ঘটনার দিন সকালে কয়েকবার আশরাফের মোবাইলে ফোনও দিয়েছিল সে। পারিবারিক সূত্র বলছে সাদ্দামের ফোন পেয়েই তার কাছে টাকা নিতে উপজেলা পরিষদে গিয়েছিল আশরাফ। তবে এই আর্থিক লেনদেনের কারনে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।