ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজস্ব আহরণে ঘাটতি সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক::চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৫৪ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪১ হাজার ১৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা প্রায় ২৫ শতাংশে।

তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আহরণে ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে বলে এনবিআরের পরিসংখ্যানে উঠে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে ঘাটতি ছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

পরিসংখ্যান বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩০ হাজার ১৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চলতি মাসে আহরণ হয়েছে (২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ১১ হাজার ২৫ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য রয়েছে এনবিআরের।

অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে আমাদের অর্থনীতির যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যদি লক্ষ্যের তুলনায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়, তাহলে সেটা খারাপ নয়। এখন দেখার বিষয় ঘাটতিটা কত বড় হবে।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে আমার মনে হয় এর চেয়েও অনেক বেশি ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ গত বছর করোনা না থাকলেও ১ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল।

এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অনেক বেশি। মহামারীর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় রাজস্ব আহরণ গতি হারালেও চলতি অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যে কারণে প্রথম প্রান্তিকেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ বছর যদি করোনা না আসত তবুও বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিত।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজস্ব আহরণে ঘাটতি সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা

আপডেট টাইম ১১:২৮:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক::চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ৫৪ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদকৃত তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৪১ হাজার ১৮৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৪০ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা প্রায় ২৫ শতাংশে।

তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রাজস্ব আহরণে ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে বলে এনবিআরের পরিসংখ্যানে উঠে আসে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে ঘাটতি ছিল প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

পরিসংখ্যান বলছে, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ৩০ হাজার ১৬২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চলতি মাসে আহরণ হয়েছে (২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত) ১১ হাজার ২৫ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, চলতি অর্থবছর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য রয়েছে এনবিআরের।

অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীতে আমাদের অর্থনীতির যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে যদি লক্ষ্যের তুলনায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়, তাহলে সেটা খারাপ নয়। এখন দেখার বিষয় ঘাটতিটা কত বড় হবে।

এ ধারা অব্যাহত থাকলে বছর শেষে ৬০-৭০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তবে আমার মনে হয় এর চেয়েও অনেক বেশি ঘাটতি দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ গত বছর করোনা না থাকলেও ১ লাখ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব ঘাটতি ছিল।

এ বিষয়ে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অনেক বেশি। মহামারীর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ায় রাজস্ব আহরণ গতি হারালেও চলতি অর্থবছরের বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যে কারণে প্রথম প্রান্তিকেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ বছর যদি করোনা না আসত তবুও বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিত।