ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ থাকছে যে কোটা

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। তবে সহকারী শিক্ষকের পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ায় এবার জাতীয় কোটা বাতিল হলেও শতভাগ বহাল থাকছে অভ্যন্তরীণ কোটা।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। সে কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এগুলোর মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১০ হাজার শূন্যপদে (কম-বেশি) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এম মনসুর আলম বলেন, কোটা অনুসরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাই। সেখান থেকে সরকারি চাকরি নিয়োগবিধি ১৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে জাতীয় কোটা বাতিল করতে বলা হয়। সেটি অনুসরণ করে ডিপিইকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা বহাল থাকবে। সে অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) বা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। বুয়েট ও টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে শতভাগ থাকছে যে কোটা

আপডেট টাইম ০৭:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:: সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। তবে সহকারী শিক্ষকের পদটি ১৩তম গ্রেড হওয়ায় এবার জাতীয় কোটা বাতিল হলেও শতভাগ বহাল থাকছে অভ্যন্তরীণ কোটা।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের সব কোটা বাতিল করা হয়েছে। সে কোটাগুলো হলো- মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা। তবে নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। এগুলোর মধ্যে আবার প্রতিটিতে ২০ শতাংশ করে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের কোটা অনুসরণ করা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্র জানায়, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক এবং ১০ হাজার শূন্যপদে (কম-বেশি) সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এম মনসুর আলম বলেন, কোটা অনুসরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠাই। সেখান থেকে সরকারি চাকরি নিয়োগবিধি ১৮ এর ২ ধারা অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কোটা বহাল রেখে জাতীয় কোটা বাতিল করতে বলা হয়। সেটি অনুসরণ করে ডিপিইকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী, নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা বহাল থাকবে। সে অনুযায়ী লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনকারী নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস) বা সমমান ডিগ্রি করা হয়েছে। গত বছর অনলাইন আবেদন ফি ১৬৬ টাকা হলেও এবার আবেদন ফি কিছুটা বাড়ানো হচ্ছে। বুয়েট ও টেলিটক মোবাইল কোম্পানির সহায়তায় আবেদন গ্রহণ, কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পাঠানো, খাতা মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশ করা হবে।