ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলেমদের বিতর্কিত করতে ‘ষড়যন্ত্রের জাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক::দেশ বরেণ্য আলেমদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক উপদেশ এবং দাবিকে বিতর্কিত করার জন্য কুষ্টিয়ায় কে বা কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে বলে মন্তব্য করেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

হেফাজত ইসলাম ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া বা গোপন তৎপরতা পথ অনুসরণ বা অনুমোদন করে না’ দাবি করে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা জানা থাকার পরও সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও সমর্থকদের মধ্যকার ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল কুষ্টিয়ার ঘটনার দায় ওলামায়ে কেরাম ও হেফাজতের নেতৃবৃন্দের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের ঘায়েল করার অপচেষ্টা করছে।’

সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভাস্কর্য নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আলেমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার মধ্যে দিয়েই এই সমস্যার সমাধান যেন সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকেরা জানতে চান, কবে এই বৈঠক হবে। জবাবে মাহফুজুল হক বলেন, সময় এখনো ঠিক হয়নি, যোগাযোগ চলছে। তাঁরা আশাবাদী, দ্রুত সময়ে বৈঠকের ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা নূরুল ইসলাম। তিনি ভাস্কর্য বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি চান বলে জানান মাওলানা নূরুল ইসলাম। তবে তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছবি নিয়ে কিছু সন্দেহও প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ উপদেষ্টা আবুল কালাম, আব্দুল হামিদ, আব্দুল আউয়াল, আহমদ আবদুল কাদের, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন সংবাদ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

আলেমদের বিতর্কিত করতে ‘ষড়যন্ত্রের জাল’

আপডেট টাইম ০৪:৩৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক::দেশ বরেণ্য আলেমদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক উপদেশ এবং দাবিকে বিতর্কিত করার জন্য কুষ্টিয়ায় কে বা কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে বলে মন্তব্য করেছে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।

হেফাজত ইসলাম ‘আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া বা গোপন তৎপরতা পথ অনুসরণ বা অনুমোদন করে না’ দাবি করে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘এটা জানা থাকার পরও সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও সমর্থকদের মধ্যকার ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল কুষ্টিয়ার ঘটনার দায় ওলামায়ে কেরাম ও হেফাজতের নেতৃবৃন্দের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের ঘায়েল করার অপচেষ্টা করছে।’

সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভাস্কর্য নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান চায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। আলেমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার মধ্যে দিয়েই এই সমস্যার সমাধান যেন সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকেরা জানতে চান, কবে এই বৈঠক হবে। জবাবে মাহফুজুল হক বলেন, সময় এখনো ঠিক হয়নি, যোগাযোগ চলছে। তাঁরা আশাবাদী, দ্রুত সময়ে বৈঠকের ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা নূরুল ইসলাম। তিনি ভাস্কর্য বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

কুষ্টিয়ায় জাতির পিতার ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তি চান বলে জানান মাওলানা নূরুল ইসলাম। তবে তারা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছবি নিয়ে কিছু সন্দেহও প্রকাশ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ উপদেষ্টা আবুল কালাম, আব্দুল হামিদ, আব্দুল আউয়াল, আহমদ আবদুল কাদের, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন সংবাদ উপস্থিত ছিলেন।