ঢাকা ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর দেশজুড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারাদেশের সড়কে নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শনিবার সকাল এগারোটার দিকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। কোথাও মানববন্ধন, কোথাও সমাবেশ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিচারকরাও মাঠে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনেয়ারুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমদসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

ঢাকার কর্মসূচিতে তুলনামূলক নবীন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, জাতির পিতা ও বাংলাদেশ অভিন্ন। তাই কেউ বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবে, তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করবে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারণ জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক।

সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ শোভাযাত্রা দামপাড়া থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক

মানববন্ধন শেষে জেলা দায়রা জজ আদালত মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারাদেশ বিক্ষুব্ধ, বিচারকরাও তার অংশ। বিচারকরা বিচার করবে, একই সঙ্গে প্রতিবাদও করবে। নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় ১০০ বিচারক আজকের মানববন্ধন ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তারা দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছেন বিচারকরা শুধু বিচার করেন না, প্রতিবাদও করতে জানেন। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের সামনে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।’

মানববন্ধনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

বরগুনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। যারা তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা, এদের পেছনে মদতদাতাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর দেশজুড়ে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

আপডেট টাইম ০৪:২৯:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক:: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে সারাদেশের সড়কে নেমে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শনিবার সকাল এগারোটার দিকে রাজধানীসহ দেশজুড়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। কোথাও মানববন্ধন, কোথাও সমাবেশ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বিচারকরাও মাঠে নেমেছেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাতে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনেয়ারুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমদসহ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।

ঢাকার কর্মসূচিতে তুলনামূলক নবীন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ব্যানার নিয়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয়েছেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বলেন, জাতির পিতা ও বাংলাদেশ অভিন্ন। তাই কেউ বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করবে, তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করবে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। কারণ জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক।

সকাল সাড়ে ১০টায় নগরের দামপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি প্রতিবাদ শোভাযাত্রা দামপাড়া থেকে জেলা শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে।

ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও র‌্যালি করেছেন চট্টগ্রামের ১০০ বিচারক

মানববন্ধন শেষে জেলা দায়রা জজ আদালত মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ সারাদেশ বিক্ষুব্ধ, বিচারকরাও তার অংশ। বিচারকরা বিচার করবে, একই সঙ্গে প্রতিবাদও করবে। নাগরিক হিসেবে বিচারকেরও দায়িত্ব আছে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হওয়ার।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রায় ১০০ বিচারক আজকের মানববন্ধন ও শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। তারা দেশবাসীকে জানাতে চাচ্ছেন বিচারকরা শুধু বিচার করেন না, প্রতিবাদও করতে জানেন। জাতির জনকের প্রশ্নে বিচারকদের সামনে আপস করার কোনো সুযোগ নেই। জাতির জনকের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব।’

মানববন্ধনে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।

বরগুনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘জাতির পিতার প্রশ্নে কোনো আপস নেই। যারা তার ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেপ্তার করা, এদের পেছনে মদতদাতাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।’