ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বললেন নোয়াখালীর সেই নেতা

অনলাইন ডেস্ক::বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মীর্জার একটি বক্তব্য গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি নির্বাচন ও দলীয় এমপিদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন।

আবদুল কাদের মীর্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বিদায়ী মেয়র এবং সামনের সপ্তাহে ওই এলাকার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যানারে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন-চারটা আাসন বাদে আমাদের এমপিরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। নোয়াখালীর স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি সেসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে তার এই বক্তব্যকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের ফসল হিসাবে দেখা হচ্ছে।

মেয়র প্রার্থী হিসাবে ইশতেহার ঘোষণার সময় দেয়া বক্তব্যে আবদুল কাদের মীর্জা বলেছিলেন, ‘বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু চামচা নেতা আছেন, যারা বলেন অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে তারা বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গেছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন চারটা আসন ছাড়া বাকি আসনে আমাদের এমপিরা পালানোর দরজা খুঁজে পাবে না। এটাই হলো সত্য কথা।’

বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালীর প্রসঙ্গে এই কথা বলেছি। আমি বলছি, সত্যিকার গণতান্ত্রিকভাবে যদি ভোট হয়, সেক্ষেত্রে নোয়াখালীতে দুই-চারজন এমপি ছাড়া বাকিরা পালানোর পথ পাবে না। দুই-একজন এমপির কারণে এখানে জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে।’

‘আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, যে গণতন্ত্র থেকে আজ মানুষ বঞ্চিত, যে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, এটা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি মনে-প্রাণে, জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন’।

তাহলে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, সেগুলো কেমন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন, জানতে চাইলে আবদুল কাদের মীর্জা বলছেন, ‘আসলে আমাদের দেশে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, তার বেশিরভাগই অনিয়ম অতি উৎসাহীরা করছে। যেখানে যার অবস্থান আছে, দৈহিক বল আছে, যাদের সমর্থন আছে, তারাও জিতছে, কিন্তু দৈহিক বলটা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে যা বললেন নোয়াখালীর সেই নেতা

আপডেট টাইম ০১:২৯:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
অনলাইন ডেস্ক::বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মীর্জার একটি বক্তব্য গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তিনি নির্বাচন ও দলীয় এমপিদের সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছিলেন। বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার বক্তব্যের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেছেন।

আবদুল কাদের মীর্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বিদায়ী মেয়র এবং সামনের সপ্তাহে ওই এলাকার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ব্যানারে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন-চারটা আাসন বাদে আমাদের এমপিরা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। নোয়াখালীর স্থানীয় রাজনীতি সম্পর্কে তিনি সেসব কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগ থেকে তার এই বক্তব্যকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধের ফসল হিসাবে দেখা হচ্ছে।

মেয়র প্রার্থী হিসাবে ইশতেহার ঘোষণার সময় দেয়া বক্তব্যে আবদুল কাদের মীর্জা বলেছিলেন, ‘বৃহত্তর নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কিছু কিছু চামচা নেতা আছেন, যারা বলেন অমুক নেতা, তমুক নেতার নেতৃত্বে তারা বিএনপির দুর্গ ভেঙ্গেছে। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিন চারটা আসন ছাড়া বাকি আসনে আমাদের এমপিরা পালানোর দরজা খুঁজে পাবে না। এটাই হলো সত্য কথা।’

বিবিসির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি নোয়াখালীর প্রসঙ্গে এই কথা বলেছি। আমি বলছি, সত্যিকার গণতান্ত্রিকভাবে যদি ভোট হয়, সেক্ষেত্রে নোয়াখালীতে দুই-চারজন এমপি ছাড়া বাকিরা পালানোর পথ পাবে না। দুই-একজন এমপির কারণে এখানে জনপ্রিয়তা নষ্ট হচ্ছে।’

‘আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, যে গণতন্ত্র থেকে আজ মানুষ বঞ্চিত, যে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, এটা পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি মনে-প্রাণে, জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে পারবেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারবেন’।

তাহলে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, সেগুলো কেমন হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন, জানতে চাইলে আবদুল কাদের মীর্জা বলছেন, ‘আসলে আমাদের দেশে এখন যে নির্বাচনগুলো হচ্ছে, তার বেশিরভাগই অনিয়ম অতি উৎসাহীরা করছে। যেখানে যার অবস্থান আছে, দৈহিক বল আছে, যাদের সমর্থন আছে, তারাও জিতছে, কিন্তু দৈহিক বলটা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’