ঢাকা ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিকা প্রদানে অক্সিজেনের মহতি উদ্যোগ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে টিকা প্রদানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফ্রিতে রেজিষ্ট্রেশন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত ব্যবস্থার কাজ করছে ঠাকুরগাঁওয়ের অক্সিজেন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার এ স্বোচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিতে রোজিষ্ট্রেশন করে দিচ্ছেন। গ্রামের অবুঝ মানুষগুলোর রেজিস্ট্রেশনের পর নির্ধারিত তারিখে তাদেরকে টিকা প্রদানে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের খরচও বহন করছেন। এতে খুশি স্থানীয় এলাকাবাসিরা। স্থানীয়রা জানান, করোনা টিকা প্রদানে রেজিষ্ট্রেশন কিভাবে করতে হয়। কবে টিকা দিবে সব কিছু আমাদের অজানা। এই সংগঠনের সদস্যরা আমাদের বাসায় বাসায় এসে টিকা দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। সেই সাথে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন ও টিকার তারিখ পরার পর তারাই আমাদেও দিনক্ষন জানিয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা কওে দিচ্ছেন। এতে আমরা অত্যান্ত খুশি। তাদের কাজের আমরা সাদুবাদ জানাই। এ বিষয়ে স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন অক্সিজেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ মোজাহেদুর ইসলাম জানান, করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ায় কারন সীমান্তবর্তী উপজেলায় বসবাসরত মানুষগুলোর কোন ধারনাই নেই স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মানতে হয় চলতে হয়। আর কিসের টিকা কেন দিতে হবে এর কাজ কি সে সব বিষয়েও তাদের অজানা। তাই আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এলাকার মানুষদের বাসায় বাসায় গিয়ে উদ্ভুদ্ধ করছি। সেই সাথে করোনা টিকা প্রদানে ফ্রিতে রেজিষ্ট্রেশনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত ব্যবস্থার কাজ করছি। আমরা মনে করি এ থেকে করোনা সংক্রামন ঠেকানো সম্ভব। যতদিন এই উপজেলার মানুষের শতভাগ টিকা গ্রহন শেষ না হবে ততদিন আমরা কাজ করে যাবো।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

টিকা প্রদানে অক্সিজেনের মহতি উদ্যোগ

আপডেট টাইম ০২:২১:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঠেকাতে টিকা প্রদানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফ্রিতে রেজিষ্ট্রেশন ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত ব্যবস্থার কাজ করছে ঠাকুরগাঁওয়ের অক্সিজেন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার এ স্বোচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিতে রোজিষ্ট্রেশন করে দিচ্ছেন। গ্রামের অবুঝ মানুষগুলোর রেজিস্ট্রেশনের পর নির্ধারিত তারিখে তাদেরকে টিকা প্রদানে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াতের খরচও বহন করছেন। এতে খুশি স্থানীয় এলাকাবাসিরা। স্থানীয়রা জানান, করোনা টিকা প্রদানে রেজিষ্ট্রেশন কিভাবে করতে হয়। কবে টিকা দিবে সব কিছু আমাদের অজানা। এই সংগঠনের সদস্যরা আমাদের বাসায় বাসায় এসে টিকা দিতে উদ্বুদ্ধ করছে। সেই সাথে ফ্রি রেজিষ্ট্রেশন ও টিকার তারিখ পরার পর তারাই আমাদেও দিনক্ষন জানিয়ে হাসপাতাল পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা কওে দিচ্ছেন। এতে আমরা অত্যান্ত খুশি। তাদের কাজের আমরা সাদুবাদ জানাই। এ বিষয়ে স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন অক্সিজেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ মোজাহেদুর ইসলাম জানান, করোনা সংক্রামন বেড়ে যাওয়ায় কারন সীমান্তবর্তী উপজেলায় বসবাসরত মানুষগুলোর কোন ধারনাই নেই স্বাস্থ্যবিধি কিভাবে মানতে হয় চলতে হয়। আর কিসের টিকা কেন দিতে হবে এর কাজ কি সে সব বিষয়েও তাদের অজানা। তাই আমাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এলাকার মানুষদের বাসায় বাসায় গিয়ে উদ্ভুদ্ধ করছি। সেই সাথে করোনা টিকা প্রদানে ফ্রিতে রেজিষ্ট্রেশনসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতায়াত ব্যবস্থার কাজ করছি। আমরা মনে করি এ থেকে করোনা সংক্রামন ঠেকানো সম্ভব। যতদিন এই উপজেলার মানুষের শতভাগ টিকা গ্রহন শেষ না হবে ততদিন আমরা কাজ করে যাবো।