ঢাকা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

সারাদিন ডেস্ক:: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। একইসঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে এবং অক্টোবরেই দলীয় সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে। এর আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বরিস জনসন।

এর আগে দেশটির ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এক সিনিয়র কর্মকর্তার যৌন অসদাচরণকে কেন্দ্র করে এ সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ প্রথম পদত্যাগ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী উইল কুইন্সসহ বেশ কয়েকজন বুধবার পদত্যাগ করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে পদত্যাগকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

যদিও এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পার্টি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু এখন পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।

তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর।

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৩৮:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই ২০২২

সারাদিন ডেস্ক:: যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বরিস জনসন। একইসঙ্গে কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়াতে চলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ পার্টির নতুন নেতা নির্বাচিত করা হবে এবং অক্টোবরেই দলীয় সম্মেলনে নতুন প্রধানমন্ত্রী ঠিক করা হবে। এর আগ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বরিস জনসন।

এর আগে দেশটির ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করেন। এক সিনিয়র কর্মকর্তার যৌন অসদাচরণকে কেন্দ্র করে এ সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে।

গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ প্রথম পদত্যাগ করেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী উইল কুইন্সসহ বেশ কয়েকজন বুধবার পদত্যাগ করা শুরু করেন। ধীরে ধীরে পদত্যাগকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে।

যদিও এর আগে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পার্টি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন কিন্তু এখন পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন বরিস ও তার সরকার। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে তিনি সমালোচনার জন্ম দেন। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও তাতে পার পেয়ে যান বরিস।

তবে দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর।

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দিয়েছে।