ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উই আর রেডি অর নট? উই আর রেডি।

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম বলেছেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ নিরাপদে ভোট দিতে পারুক আমরা এটা চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য থাকবে।

আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা রূপরেখা দিয়েছি। সংসদে যেসব দল আছে নির্বাচনের সময় তাদের দিয়ে মন্ত্রিসভা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। তারাই নির্বাচন করবে।

এরশাদ বলেন, মানুষ আমার কাছে বার্তা চায়। প্রথম বার্তা হচ্ছ—আমার ইতিহাস সৃষ্টি করব। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করব। এ আমার বার্তা। আমরা প্রস্তুত। দেশ প্রস্তুত। ২৫-৩০ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। দুই দল ক্ষমতায় ছিল। তারা জনগণকে কি দিয়েছে? অন্যায়-অবিচার। নারীদের লাঞ্ছনা, বেকারত্ব। জনগণকে তারা কিছু দিতে পারে নাই। শুধু লম্বা লম্বা কথা।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, কাল উন্নয়নশীল দেশ হলো। অনেক চাকচিক্য। অনেক লাইট। অনেক বাজি পোড়ানো হলো। ঢাকার বাইরে গিয়ে দেখুন, দেশের মানুষের কি অবস্থা। তখন বুঝবেন, কতটুকু উন্নতি করেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। খবরের কাগজ খুললেই খুন, নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যা। শুধু হত্যা আর রক্ত। কোথাও শান্তি নেই। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। শান্তি শুধু ঢাকায়। ঢাকার বাইরে শান্তি নেই। আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষকে শান্তি দেব।

এরশাদ বলেন, ‘শিক্ষার কথা বলি। শিক্ষা গোল্লায় গেছে, পচন ধরেছে। আগে পাশ করা কঠিন ছিল এখন ফেল করা কঠিন। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সহনশীল পর্যায়ে ঘুষ নেবেন। এ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।’

মহাসমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, এত বড় জনসমুদ্র আর কখনো দেখিনি। ঢাকার রাস্তা অবরুদ্ধ। সব রাস্তা বন্ধ। মানুষ চলতে পারছে না। এ মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাওয়ার শক্তি অর্জন করেছে। তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন-উই আর রেডি অর নট? উই আর রেডি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতি ছিলেন এরশাদ। সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ২৭ বছর পরীক্ষা দিয়েছি। ক্ষমতায় গেলে অনেকের মামলা উঠে যায়। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান (এরশাদ) বিরুদ্ধে এখনো মামলা চলছে। তাকে কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। দুটি দল ক্ষমতায় ছিল এত দিন। তাদের শাসনে গুম, খুন, ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এরশাদকে আবার ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মশিউর রহমান, সাংসদ আবু হোসেন প্রমুখ।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

উই আর রেডি অর নট? উই আর রেডি।

আপডেট টাইম ০২:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মার্চ ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম বলেছেন আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। জনগণ নিরাপদে ভোট দিতে পারুক আমরা এটা চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে সরকার বাধ্য থাকবে।

আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমরা রূপরেখা দিয়েছি। সংসদে যেসব দল আছে নির্বাচনের সময় তাদের দিয়ে মন্ত্রিসভা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। তারাই নির্বাচন করবে।

এরশাদ বলেন, মানুষ আমার কাছে বার্তা চায়। প্রথম বার্তা হচ্ছ—আমার ইতিহাস সৃষ্টি করব। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করব। এ আমার বার্তা। আমরা প্রস্তুত। দেশ প্রস্তুত। ২৫-৩০ বছর আমরা ক্ষমতায় ছিলাম না। দুই দল ক্ষমতায় ছিল। তারা জনগণকে কি দিয়েছে? অন্যায়-অবিচার। নারীদের লাঞ্ছনা, বেকারত্ব। জনগণকে তারা কিছু দিতে পারে নাই। শুধু লম্বা লম্বা কথা।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, কাল উন্নয়নশীল দেশ হলো। অনেক চাকচিক্য। অনেক লাইট। অনেক বাজি পোড়ানো হলো। ঢাকার বাইরে গিয়ে দেখুন, দেশের মানুষের কি অবস্থা। তখন বুঝবেন, কতটুকু উন্নতি করেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। খবরের কাগজ খুললেই খুন, নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যা। শুধু হত্যা আর রক্ত। কোথাও শান্তি নেই। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। শান্তি শুধু ঢাকায়। ঢাকার বাইরে শান্তি নেই। আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ইউনিয়নে মানুষকে শান্তি দেব।

এরশাদ বলেন, ‘শিক্ষার কথা বলি। শিক্ষা গোল্লায় গেছে, পচন ধরেছে। আগে পাশ করা কঠিন ছিল এখন ফেল করা কঠিন। যেখানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সহনশীল পর্যায়ে ঘুষ নেবেন। এ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।’

মহাসমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, এত বড় জনসমুদ্র আর কখনো দেখিনি। ঢাকার রাস্তা অবরুদ্ধ। সব রাস্তা বন্ধ। মানুষ চলতে পারছে না। এ মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় যাওয়ার শক্তি অর্জন করেছে। তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন-উই আর রেডি অর নট? উই আর রেডি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতি ছিলেন এরশাদ। সারা দেশ থেকে জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা ২৭ বছর পরীক্ষা দিয়েছি। ক্ষমতায় গেলে অনেকের মামলা উঠে যায়। কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান (এরশাদ) বিরুদ্ধে এখনো মামলা চলছে। তাকে কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে। দুটি দল ক্ষমতায় ছিল এত দিন। তাদের শাসনে গুম, খুন, ব্যাংক লুটপাট হয়েছে। দেশের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এরশাদকে আবার ক্ষমতায় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মশিউর রহমান, সাংসদ আবু হোসেন প্রমুখ।