ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁও জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা দিবস পালিত

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউদ্দৌজা বদর, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার আলী, শুখানপুকুরী ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান প্রমুখ। পরে শহীদ বিধবাদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক আকতারুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের জাটিভাঙ্গা গ্রামের লোকজন একাত্তরের ২৩ এপ্রিল ভারতে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে স্ত্রী সন্তান সহায়-সম্বল নিয়ে রওয়ানা হয়। ভোরের দিকে স্থানীয় রাজাকার তাদের পথরোধ করে টাকা পয়সা সোনা গয়না লুট করে নেয়। এরপর তাদের সবাইকে ওই গ্রামে আটক করে রাখে। পরে রাজাকারেরা পাকসেনাদের খবর দেয়।

পাকবাহিনী এসে বেলা ১০টার দিকে ৫ শতাধিক লোককে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাখির মতো হত্যা করে। আশপাশের লোকজনের লাশ নদীর পাড়ে স্থুপ করে মাটি চাপা দেয়া হয়। পরে তাদের যুবতী স্ত্রীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। যারা সহজে রাজি হয়নি তাদের অনেককে গুলি করে। ওই সময়ে একই সঙ্গে বিধবা হয় প্রায় ৩শ নারী।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

ঠাকুরগাঁও জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা দিবস পালিত

আপডেট টাইম ০১:২৫:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ এপ্রিল ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক:: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক আখতারুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান তৈমুর রহমান, জেলা ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউদ্দৌজা বদর, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার আলী, শুখানপুকুরী ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান প্রমুখ। পরে শহীদ বিধবাদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক আকতারুজ্জামান।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুকুরী ইউনিয়নের জাটিভাঙ্গা গ্রামের লোকজন একাত্তরের ২৩ এপ্রিল ভারতে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে স্ত্রী সন্তান সহায়-সম্বল নিয়ে রওয়ানা হয়। ভোরের দিকে স্থানীয় রাজাকার তাদের পথরোধ করে টাকা পয়সা সোনা গয়না লুট করে নেয়। এরপর তাদের সবাইকে ওই গ্রামে আটক করে রাখে। পরে রাজাকারেরা পাকসেনাদের খবর দেয়।

পাকবাহিনী এসে বেলা ১০টার দিকে ৫ শতাধিক লোককে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাখির মতো হত্যা করে। আশপাশের লোকজনের লাশ নদীর পাড়ে স্থুপ করে মাটি চাপা দেয়া হয়। পরে তাদের যুবতী স্ত্রীদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। যারা সহজে রাজি হয়নি তাদের অনেককে গুলি করে। ওই সময়ে একই সঙ্গে বিধবা হয় প্রায় ৩শ নারী।