ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানসিক সীমাবদ্ধতাই মূল সমস্যা সাকিব-তামিমদের

আফগান সিরিজে সব বিভাগেই বিপুল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিবকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দিচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা

সাকিবের আফসোস দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ডসাকিবের আফসোস দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ড
আফগান সিরিজে সব বিভাগেই বিপুল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিবকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দিচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা

‘ওষুধ দেওয়ার জায়গা কোথায়, সর্বাঙ্গেই যে ব্যথা’—আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থা এমনই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই আফগানদের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেও তিন বিভাগেই উন্নতি করার কথা বলেছেন। কিন্তু এই সিরিজে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতার ব্যাপারটিই সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে তাঁকে। গতকালকের ম্যাচ শেষে আফসোস করে বলেছেন, ‘আমরা এখনো মানসিক বাধাটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম না!’

সিরিজ হারটা সম্পন্ন হয়েছিল আগেই। কাল পুরো হলো ধবলধোলাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারা যে কোনোমতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ‘স্বাস্থ্যকর’ কোনো বিষয় নয়, সেটা সবাই জানে। ব্যাপারটা ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন ধাক্কা দিয়েছে যে দলের সমালোচনার ভাষাও তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন। বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচটা নিয়ে আশা ছিল। বাংলাদেশ অন্তত এই ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলবে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ ‘সামর্থ্য’ অনুযায়ী খেলেছে ঠিকই। আরও একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে নিজেদের মানসিক সামর্থ্য। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটি নিয়ে বলতেও হয়েছে সাকিবকে। অধিনায়ক বুঝতে পারছেন না বারবার এমনটা কেন হয়। ক্লোজ ম্যাচগুলো কেন বাংলাদেশ হেরে যায় বারবার, ‘সত্যি বলতে কি, আমি নিজেও জানি না কেন এমন হচ্ছে। আমি নিজে অবশ্য কখনোই এই পরিস্থিতিতে পড়িনি (ম্যাচের একেবারে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে ব্যাটিং ও বোলিং)। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলাররাই ভালো বলতে পারবে এ সম্পর্কে। আমি মনে করি এটা মানসিক সীমাবদ্ধতা, বাধা। আমরা আজও মানসিক বাধাটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম না।’

পুরো সিরিজে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা একেবারেই পছন্দ হয়নি সাকিবের। এটা সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণ হিসেবেই মনে করেন তিনি, ‘আমরা অতীতে অনেক জায়গাতেই দুর্দান্ত বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু সেই শরীরী ভাষাটা এবার এখানে কারও মধ্যেই দেখতে পেলাম না।’

গতকাল রশিদ খানের শেষ ওভার থেকে ৯ রান তুললেই ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। ৬ বলে ৯ রান। রশিদ খান দুর্দান্ত বোলার, সন্দেহ নেই। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মতো দুই সেট ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকতে ম্যাচটা বাংলাদেশ কেন জিততে পারল না, সেটি ভাবাচ্ছে সাকিবকে, ‘যত ভালো বোলারই হোক, শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। উইকেটে আছে দুজন সেট ব্যাটসম্যান। আমরা আশা করব, সেট ব্যাটসম্যানরা ৬ বলে ৯ রান তুলে নেবেন। তবে এটা বলে রাখছি, এর মানে কিন্তু নয় যে আমরা শেষ ওভারের ৯ রান তুলতে পারিনি দেখে ম্যাচটা হেরেছি।’

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মানসিক সীমাবদ্ধতাই মূল সমস্যা সাকিব-তামিমদের

আপডেট টাইম ০৪:৫৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুন ২০১৮

আফগান সিরিজে সব বিভাগেই বিপুল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিবকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দিচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা

সাকিবের আফসোস দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ডসাকিবের আফসোস দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা নিয়ে। ছবি: আফগান ক্রিকেট বোর্ড
আফগান সিরিজে সব বিভাগেই বিপুল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। সাকিবকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দিচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের মানসিক সীমাবদ্ধতা

‘ওষুধ দেওয়ার জায়গা কোথায়, সর্বাঙ্গেই যে ব্যথা’—আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থা এমনই। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, তিন বিভাগেই আফগানদের কাছে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেও তিন বিভাগেই উন্নতি করার কথা বলেছেন। কিন্তু এই সিরিজে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতার ব্যাপারটিই সবচেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে তাঁকে। গতকালকের ম্যাচ শেষে আফসোস করে বলেছেন, ‘আমরা এখনো মানসিক বাধাটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম না!’

সিরিজ হারটা সম্পন্ন হয়েছিল আগেই। কাল পুরো হলো ধবলধোলাই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারা যে কোনোমতেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ‘স্বাস্থ্যকর’ কোনো বিষয় নয়, সেটা সবাই জানে। ব্যাপারটা ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন ধাক্কা দিয়েছে যে দলের সমালোচনার ভাষাও তাঁরা হারিয়ে ফেলেছেন। বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে শেষ ম্যাচটা নিয়ে আশা ছিল। বাংলাদেশ অন্তত এই ম্যাচে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলবে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ ‘সামর্থ্য’ অনুযায়ী খেলেছে ঠিকই। আরও একটি শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে নিজেদের মানসিক সামর্থ্য। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাপারটি নিয়ে বলতেও হয়েছে সাকিবকে। অধিনায়ক বুঝতে পারছেন না বারবার এমনটা কেন হয়। ক্লোজ ম্যাচগুলো কেন বাংলাদেশ হেরে যায় বারবার, ‘সত্যি বলতে কি, আমি নিজেও জানি না কেন এমন হচ্ছে। আমি নিজে অবশ্য কখনোই এই পরিস্থিতিতে পড়িনি (ম্যাচের একেবারে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে ব্যাটিং ও বোলিং)। ব্যাটসম্যান কিংবা বোলাররাই ভালো বলতে পারবে এ সম্পর্কে। আমি মনে করি এটা মানসিক সীমাবদ্ধতা, বাধা। আমরা আজও মানসিক বাধাটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম না।’

পুরো সিরিজে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা একেবারেই পছন্দ হয়নি সাকিবের। এটা সিরিজে বাজে পারফরম্যান্সের একটা বড় কারণ হিসেবেই মনে করেন তিনি, ‘আমরা অতীতে অনেক জায়গাতেই দুর্দান্ত বোলিং, ফিল্ডিং কিংবা ব্যাটিং দিয়ে ম্যাচ জিতেছি। কিন্তু সেই শরীরী ভাষাটা এবার এখানে কারও মধ্যেই দেখতে পেলাম না।’

গতকাল রশিদ খানের শেষ ওভার থেকে ৯ রান তুললেই ম্যাচটা নিজেদের করে নিতে পারত বাংলাদেশ। ৬ বলে ৯ রান। রশিদ খান দুর্দান্ত বোলার, সন্দেহ নেই। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মতো দুই সেট ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকতে ম্যাচটা বাংলাদেশ কেন জিততে পারল না, সেটি ভাবাচ্ছে সাকিবকে, ‘যত ভালো বোলারই হোক, শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। উইকেটে আছে দুজন সেট ব্যাটসম্যান। আমরা আশা করব, সেট ব্যাটসম্যানরা ৬ বলে ৯ রান তুলে নেবেন। তবে এটা বলে রাখছি, এর মানে কিন্তু নয় যে আমরা শেষ ওভারের ৯ রান তুলতে পারিনি দেখে ম্যাচটা হেরেছি।’