ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেন্ডারের আগে কাজ শেষ্ আবার কাজ বিক্রি

sdr

খুরশিদ আলম শাওন রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় টেন্ডার না হতেই সরকারী কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠার পর কাজটি। টেন্ডার হওয়ার পর পূর্বের কাজ দেখিয়ে ঠিকাদারকে ম্যানেজ করে টাকা নেওয়ার পায়তারা তো রয়েছেই। পাশাপাশি গতকাল মঙ্গলবার ঐ ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ইতিমধ্যে কাজগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন তারা যা বিধি মতে অনিয়ম বলে জানা যায়। চেয়ারম্যানের অফিস সংস্কার কাজটি পায় ঠাকুরগায়ের ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন,তিনি মুঠোফোনে জানান,আমি কাজটি রানীশংকৈলের ঠিকাদার মনিরুলের নিকট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। অপরদিকে ইউএনওর বাস ভবন সংস্কারের কাজ পাওয়া দিনাজপুরের ঠিকাদার কামরুল হাসানও মনিরুলের কাছে কাজ বিক্রির কথা স্বীকার করলেও কত টাকাই বিক্রি করেছেন তা স্বীকার করেন নি। এলজিইডি সুত্রে জানা যায়,টেন্ডার কৃত কাজ বিক্রি করার আইনগত কোন বিধান নেই। এদিকে জুন মাসের মধ্যে এই টেন্ডারের বিলের টাকা উত্তোলন করতে হবে। এবং কাজ না করে ইতিম্যেধ সে টাকা উত্তোলন করারও পায়তারা চলছে।
উল্লেখ্য যে,চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মৌসুমী আফরিদা। যোগদানের পর ইউএনও’র সরকারী বাস ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি ভবনটির ওয়াটার লাইনের সংস্কার ঘর সংস্কারসহ বাড়ী রং ইলেকট্রিক অন্যান্য কাজ শুরু করে ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেন। আর এসব কাজের মালামাল উপজেলার বিভিন্ন দোকান থেকে কিছু টাকা দিয়ে বাকীতে ক্রয় করে কাজ করেন বলে দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এদিকে সমাপ্ত করা এ কাজের উপর ভিত্তি করে গত ৭ মে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে ইউএনও বাস ভবন সংস্কার ১১লাখ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কোয়াটার সংস্কার ৬ লাখ টাকা গেজেটেড কর্মকর্তাদের বাস ভবন সংস্কার ৩লাখ টাকা ইস্টিমেট কষ্ট দেখিয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কারচুপি করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঠিকাদার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান।
টেন্ডারে মেসার্স কামরুল হাসান নামীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউএনওর বাসভবন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য চুক্তি সম্পাদন করেন। এখন বাধ সাধে যে ভবনের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হলো সে কাজ তার আগেই সমাপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী নিয়মভঙ্গ করে কাজ করা হয়েছে মর্মে ভুয়া ভাবে বিল পাশ করার চক্রান্ত চলছে। যা সম্পন্ন অনিয়ম। নিয়মনুযায়ী ঠিকাদারকে কাজ করে বিল নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কাজতো আগেই হয়েছে। কাজ হবে কথায়। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংস্কারের কাজটিও টেন্ডারের আগেই সমাপ্ত হয়েছে। যা নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে উপজেলা প্রশাসনের একজন প্রধান কর্মকর্তা হয়ে এমন অনিয়ম নিয়ে। সচেতন মহলের প্রশ্ন তাহলে অন্যান্য দপ্তরে এই ইউএনওর ইন্ধনে কত অনিয়ম হচ্ছে?

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

টেন্ডারের আগে কাজ শেষ্ আবার কাজ বিক্রি

আপডেট টাইম ০৫:৫০:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুন ২০১৮

খুরশিদ আলম শাওন রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাও) প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় টেন্ডার না হতেই সরকারী কাজ সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠার পর কাজটি। টেন্ডার হওয়ার পর পূর্বের কাজ দেখিয়ে ঠিকাদারকে ম্যানেজ করে টাকা নেওয়ার পায়তারা তো রয়েছেই। পাশাপাশি গতকাল মঙ্গলবার ঐ ঠিকাদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়,ইতিমধ্যে কাজগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন তারা যা বিধি মতে অনিয়ম বলে জানা যায়। চেয়ারম্যানের অফিস সংস্কার কাজটি পায় ঠাকুরগায়ের ঠিকাদার ইসমাইল হোসেন,তিনি মুঠোফোনে জানান,আমি কাজটি রানীশংকৈলের ঠিকাদার মনিরুলের নিকট ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি। অপরদিকে ইউএনওর বাস ভবন সংস্কারের কাজ পাওয়া দিনাজপুরের ঠিকাদার কামরুল হাসানও মনিরুলের কাছে কাজ বিক্রির কথা স্বীকার করলেও কত টাকাই বিক্রি করেছেন তা স্বীকার করেন নি। এলজিইডি সুত্রে জানা যায়,টেন্ডার কৃত কাজ বিক্রি করার আইনগত কোন বিধান নেই। এদিকে জুন মাসের মধ্যে এই টেন্ডারের বিলের টাকা উত্তোলন করতে হবে। এবং কাজ না করে ইতিম্যেধ সে টাকা উত্তোলন করারও পায়তারা চলছে।
উল্লেখ্য যে,চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন মৌসুমী আফরিদা। যোগদানের পর ইউএনও’র সরকারী বাস ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন না থাকলেও তিনি ভবনটির ওয়াটার লাইনের সংস্কার ঘর সংস্কারসহ বাড়ী রং ইলেকট্রিক অন্যান্য কাজ শুরু করে ইতিমধ্যে সমাপ্ত করেন। আর এসব কাজের মালামাল উপজেলার বিভিন্ন দোকান থেকে কিছু টাকা দিয়ে বাকীতে ক্রয় করে কাজ করেন বলে দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এদিকে সমাপ্ত করা এ কাজের উপর ভিত্তি করে গত ৭ মে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে ইউএনও বাস ভবন সংস্কার ১১লাখ টাকা উপজেলা চেয়ারম্যান কোয়াটার সংস্কার ৬ লাখ টাকা গেজেটেড কর্মকর্তাদের বাস ভবন সংস্কার ৩লাখ টাকা ইস্টিমেট কষ্ট দেখিয়ে টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডারে কারচুপি করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঠিকাদার ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান।
টেন্ডারে মেসার্স কামরুল হাসান নামীয় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ইউএনওর বাসভবন সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার জন্য চুক্তি সম্পাদন করেন। এখন বাধ সাধে যে ভবনের কাজ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হলো সে কাজ তার আগেই সমাপ্ত করে নেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা এলজিইডি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারী নিয়মভঙ্গ করে কাজ করা হয়েছে মর্মে ভুয়া ভাবে বিল পাশ করার চক্রান্ত চলছে। যা সম্পন্ন অনিয়ম। নিয়মনুযায়ী ঠিকাদারকে কাজ করে বিল নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু কাজতো আগেই হয়েছে। কাজ হবে কথায়। একইভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানের সংস্কারের কাজটিও টেন্ডারের আগেই সমাপ্ত হয়েছে। যা নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে উপজেলা প্রশাসনের একজন প্রধান কর্মকর্তা হয়ে এমন অনিয়ম নিয়ে। সচেতন মহলের প্রশ্ন তাহলে অন্যান্য দপ্তরে এই ইউএনওর ইন্ধনে কত অনিয়ম হচ্ছে?