ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীন মৈত্রী সেতুতে টোল নিয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, নিহত ১

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::টোলের হার বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সেখানে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সংঘর্ষস্থল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজনকে কাছের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের নাম সোহেল (২৮)। মহেন্দ্র গাড়ির চালক সোহেল পুলিশের গুলিতে নিহত হন বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানান। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক কারিমুল হাসান “গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ আমাদের এখানে এসেছিল। তার বুকের নিচে ও পেটের উপরে গুলির জখম ছিল। পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে গেছে।” বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান  বলেন, “আমি একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি, ঘটনাটি পুরোপুরি জানলে নিশ্চিত করতে পারব।” সংঘর্ষে শ্রমিক-পুলিশ মিলিয়ে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়িও ভাংচুর হয়েছে। বহু শ্রমিককে পুলিশ আটক করেছে বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। সংঘর্ষের সময় সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দুপুর ১২টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। শ্রমিকরা বলছেন, এই সেতুতে আগে ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। গত ২২ অক্টোবর সেই টোল বাড়িয়ে করা হয় ২৪০ টাকা। হঠাৎ করে এত বেশি টোল বাড়ানোয় তারা বিপাকে পড়েছেন। এই টোল কমিয়ে আনার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা; শুক্রবার তা সহিংস রূপ নিল। বুড়িগঙ্গা নদীর উপর এই সেতুর টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৫ সালে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে তিন দিন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।
Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

চীন মৈত্রী সেতুতে টোল নিয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, নিহত ১

আপডেট টাইম ১০:১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অক্টোবর ২০১৮
আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::টোলের হার বাড়ানোর প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকরা শুক্রবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ সেখানে যায়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়লে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সংঘর্ষস্থল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ একজনকে কাছের ইকুরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের নাম সোহেল (২৮)। মহেন্দ্র গাড়ির চালক সোহেল পুলিশের গুলিতে নিহত হন বলে পরিবহন শ্রমিকরা জানান। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক কারিমুল হাসান “গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ আমাদের এখানে এসেছিল। তার বুকের নিচে ও পেটের উপরে গুলির জখম ছিল। পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে গেছে।” বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করলে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান  বলেন, “আমি একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি। খোঁজ নিচ্ছি, ঘটনাটি পুরোপুরি জানলে নিশ্চিত করতে পারব।” সংঘর্ষে শ্রমিক-পুলিশ মিলিয়ে অন্তত অর্ধশত আহত হয়েছেন। পুলিশের গাড়িও ভাংচুর হয়েছে। বহু শ্রমিককে পুলিশ আটক করেছে বলেও বিক্ষোভকারীদের দাবি। সংঘর্ষের সময় সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দুপুর ১২টার পর পরিস্থিতি শান্ত হলে গাড়ি চলাচল শুরু হয়। শ্রমিকরা বলছেন, এই সেতুতে আগে ট্রাকের টোল ছিল ৩০ টাকা। গত ২২ অক্টোবর সেই টোল বাড়িয়ে করা হয় ২৪০ টাকা। হঠাৎ করে এত বেশি টোল বাড়ানোয় তারা বিপাকে পড়েছেন। এই টোল কমিয়ে আনার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করেছিলেন পরিবহন শ্রমিকরা; শুক্রবার তা সহিংস রূপ নিল। বুড়িগঙ্গা নদীর উপর এই সেতুর টোল বাড়ানোর প্রতিবাদে ২০১৫ সালে অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে তিন দিন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে নৌ পরিবহনমন্ত্রী ও পরিবহন শ্রমিক নেতা শাজাহান খানের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হয়।