ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রানীশংকৈলে ক্লাশ বাদ দিয়ে ইএসডিওর প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- কনকনে বাতাস তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার মধ্যে মানুষ যখন কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। ঠিক তখন গতকাল সোমবার ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চত্বরে খোলা আকাশের নিচে বসিয়ে ক্লাশ বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রতিযোগিতা করাচ্ছেন ইকো সোশ্যাল ডেভেলপম্যান্ট-ইএসডিও রানীশংকৈল শাখা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন সংরক্ষিত-৩০১ আসনের এসপি সেলিনা জাহান লিটা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক , ইউএনও খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইএসডিওর মাঠ সংগঠক খোকন, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহ আমিনুল ইসলাম,ব্যাবস্থাপক আইয়ুব আলী প্রমূখ।
বছরের শুরুতেই সরকার প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত সমগ্র দেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্য বই তুলে দিয়েছেন। পাঠ্য বই পাওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। নিয়মিত বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান দেওয়া শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
অথচ সে পাঠদান থেকে বঞ্চিত করে উপজেলার প্রায় ৮ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারী বালিকা,পাইলট,কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক,বলিদ্বারা,বিএন বালিকা,আবু জাহিদ,আরবী উচ্চ বিদ্যালয় ১০জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে পিকেএসএফের সহযোগিতায় ইএসডিও মাত্র ৩ঘন্টায় এক সাথে ৫টি যথাক্রমে পিঠা উৎসব,পৌষ মেলা,গণিত,সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাস্কণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা পারুক কিংবা নাই পারুক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে হবে এটাই চুড়ান্ত । এ জন্য ইএসডিও কতৃপক্ষ আগে থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা নেয়। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে একধরনের বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বাদ দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এখনতো বিদ্যালয়গুলোতে অনেক সাংস্কৃতিক সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে আমাদের ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহন করে সেখানে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীরা থাকে সে ক্ষেত্রে ক্লাশের পড়ায় পিছিয়ে পড়ার ভয় থাকে না। ইএসডিও যদি এভাবে আয়োজন না করে বিদ্যালয় ভিত্তিক আয়োজন করে তাহলে আর ক্লাশের পড়ায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে না। অভিভাবকদের মতামত প্রতিযোগিতা মুলক পড়াশুনায় একজন শিক্ষার্থীদের সময় কালক্ষেপন করা উচিত না।
এ ব্যাপারে ইএসডিওর দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহ আমিনুল ইসলাম বলেন,শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য আমরা বিদ্যালয়গুলো থেকে ভাল পারফরমেন্স করতে পারে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন করে থাকি। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রানীশংকৈলে ক্লাশ বাদ দিয়ে ইএসডিওর প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীরা

আপডেট টাইম ১০:৩২:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ- কনকনে বাতাস তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার মধ্যে মানুষ যখন কঠিন এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন। ঠিক তখন গতকাল সোমবার ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদ চত্বরে খোলা আকাশের নিচে বসিয়ে ক্লাশ বাদ দিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রতিযোগিতা করাচ্ছেন ইকো সোশ্যাল ডেভেলপম্যান্ট-ইএসডিও রানীশংকৈল শাখা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করেন সংরক্ষিত-৩০১ আসনের এসপি সেলিনা জাহান লিটা, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক , ইউএনও খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইএসডিওর মাঠ সংগঠক খোকন, সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহ আমিনুল ইসলাম,ব্যাবস্থাপক আইয়ুব আলী প্রমূখ।
বছরের শুরুতেই সরকার প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত সমগ্র দেশে একযোগে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পাঠ্য বই তুলে দিয়েছেন। পাঠ্য বই পাওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীরা পড়াশুনায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। নিয়মিত বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান দেওয়া শুরু করেছেন শিক্ষকরা।
অথচ সে পাঠদান থেকে বঞ্চিত করে উপজেলার প্রায় ৮ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সরকারী বালিকা,পাইলট,কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক,বলিদ্বারা,বিএন বালিকা,আবু জাহিদ,আরবী উচ্চ বিদ্যালয় ১০জন করে শিক্ষার্থী নিয়ে পিকেএসএফের সহযোগিতায় ইএসডিও মাত্র ৩ঘন্টায় এক সাথে ৫টি যথাক্রমে পিঠা উৎসব,পৌষ মেলা,গণিত,সুন্দর হাতের লেখা ও চিত্রাস্কণ বিষয়ের উপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতা করাচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা পারুক কিংবা নাই পারুক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে হবে এটাই চুড়ান্ত । এ জন্য ইএসডিও কতৃপক্ষ আগে থেকেই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানদের সাথে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা নেয়। প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে একধরনের বাধ্য হয়েই শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বাদ দিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, এখনতো বিদ্যালয়গুলোতে অনেক সাংস্কৃতিক সামাজিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে আমাদের ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহন করে সেখানে বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষার্থীরা থাকে সে ক্ষেত্রে ক্লাশের পড়ায় পিছিয়ে পড়ার ভয় থাকে না। ইএসডিও যদি এভাবে আয়োজন না করে বিদ্যালয় ভিত্তিক আয়োজন করে তাহলে আর ক্লাশের পড়ায় পিছিয়ে পড়ার সম্ভবনা থাকে না। অভিভাবকদের মতামত প্রতিযোগিতা মুলক পড়াশুনায় একজন শিক্ষার্থীদের সময় কালক্ষেপন করা উচিত না।
এ ব্যাপারে ইএসডিওর দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র কো-অর্ডিনেটর শাহ আমিনুল ইসলাম বলেন,শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য আমরা বিদ্যালয়গুলো থেকে ভাল পারফরমেন্স করতে পারে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ আয়োজন করে থাকি। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় সমস্যা হওয়ার কথা না।