ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাতিহার হাটের সরকারি জমি প্রভাবশালীদের দখলে tক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আদায়কারী

ষ্টাফ রিপোর্টার::ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাতিরহার হাটের সিংহ ভাগ সরকারি জমি এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। হাটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
হাটটি বাংলা ১৪২১ সনে এক বছরের জন্য ৬২ লক্ষ, ১৪২২ সনে ১ কোটি ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ও ১৪২৩ সনে ৭৯ লক্ষ ২শত টাকা বাৎসরিক ইজারা নিয়ে ইজারাদার রেজাউল ইসলাম ও এস.এম. রাজা মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গত ২১-০৩-২০১৭ ইং তারিখ কাতিহার হাট ১৪২৪ বাংলা সনের ১ বছর মেয়াদে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্যে উপজেলা প্রশাসন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী মোঃ গোলাম আজম ২৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার পে-অর্ডার সংযুক্ত করে ইজারাপত্র দাখিল করেন। ইজারাদার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাট ইজারা নিতে চাইলেও উপজেলা প্রশাসন ও ইউএনও অফিসের ওএস মোঃ রফিকুল ইসলাম এর দূর্নীতি ও নানা জটিলতার কারণে ইজারাদার নিয়োগ হয়নি। ১৪২৪ বাংলা সনে হাটটির আদায়কারী হিসেবে পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মহিউদ্দীন এর পুত্র মোঃ গোলাম আজমকে হাট প্রতি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬১৫ টাকা চুক্তি ভিত্তিতে খাস আদায়কারী নিয়োগ করেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান। হাটটির ৬০ শতাংশ রাজস্ব গরু ও ছাগল এর বাজার থেকে আদায় হয়ে থাকে। অথচ হাটের জায়গা বেদখল হওয়ায় গরু, ছাগল ও সাইকেল এর বাজার এলাকার অমুল্য রায়, সফির মেম্বার, হিরা লাল রায়, ইলিয়াস মাস্টার এর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে এলাকার ঐতিহ্যবাহী গরু ও ছাগলের হাট বসে। এতে করে হাট আদায়কারীকে বাৎসরিক প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলের ৫০টি পার্কিং গ্যারেজ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে বসার কারণে হাট আদায়কারী সেখান থেকে কোন রাজস্ব আদায় করতে পারছেনা। ইতিমধ্যে হাট আদায়কারী মোঃ গোলাম আজম ব্যক্তিগত অর্থায়নে গরুর হাট বসানোর জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করা ও ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪টি টিন সেডের ঘর নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন। এসব অথর্, আদায়কারী নিজ খরচে করলেও উপজেলা প্রশাসন এসব খরচ বহন করছে না। এলাকার সুশিল সমাজ জানান, হাটের বেদখল হওয়া জমি প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে উদ্ধার করার পদক্ষেপ নিলে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে থাকা গরু, ছাগল, ও পার্কিং গ্যারেজ হাটের জমিতেই বসানো যেত। ফলে সরকারের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আদায় বৃদ্ধি হত। বর্তমানে প্রশাসনের খাম-খেয়ালি ও নানা দূর্নীতির কারণে দিন দিন হাটের জমি বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে হাটের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান জানান, হাটের বেদখলি জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি এলাকার সুশিল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

কাতিহার হাটের সরকারি জমি প্রভাবশালীদের দখলে tক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আদায়কারী

আপডেট টাইম ১০:০০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

ষ্টাফ রিপোর্টার::ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাতিরহার হাটের সিংহ ভাগ সরকারি জমি এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে রয়েছে। হাটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
হাটটি বাংলা ১৪২১ সনে এক বছরের জন্য ৬২ লক্ষ, ১৪২২ সনে ১ কোটি ২ লক্ষ ৫৫ হাজার ও ১৪২৩ সনে ৭৯ লক্ষ ২শত টাকা বাৎসরিক ইজারা নিয়ে ইজারাদার রেজাউল ইসলাম ও এস.এম. রাজা মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। গত ২১-০৩-২০১৭ ইং তারিখ কাতিহার হাট ১৪২৪ বাংলা সনের ১ বছর মেয়াদে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্যে উপজেলা প্রশাসন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী মোঃ গোলাম আজম ২৭ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার পে-অর্ডার সংযুক্ত করে ইজারাপত্র দাখিল করেন। ইজারাদার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হাট ইজারা নিতে চাইলেও উপজেলা প্রশাসন ও ইউএনও অফিসের ওএস মোঃ রফিকুল ইসলাম এর দূর্নীতি ও নানা জটিলতার কারণে ইজারাদার নিয়োগ হয়নি। ১৪২৪ বাংলা সনে হাটটির আদায়কারী হিসেবে পীরগঞ্জ উপজেলার ভেলাতৈড় গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মহিউদ্দীন এর পুত্র মোঃ গোলাম আজমকে হাট প্রতি ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬১৫ টাকা চুক্তি ভিত্তিতে খাস আদায়কারী নিয়োগ করেন রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান। হাটটির ৬০ শতাংশ রাজস্ব গরু ও ছাগল এর বাজার থেকে আদায় হয়ে থাকে। অথচ হাটের জায়গা বেদখল হওয়ায় গরু, ছাগল ও সাইকেল এর বাজার এলাকার অমুল্য রায়, সফির মেম্বার, হিরা লাল রায়, ইলিয়াস মাস্টার এর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে এলাকার ঐতিহ্যবাহী গরু ও ছাগলের হাট বসে। এতে করে হাট আদায়কারীকে বাৎসরিক প্রায় ৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে। এছাড়া মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলের ৫০টি পার্কিং গ্যারেজ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে বসার কারণে হাট আদায়কারী সেখান থেকে কোন রাজস্ব আদায় করতে পারছেনা। ইতিমধ্যে হাট আদায়কারী মোঃ গোলাম আজম ব্যক্তিগত অর্থায়নে গরুর হাট বসানোর জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাটি ভরাট করা ও ৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪টি টিন সেডের ঘর নির্মাণ ও সীমানা প্রাচীর দিয়েছেন। এসব অথর্, আদায়কারী নিজ খরচে করলেও উপজেলা প্রশাসন এসব খরচ বহন করছে না। এলাকার সুশিল সমাজ জানান, হাটের বেদখল হওয়া জমি প্রশাসন আন্তরিকতার সাথে উদ্ধার করার পদক্ষেপ নিলে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে থাকা গরু, ছাগল, ও পার্কিং গ্যারেজ হাটের জমিতেই বসানো যেত। ফলে সরকারের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বাৎসরিক আদায় বৃদ্ধি হত। বর্তমানে প্রশাসনের খাম-খেয়ালি ও নানা দূর্নীতির কারণে দিন দিন হাটের জমি বে-দখল হয়ে যাচ্ছে। আগামীতে হাটের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মোঃ নাহিদ হাসান জানান, হাটের বেদখলি জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি এলাকার সুশিল সমাজ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।