ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজাগাও ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাওয়ের রাজাগাও ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাথাপিছু ৪০ টাকা হারে চকিদারি টেক্স আদায় করা হয়েছে। এভাবে এ ইউনিয়নে ১১শ হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। ঠাকুরগাও সদর উপজেলার ১৪ নং রাজাগাও ইউনিয়নে ১ হাজার ১ শ জন হতদরিদ্র রয়েছেন যারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে থাকেন। ওই ইউনিয়নের বাদিয়ার মার্কেট ও পাটিয়াডাঙ্গী বাজারে চাল প্রদান করা হচ্ছে।খাদ্য বিভাগের আওতায় নিয়োজিত ডিলার মো: হেলাল ও শাহিনুর রহমান হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরন করছেন।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইউপি কার্যালয়ের প্রদত্ত পরিবারের টেক্সের রশিদ ছাড়া চাল দেন না।
এভাবে ১১ শ সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।এ ব্যাপারে আসাননগর গ্রামের তমিজ উদ্দীন সহ একাধিক সুবিধাভোগী জানান,টেক্সের
রশিদ না দেখালে ডিলাররা তাদের চাল দেন না, তাই তারা হতদরিদ্র হয়েও বাধ্য হয়ে মাথাপিছু ৪০ টাকা হারে টেক্স প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছেন।এ ব্যাপারে পাটিয়াডাম্গী বাজারের ফেয়ার প্রাইজ ডিলার শাহিনুর রহমানজানান,তিনি চেয়ারম্যানকে টেক্স আদায়ে সহযোগীতা করছেন মাত্র।অবশ্য সাংবাদিকদের
কাছে অভিযোগকারী ব্যক্তিদের পরক্ষনে ধমক দেয় ওই ডিলার। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার হতদরিদ্রদের কাছ থেকে চাল
প্রদানের সময় টেক্স আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন তার ইউনিয়নে টেক্স আদায়ের হার শতভাগ।এ ব্যাপারে ঠাকুরগাও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,ঠাকুরগাও সদর উপজেলায় মম্গলবার হতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরন শুরু হয়েছে।সদর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ৪৪ টি কেন্দ্রে চাল বিতরন করা হয়েছে।২৭ হাজার ২৪৪ জন সুবিধাভোগীর জন্য ৮ হাজার ১৭৩ মে: টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো জানান,চাল বিতরনে কোথাও কোন অনিয়ম হলে বা হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টেক্স বা অন্য কোন নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলে সংশ্লিস্ঠ ডিলার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারন হতদরিদ্ররা টেক্সের আওতায় পড়ে না।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজাগাও ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

আপডেট টাইম ০৬:০৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::ঠাকুরগাওয়ের রাজাগাও ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরনের সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাথাপিছু ৪০ টাকা হারে চকিদারি টেক্স আদায় করা হয়েছে। এভাবে এ ইউনিয়নে ১১শ হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। ঠাকুরগাও সদর উপজেলার ১৪ নং রাজাগাও ইউনিয়নে ১ হাজার ১ শ জন হতদরিদ্র রয়েছেন যারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল পেয়ে থাকেন। ওই ইউনিয়নের বাদিয়ার মার্কেট ও পাটিয়াডাঙ্গী বাজারে চাল প্রদান করা হচ্ছে।খাদ্য বিভাগের আওতায় নিয়োজিত ডিলার মো: হেলাল ও শাহিনুর রহমান হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরন করছেন।কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা ইউপি কার্যালয়ের প্রদত্ত পরিবারের টেক্সের রশিদ ছাড়া চাল দেন না।
এভাবে ১১ শ সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৪৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।এ ব্যাপারে আসাননগর গ্রামের তমিজ উদ্দীন সহ একাধিক সুবিধাভোগী জানান,টেক্সের
রশিদ না দেখালে ডিলাররা তাদের চাল দেন না, তাই তারা হতদরিদ্র হয়েও বাধ্য হয়ে মাথাপিছু ৪০ টাকা হারে টেক্স প্রদান করতে বাধ্য হচ্ছেন।এ ব্যাপারে পাটিয়াডাম্গী বাজারের ফেয়ার প্রাইজ ডিলার শাহিনুর রহমানজানান,তিনি চেয়ারম্যানকে টেক্স আদায়ে সহযোগীতা করছেন মাত্র।অবশ্য সাংবাদিকদের
কাছে অভিযোগকারী ব্যক্তিদের পরক্ষনে ধমক দেয় ওই ডিলার। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার হতদরিদ্রদের কাছ থেকে চাল
প্রদানের সময় টেক্স আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন তার ইউনিয়নে টেক্স আদায়ের হার শতভাগ।এ ব্যাপারে ঠাকুরগাও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,ঠাকুরগাও সদর উপজেলায় মম্গলবার হতে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরন শুরু হয়েছে।সদর উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ৪৪ টি কেন্দ্রে চাল বিতরন করা হয়েছে।২৭ হাজার ২৪৪ জন সুবিধাভোগীর জন্য ৮ হাজার ১৭৩ মে: টন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।তিনি আরো জানান,চাল বিতরনে কোথাও কোন অনিয়ম হলে বা হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টেক্স বা অন্য কোন নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হলে সংশ্লিস্ঠ ডিলার ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কারন হতদরিদ্ররা টেক্সের আওতায় পড়ে না।