বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে উজ্জীবিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) দেশব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে অধিদপ্তরের সুযোগ্য মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সার্বিক তও্বাবধান ও নির্দেশনায় ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপপরিচালক শামীম আহম্মেদ এর নেতৃত্বে মো. বজলুর রহমান, উপপরিচালক (অপারেশনস্) ও সহকারী পরিচালক রাহুল সেনসহ ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর ২৬ সদস্যের একটি চৌকশ টিম বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৩৯, গরিব-ই-নেওয়াজ এভিনিউস্থ সেক্টর- ১৩, উত্তরার ফিং ফিসার রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করে ভবনের নিচ তলার সাবস্টেশন সংলগ্ন একটি বৃহৎ আকার সেফটি ট্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ বিয়ার ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরম্নদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদকের বিরুদ্ধে তথা মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর
আসামিদের তথ্য:
এই অপরাধ চক্রের মূলহোতা কিং ফিসার রেস্টুরেন্ট এবং লেকভিউ রেস্টুরেন্ট বার এর মালিক মোক্তার হোসেন, পিতা- নুরম্নল ইসলাম, মাতা- মোছাঃ তাছলিমা, স্থায়ী সাং নাওভাঙ্গা বেদুরিয়া বাজার, থানা- মতলব উত্তর, জেলা- চাঁদপুর। বর্তমান সাং ৩৯, গরিব-ই-নেওয়াজ এভিনিউ, সেক্টর-১৩, থানা- উত্তরা পশ্চিম, জেলা- ডিএমপি, দেশের বাহিরে থাকায় তাকে পলাতক আসামি করা হয়।।
এছাড়া এ চক্রের সদস্য মো. এমরান হোসেন বাবু (৪১), পিতা: আবদুল মতিন গাজি, আলমগীর কবির (৪০), পিতা- গোলাম রববানী’ কে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। সেলিম আলী (৩৯), পিতা: আবুল হোসেন নামীয় অভিযুক্ত বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এ অপরাধী চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গে ছত্রছায়ায় বেপরোয়াভাবে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে উত্তরা এলাকায় সামাজিক পরিবেশ মারাত্নকভাবে বিষিয়ে তুলেছে মর্মে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করে এবং অভিযানের বিপুল পরিমাণ মাদকসহ অপরাধ চক্রটিকে গ্রেপ্তার করায় আনন্দ উল্লাস করে।