ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চিকিৎসক আটক

মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. ইউনুস খান তারিমকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে তাকে খুলনা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।পুলিশ জানায়, ডা. ইউনুস খান তারিম মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। তিনি তার মালিকানাধীন থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গত ১৬ বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।সূত্র জানায়, খুলনার এই কোচিং সেন্টার ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে ‘মেধাহীন’, ‘অযোগ্য’ ছাত্রছাত্রীদের মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জনপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে নিচ্ছে। এই ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে শতকোটি টাকার বেশি অবৈধ লেনদেন হচ্ছে।গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা থ্রি ডক্টরসে কোচিং করেছেন। তারা কেউ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ–৫ পায়নি। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৭৩ করে নম্বর পেয়েছে। একজন ৭৩.২৫ নম্বর পেয়েছে। একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পড়াশোনা ও জ্ঞান এত নিম্নমানের যে তারা কীভাবে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার মতো কঠিন পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন, তা বোধগম্য নয়।খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

খুলনায় মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চিকিৎসক আটক

আপডেট টাইম ০৯:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

মেডিক্যালের প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. ইউনুস খান তারিমকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে তাকে খুলনা থেকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।পুলিশ জানায়, ডা. ইউনুস খান তারিম মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত। তিনি তার মালিকানাধীন থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গত ১৬ বছরে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।সূত্র জানায়, খুলনার এই কোচিং সেন্টার ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে ‘মেধাহীন’, ‘অযোগ্য’ ছাত্রছাত্রীদের মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জনপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে নিচ্ছে। এই ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে শতকোটি টাকার বেশি অবৈধ লেনদেন হচ্ছে।গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা থ্রি ডক্টরসে কোচিং করেছেন। তারা কেউ এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ–৫ পায়নি। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৭৩ করে নম্বর পেয়েছে। একজন ৭৩.২৫ নম্বর পেয়েছে। একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, তাদের পড়াশোনা ও জ্ঞান এত নিম্নমানের যে তারা কীভাবে মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষার মতো কঠিন পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন, তা বোধগম্য নয়।খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে।