শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গণনা শেষে রাতে ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা-ই-জামিল। ঘোষিত ফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে ফরিদা ইয়াসমিন ৫৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৪০১ ভোট।সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৫৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন হাসান হাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কার্তিক চ্যাটার্জী পেয়েছেন ৪০৪ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে ৫৮৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেজোয়ানুল হক রাজা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ আলী আফসার পেয়েছেন ৩৫৯ ভোট।সাধারণ সম্পাদক পদে ৪৯৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শ্যামল দত্ত। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৪৭৪ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে আইয়ুব ভুঁইয়া ও মো. আশরাফ আলী যথাক্রমে ৫৪০ ও ৪৯১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে ৫৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদ চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ নেওয়াজ দুলাল পেয়েছেন ২০৮ ভোট।
এছাড়া ব্যবস্থাপনা কমিটিতে ১০ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিতরা আগামী দুই বছর সাংবাদিকদের শীর্ষ এ সংগঠনের নেতৃত্ব দেবেন। ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৭টি পদে মোট ৪৫ জন প্রার্থী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এর মধ্যে দুটি প্যানেল থেকে ৩৪ জন। আর কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদে ১১ জন স্বতন্ত্রপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাংবাদিক ফোরাম থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে শ্যামল দত্ত।অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। এবার নির্বাচনে ভোটার ছিলেন এক হাজার ১০২ জন। এর মধ্যে ৯৮৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের জন্য আট সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা-ই-জামিল।নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা হলেন- জাফর ইকবাল, এস এ এম শওকত হোসেন, মিনার মনসুর, গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া (শেলু বড়ুয়া), শামীমা চৌধুরী, মো. মনিরুজ্জামান ও নবনীতা চৌধুরী।