আজম রেহমান,সারাদিন ডেস্ক::মাদকদ্রব্য আইনে মামলার ভয় দেখিয়ে সোর্সের মাধ্যমে অর্থ আদায়ের অভিযোগে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর ক্যাম্পের ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে ইব্রাহিম নামের এক সোর্সকে গণপিটুনি দিয়েছে জনতা। ২ মার্চ পরিস্থিতি সামাল দিতে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সোর্স ইব্রাহীমকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
অভিযোগে জানা যায়,উপজেলার বৈরচুনা বাজারের ভারতী ফার্মেসীতে কৌশলে ১ বোতল ফেন্সিডিল ঢুকিয়ে দিয়ে জগন্নাপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মোস্তফা এবং এএসআই শামসুজ্জোহা গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঐ ফার্মেসীতে অভিযান চালায়। এসময় ঐ ওষুধের দোকান থেকে ১ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে। এরপর দেকান মালিক অনিলকে পুলিশ ক্যাম্পে যেতে বলে। এরই মধ্যে পুলিশের সোর্স ইব্রাহীম এসে বিষয়টি পুলিশের সাথে আপোষ রফা করে দেওয়ার কথা বলে সন্ধায় ২ হাজার টাকা নিয়ে কেটে পড়ে।
দোকান মালিক বিষয়টি পরদিন শুক্রবার বৈরচুনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে জানায়। এ নিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে বৈঠক বসে। এতে ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তফা এবং এ এস আই শামসুজ্জোহা, সোর্স ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ইব্রাহীমকে উত্তম মধ্যম দেওয়া হয়।
এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিস ঘিড়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা ঐ দু’পুলিশ কর্মকর্তা সহ ইব্রাহীমের বিচার দাবী করে এবং আওয়ামীলীগের অফিসের ভিতরে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় সোর্স ইব্রাহীম ঐ ওষুধ ব্যসায়ীকে ২ হাজার টাকা ফেরত দেয়।
পরে থানার ওসি আমিরুজ্জামান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় সাধারন জনতার ক্ষুব্ধ অবস্থা লক্ষ্য করে পুলিশ। পরে জগন্নাথপুর পুলিশ ক্যাম্পে থানার ওসি সহ উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের উপস্থিতিতে আবাবো বৈঠক হয়। বৈঠকে ইব্রাহীম সহ পুলিশের ৯ জন সোর্সের নাম উঠে আসে।
পুলিশ সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানানো হয় বৈঠকে। কিন্তু থানার ওসি আমিরুজ্জামান পুলিশকে আড়াল করে শুধু সোর্সদের নামে মামলা করার কথা জানান। সুত্র জানায় ক্যাম্প ইনচার্জ মোস্তফা থানার ওসি আমিরুজ্জামানের নিকটাত্বীয় হওয়ায় তাকে আড়াল করার চেষ্টা করেন।।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামানের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, ইব্রাহীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেছি। তারা আসতে চেয়েছে। দেখি কি করা যায়। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অর্থ আদায়ের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন তিনি।