ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা

ঢাকা: ভূমি সেবার ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অন্যান্য অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সই করা পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিতকল্পে কর্মচারীদের অবশ্য পালনীয়’ শিরোনামের পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি রোধ এবং সেবা প্রদান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আধুনিকায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ঘরে বসে ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি অন্যতম। এ পদক্ষেপগুলো জনগণকে সেবা প্রদান আরও সহজ, দ্রুত এবং সুষ্ঠু করতে নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ভূমি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের অসন্তোষ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই জনগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমি সেবা পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সেবা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও অনিয়ম হচ্ছে এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।

‘বিশেষ করে নামজারি এবং পরবর্তীতে হোল্ডিং খোলার মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি, অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের অভিযোগ বা ঘটনায় দেশের ভূমি সেবা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সেবার মান নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা জনগণের প্রতি মন্ত্রণালয়ের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মানদণ্ড বিঘ্নিত করছে।’

ভূমি সেবায় এ ধরনের পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য বলে ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে। জনগণের সেবা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় মাঠ পর্যায়ের সব কর্মচারীকে পেশাদারত্ব ও সেবার মান নিশ্চিতকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে পরিপত্রে।

নির্দেশনাগুলা হলো-
► প্রত্যেক কর্মচারীকে সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিলম্ব, গাফিলতি বা অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

► সব কর্মচারীকে ভূমি সেবা প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অন্যান্য অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

► সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সদাচরণ এবং তাদের জিজ্ঞাসা ও সমস্যা আন্তরিকভাবে গ্রহণ ও যথাসময়ে সমাধান কর্মচারীদের অন্যতম দায়িত্ব। সেবা সংক্রান্তে জনগণের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ গ্রহণযোগ্য হবে না।

► জনগণের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা তাদের সম্পত্তি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক। ভূমি সংক্রান্ত যে কোনো সেবা প্রদানে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য প্রদান করতে হবে।

► ভূমি সেবা কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদারকি নিশ্চিতে কার্যকর পরিদর্শন, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি এবং তা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা

আপডেট টাইম ০৪:২২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকা: ভূমি সেবার ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অন্যান্য অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সই করা পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ভূমি সেবায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিতকল্পে কর্মচারীদের অবশ্য পালনীয়’ শিরোনামের পরিপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভূমি ব্যবস্থাপনায় দুর্নীতি রোধ এবং সেবা প্রদান প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও আধুনিকায়নে ভূমি মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ঘরে বসে ই-নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি অন্যতম। এ পদক্ষেপগুলো জনগণকে সেবা প্রদান আরও সহজ, দ্রুত এবং সুষ্ঠু করতে নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ভূমি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের কর্মচারীদের কার্যকলাপ নিয়ে জনগণের অসন্তোষ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই জনগণ কাঙ্ক্ষিত ভূমি সেবা পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, সেবা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও অনিয়ম হচ্ছে এবং দুর্নীতির ঘটনা ঘটছে।

‘বিশেষ করে নামজারি এবং পরবর্তীতে হোল্ডিং খোলার মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি, অবৈধ অর্থ লেনদেন এবং সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে অশোভন আচরণের মতো ঘটনা ঘটছে। এ ধরনের অভিযোগ বা ঘটনায় দেশের ভূমি সেবা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সেবার মান নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, যা জনগণের প্রতি মন্ত্রণালয়ের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মানদণ্ড বিঘ্নিত করছে।’

ভূমি সেবায় এ ধরনের পরিস্থিতি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অগ্রহণযোগ্য বলে ভূমি মন্ত্রণালয় মনে করে। জনগণের সেবা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় মাঠ পর্যায়ের সব কর্মচারীকে পেশাদারত্ব ও সেবার মান নিশ্চিতকল্পে ভূমি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছে পরিপত্রে।

নির্দেশনাগুলা হলো-
► প্রত্যেক কর্মচারীকে সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনোরূপ বিলম্ব, গাফিলতি বা অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয় এবং তা অসদাচরণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

► সব কর্মচারীকে ভূমি সেবা প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি বা অন্যান্য অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

► সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে সদাচরণ এবং তাদের জিজ্ঞাসা ও সমস্যা আন্তরিকভাবে গ্রহণ ও যথাসময়ে সমাধান কর্মচারীদের অন্যতম দায়িত্ব। সেবা সংক্রান্তে জনগণের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ আচরণ গ্রহণযোগ্য হবে না।

► জনগণের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা তাদের সম্পত্তি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক। ভূমি সংক্রান্ত যে কোনো সেবা প্রদানে সঠিক ও হালনাগাদ তথ্য প্রদান করতে হবে।

► ভূমি সেবা কার্যক্রমের সুষ্ঠু তদারকি নিশ্চিতে কার্যকর পরিদর্শন, সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি এবং তা যথাসময়ে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে।