ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার অনলাইন বই বাজার: ঘরে বসেই যে ১০ ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারেন পছন্দের বই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন সাত কর্মকর্তা স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে মাঠে থেকে কাজ করতেই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ পীরগঞ্জে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস পালিত ১৭ লাখ মৃত ভোটার কবর থেকে ভোট দিয়েছে : সিইসি দেশ টিভির এমডি আরিফ গ্রেপ্তার চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচারে বাধা নেই : আপিল বিভাগ স্বাধীন, বস্তুনিষ্ঠ ও শক্তিশালী গণমাধ্যম গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে কমিশন- গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ

ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন

ষ্টাফ রিপোর্টার:: গতকাল ১২ জানুয়ারী দুপুরের দিকে বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটনায় চাকুরিচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সদস্যেদর উদ্দোগে ৩ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন কমৃসূচী পালিত হয়েছে।
‘বিডিআরের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আর মাত্র তিন মাস বাকি ছিল আমার বাবার। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আর এখন আমি দুই সন্তানের জননী। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। কী দোষ ছিল আমার বাবার? আমার বাবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়নি বলেই কি তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে? মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় কি ছিল তার অপরাধ? আমি স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে বলব যেন দ্রুত আমার বাবাসহ নির্দোষ সকল বিডিআরকে মুক্তি দেওয়া হয় ৷’ অশ্রুসিক্ত চোখে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলবন্দি বিডিআর সদস্য আক্তার আলীর মেয়ে আফরিন আক্তার।
এ সময় মানববন্ধনে এক বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার সন্তান জয়দেবের মুক্তি চাই। তার চাকরি ফেরত চাই।
মানবন্ধনে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চন্দন বিডিআরের বোন মুক্তি রানি বলছি। আমার ভাইটাকে কবে ফেরত পাব? আমার ভাইয়ের ছেলে শ্রাবণ বুঝতে শেখার পর থেকে তার বাবাকে খুঁজছে। কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না? তাদের নিয়ে কি নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে? আমরা খুব আশা নিয়ে আছি ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ায় এই সরকার তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেবে।’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার পিলখানাসহ সারা দেশে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যের পুনর্বাসনপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহাল; ১৬ বছর যাবত জেলবন্দি সকল নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের জেল থেকে মুক্তি; স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সত্য উদ্‌ঘাটন ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আসে মানববন্ধন থেকে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

সংবাদকর্মী মামুনের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের অবস্থান কর্মসূচী, সন্ত্রাশীকে দল থেকে বহিষ্কার

ঠাকুরগাওয়ে ৩ দফা দাবীতে চাকুরীচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর পরিবারের মানববন্ধন

আপডেট টাইম ০৪:১৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

ষ্টাফ রিপোর্টার:: গতকাল ১২ জানুয়ারী দুপুরের দিকে বিডিআর হত্যাকান্ড ঘটনায় চাকুরিচ্যুৎ ও জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবারের সদস্যেদর উদ্দোগে ৩ দফা দাবিতে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব চত্বরে এক মানববন্ধন কমৃসূচী পালিত হয়েছে।
‘বিডিআরের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের আর মাত্র তিন মাস বাকি ছিল আমার বাবার। আমি তখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি। আর এখন আমি দুই সন্তানের জননী। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাবার জন্য অপেক্ষা করছি। কী দোষ ছিল আমার বাবার? আমার বাবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়নি বলেই কি তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে? মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় কি ছিল তার অপরাধ? আমি স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে বলব যেন দ্রুত আমার বাবাসহ নির্দোষ সকল বিডিআরকে মুক্তি দেওয়া হয় ৷’ অশ্রুসিক্ত চোখে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলবন্দি বিডিআর সদস্য আক্তার আলীর মেয়ে আফরিন আক্তার।
এ সময় মানববন্ধনে এক বৃদ্ধা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার সন্তান জয়দেবের মুক্তি চাই। তার চাকরি ফেরত চাই।
মানবন্ধনে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি চন্দন বিডিআরের বোন মুক্তি রানি বলছি। আমার ভাইটাকে কবে ফেরত পাব? আমার ভাইয়ের ছেলে শ্রাবণ বুঝতে শেখার পর থেকে তার বাবাকে খুঁজছে। কেন তাদের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে না? তাদের নিয়ে কি নতুন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে? আমরা খুব আশা নিয়ে আছি ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ায় এই সরকার তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দেবে।’
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার পিলখানাসহ সারা দেশে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যের পুনর্বাসনপূর্বক চাকরিতে পুনর্বহাল; ১৬ বছর যাবত জেলবন্দি সকল নির্দোষ বিডিআর সদস্যদের জেল থেকে মুক্তি; স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সত্য উদ্‌ঘাটন ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ এবং দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি আসে মানববন্ধন থেকে।