ষ্টাফ রিপোর্টার:: সরকারী আইন লঙ্ঘন করে কলেজ ক্যাম্পাসের জীবিত কয়েকটি গাছ কেটে বিক্রি করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টের অভিযোগ উঠেছে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা কলেজের অধ্যক্ষকে দায়ী করলেও অধ্যক্ষ তার দায় অস্বীকার করলেও কলেজের সভাপতি ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছেন।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ৭ নং হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর কলেজের ক্যাম্পাস থেকে সোমবার বিকেলে স্থানীয় জামরুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে ৩ টি উঠতি বয়সের বনজ গাছ কেটে বিক্রি করেন। আশেপাশের লোকজন এর প্রতিবাদ জানালে তিনি বলেছেন, এই জায়গা আমি কলেজে দান করেছি এবং কলেজের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি। এই গাছগুলো আমি নিজ হাতে লাগিয়েছি তাই আমি কলেজ অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে এইসব গাছ কেটেছি। জীবিত গাছ কাটার ঘটনাটি এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করলে খোজ নিয়ে জানা যায়, বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার কোন অনুমতি কেউ দিতে পারবেনা, অধ্যক্ষ অনুমতি দিয়ে থাকলে তিনি সরকারী আইনের লঙ্ঘন করেছেন । এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব জেসমিন আরা মুক্তির মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন আমি গাছ কাটার ব্যাপারে কাউকে কোন অনুমতি দেইনি, তবে আমি বিষয়টি জানি। যিনি গাছ কেটেছেন, গাছগুলো তার হাতেই লাগানো তাই এ ব্যাপারে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বিষয়টি সম্পর্কে কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রমিজ আলমের মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা বা কেউ আমাকে কিছু জানায়নি, আমি আগামীকাল অধ্যক্ষের সাথে কথা বলে এবং সরেজমিন ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিধিগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের আশু পদক্ষেপ জরুরী হযে পড়েছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।