নিজস্ব প্রতিবেদক:: রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড থেকে উদ্ধার তরুণীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত ওই তরুণীর নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা (২১)। তিনি স্ট্যামফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। শান্তিবাগে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত রুম্পার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন।
পারিবার সূত্রে জানা এক ভাই এক বোনের মধ্যে শারমিন বড়। তাঁর বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক। শারমিন দুটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন। পরে তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরোনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তাঁর সন্ধান পাননি। পরে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় তোলা ছবি দেখে তরুণীর লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ বলছে, তরুণীকে সিদ্ধেশ্বরীর কোনো ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধারণা করা হচ্ছে, ওই তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
এর আগে, বুধবার মধ্যরাতে পুলিশ ৬৮ সিদ্ধেশ্বরীর সামনের রাস্তা থেকে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, তরুণীর মেরুদণ্ড, বাঁ হাতের কনুই ও ডান পায়ের গোড়ালি ভাঙা। মাথা, নাক, মুখে জখম এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। বুকের ডান দিকে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।