ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত ড. মো. হারুনুর রশীদ পরিচালিত সেলিনা হোসেনের ‘কাকতাড়ুয়া বুধা’ মুক্তি পেয়েছে ভাল মানুষ থেকেইে ভাল মানুষ তৈরী হয়—ঠাকুরগাঁওয়ে আল-হাসানাহ স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি জাহিদুর রহমান ঠাকুরগাঁয়ে যুবলীগ নেতার পলিথিন কারখানা বন্ধ, মালামাল জব্দ সাগর-রুনি হত্যা মামলা র‌্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইয়ের কাছে সংস্কারের পরেই নির্বাচন: ড. ইউনূস বশিরউদ্দীন ও ফারুকীকে কার বুদ্ধিতে নিলেন, প্রশ্ন মান্নার ভূমি সেবায় দুর্নীতি-অনিয়মে তাৎক্ষণিক শাস্তির ব্যবস্থা ভোট কারচুপির তদন্ত সাবেক ডিসি-এসপি-ইউএনওদের ঘুম হারাম আসিফ নজরুলকে হেনস্তা,দূতাবাসের কাউন্সেলরকে দেশে ফেরত, চাকরি হারাচ্ছেন স্টাফ

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পজেটিভ রোগী নিয়ে সরকারী হাসপাতালে নজিরবিহীন খামখেয়ালীপনা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: সমগ্র বিশ্বে করোনা মহামারীর এই দু:সময়ে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের নজিরবিহীন খামখেয়ালী ও অব্যবস্থাপনা সমগ্র জেলার মানুষকে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে।
জানা যায়, সাধারন জ্বর সর্দি ও ডায়রিয়া নিয়ে গত ৮ এপ্রিল সকাল ১০ টায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী সাহেরা বানুর সহায়তায় উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. সজিব(২২) পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কর্তব্যরত আরএমও আবু বক্কর সিদ্দিক সাধারন পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীর সাথে আলোচনার পর করোনা আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে ইউএইচও’র পরামর্শে তাকে সাধারন ওয়ার্ড থেকে তৃতীয় তলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ১ নং কেবিনে রাখেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। এ সময়ে সেখানে কর্তব্যরত সেবিকারা সাধারন রোগী ভেবে পিপিই ছাড়াই রোগীর প্রয়োজনীয় দেখভাল করেন। ২দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে ১০ এপ্রিল সকালে সজিবের নমুনা সংগহের পর আরএমও সজিবকে হাসপতাল থেকে রিলিজ করে দেন এবং নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ১১ এপ্রিল রংপুরের পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জানার পরে টনক নড়ে হাসপাতাল প্রশাসনের। এদিকেহিাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে নিজ গ্রামে গিয়ে দোর্দন্ড প্রতাপে ঘুরে বেড়িয়েছে আক্রান্ত যুবক। সে ভেবেই নিয়েছে যেহেতু তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েচে সেহেতু আর ভয়ের কিছু নেই। ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষের সংষ্পর্শে এসেছে সে এবং জীবানু ঝড়িয়েছে যত্রতত্র। ওদিকে জেলা সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় খোজখবর না নিয়ে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত ব্যাক্তি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কোয়ারেন্টিনে আছেন। সন্ধার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম, হাসপাতাল প্রশাসনকে নিয়ে রিলিজ করা রোগীর সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ীতে যান এবং রাত ৯টায় রোগীকে তার বাড়ী থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালের আইসুলেশনে ভর্তি করেন।
করনা সাসপেক্টেড রোগী নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের নজিরবিহীন খামখেয়ালী ও অব্যবস্থাপনায় এই রোগীর মাধ্যমে সমগ্র উপজেলার মানুষ আজ মারাত্নক ঝুকির মুখে পড়েছে। সচেতনমহল এমন অদক্ষ ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দানকারীদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত সহ দৃষ্ঠান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.আব্দুল জব্বারের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির অভিযোগে পীরগঞ্জ পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা পজেটিভ রোগী নিয়ে সরকারী হাসপাতালে নজিরবিহীন খামখেয়ালীপনা

আপডেট টাইম ১০:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ এপ্রিল ২০২০

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:: সমগ্র বিশ্বে করোনা মহামারীর এই দু:সময়ে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের নজিরবিহীন খামখেয়ালী ও অব্যবস্থাপনা সমগ্র জেলার মানুষকে দু:শ্চিন্তায় ফেলেছে।
জানা যায়, সাধারন জ্বর সর্দি ও ডায়রিয়া নিয়ে গত ৮ এপ্রিল সকাল ১০ টায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সহকারী সাহেরা বানুর সহায়তায় উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. সজিব(২২) পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কর্তব্যরত আরএমও আবু বক্কর সিদ্দিক সাধারন পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীর সাথে আলোচনার পর করোনা আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে ইউএইচও’র পরামর্শে তাকে সাধারন ওয়ার্ড থেকে তৃতীয় তলার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত ১ নং কেবিনে রাখেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেন। এ সময়ে সেখানে কর্তব্যরত সেবিকারা সাধারন রোগী ভেবে পিপিই ছাড়াই রোগীর প্রয়োজনীয় দেখভাল করেন। ২দিন চিকিৎসাধীন থাকার পরে ১০ এপ্রিল সকালে সজিবের নমুনা সংগহের পর আরএমও সজিবকে হাসপতাল থেকে রিলিজ করে দেন এবং নমুনা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ১১ এপ্রিল রংপুরের পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ রিপোর্ট ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জনের মাধ্যমে জানার পরে টনক নড়ে হাসপাতাল প্রশাসনের। এদিকেহিাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে নিজ গ্রামে গিয়ে দোর্দন্ড প্রতাপে ঘুরে বেড়িয়েছে আক্রান্ত যুবক। সে ভেবেই নিয়েছে যেহেতু তাকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েচে সেহেতু আর ভয়ের কিছু নেই। ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষের সংষ্পর্শে এসেছে সে এবং জীবানু ঝড়িয়েছে যত্রতত্র। ওদিকে জেলা সিভিল সার্জন প্রয়োজনীয় খোজখবর না নিয়ে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত ব্যাক্তি সংশ্লিষ্ট উপজেলা কোয়ারেন্টিনে আছেন। সন্ধার পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম, হাসপাতাল প্রশাসনকে নিয়ে রিলিজ করা রোগীর সন্ধানে তার গ্রামের বাড়ীতে যান এবং রাত ৯টায় রোগীকে তার বাড়ী থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালের আইসুলেশনে ভর্তি করেন।
করনা সাসপেক্টেড রোগী নিয়ে হাসপাতাল প্রশাসনের নজিরবিহীন খামখেয়ালী ও অব্যবস্থাপনায় এই রোগীর মাধ্যমে সমগ্র উপজেলার মানুষ আজ মারাত্নক ঝুকির মুখে পড়েছে। সচেতনমহল এমন অদক্ষ ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় দানকারীদের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত সহ দৃষ্ঠান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা.আব্দুল জব্বারের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।