আজ শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডা. আজাদের নাগাল ‘পাওয়া যায়নি’ বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, জেকেজিকে অনুমতি দেয়ার বিষয়টি শুধু মহাপরিচালকই জানতেন। ফলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছু স্পষ্ট হবে।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, জেকেজির বিষয়ে তার বক্তব্য নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তার ফোন কখনও ব্যস্ত, কখনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাবের পর গত এপ্রিলে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পায় জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা বা জেকেজি হেলথ কেয়ার। কিন্তু সংস্থাটি ভুয়া কোভিড-১৯ সনদ দিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে গত জুন মাসে অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযানে নামে পুলিশ। ভুক্তভোগীদের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল চৌধুরীসহ কয়েকজনকে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজিকে দেয়া অনুমতিপত্র বাতিল করে।
আরিফুলের স্ত্রী ডা. সাবরিনা আরিফ ছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার। তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান পরিচয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এরপর গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় ডা. সাবরিনাকে। গ্রেপ্তারের আগে তিনি দাবি করেন, জেকেজিতে অনিয়ম দেখে তিনি প্রতিষ্ঠানটির সংস্রব ছেড়ে দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আজাদকে তা জানিয়েছিলেন।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, জেকেজির মামলার তদন্ত ‘অনেকদূর’ এগিয়েছে। ‘শিগগিরই’ তারা অভিযোগপত্র দেবেন।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা রাসেল বলেন, করোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে চিঠির মাধ্যমে জেকেজিকে অনুমতি দিয়েছিল, শুধু সেটি তারা পেয়েছেন।
আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।