এন এম নুরুল ইসলাম ষ্টাফ রিপোটার::ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের রত্নাই সীমান্তে নাগর নদী থেকে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ মিলেছে।
সোমবার সকালে নাগর নদীর ধারে ভেসে আসা ঐ বাংলাদেশীর মরদেহ দেখে রত্নাই ক্যাম্পের বিজিবি ও পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ঐ ব্যক্তির নাম মামুন (২২)। তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের ঠকবস্তী গ্রামের সাদেকুল ইসলামের ছেলে, ইউপি সদস্য শামসুল আলমের নাতী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমজানখোর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আকালু।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার (১ আগষ্ট) রাতে ৪ জনের একটি দল গরু ও ফেনসিডিল আনতে অবৈধ পথে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। রবিবার (২ আগস্ট) গভীর রাতে ফেরার সময় বাংলাদেশের রত্নাই এবং ভারতের সোনামতি সীমান্তে ৩৮২(৪) এস পিলারের দক্ষিণ শেষ প্রান্তে ভারতীয় আয়রন ব্রীজের নীচে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ওপর পাথর ছুড়ে মারে এ সময় পাথরের আঘাতে আল-মামুন নিহত হন এবং ঠকবস্তি পশ্চিম হরিনমারী এলাকার মোহাম্মদ আলী ওরফে বম (২৮)সহ দুই জন আহত হন। পরে আহতরা পালিয়ে আসলেও নিহত আল-মামুনের লাশ সোমবার ৩ আগষ্ট সাড়ে ৮টার দিকে লাশ সীমান্তের মরাধর গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বের ৩৮২(৩)এস পিলার এলাকায় নাগর নদীতে ঐ ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা বিজিবি ও পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫০ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল শহিদুল ইসলাম জানান, রত্নাই সীমান্তের মরাধার গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বের ৩৮২(৩)এস পিলার এলাকায় নাগর নদীতে ঐ ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখার বিষয়টি শুনেছি। বিজিবি জোয়ানরা সেখানে আছে। বিস্তারিত জানবার জন্য বিএসএফ’র সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।