ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসেছে পূজার আগমনী বার্তা, দুলছে কাশফুল

ডেস্ক::শরতে উদযাপিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। আর বাঙালির কাছে উৎসব মানেই থাকা চাই বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন। আর এরকম পূজা-পার্বণে সেই আয়োজন বেড়ে যায় দ্বিগুণ।

পূজা যে এসেছে সেই আগমনী বার্তা বোঝা যায় কাশফুলের মাথা দোলানো দেখে। আর দেখা যায় রান্নাঘরে মায়েদের ব্যস্ততা দেখে। চিড়া, মুড়ি আর গুড় থেকে শুরু করে পিঠেপুলি, নাড়ু, মিষ্টি, মাংসের তরকারি, মাছের তরকারি সবকিছুই যেন থাকা চাই এই তালিকায়।

গুড় মেশানো মুড়ির মোয়া, ঢেঁকি ছাঁটা চালের চিড়া, খই-নারিকেলের নাড়ু আর নকশি পিঠা তৈরিতে মেতে ওঠে বাড়ির বউয়েরা। সেসব খাবার খেতে ছোটদের তুমুল আগ্রহ আর আনন্দ থাকে চোখে পড়ার মতো।

শুধু শিশু নয়, সব বয়সীদের কাছেই এসব খাবার বেশ পছন্দের। নরম তুলতুলে ফুলকো লুচি, লেবুর রস মেশানো ভাত, বেগুন আর মাছ ভাজা। সেই সঙ্গে আরও থাকে পটলের দোলমা, আলুর দম, শুক্তো আর চাটনি।

পূজার খাবারে আলুর দম খুব জনপ্রিয় একটি পদ। এটি জেনো থাকতেই হবে। ফুলকো লুচির সঙ্গে আলুর দম না হলে স্বাদ জমে না। সেই সঙ্গে থাকা চাই বিভিন্ন রকম ফল। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন পদের ভর্তার আয়োজনে। গরম ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শস্যদানা, মসলা দিয়ে ঝাল করে ভর্তা না হলেও পূজার আনন্দ জমে না যেন!

পূজার খাবারে থাকতে পারে আমিষ-নিরামিষ দুই ধরনের খাবারই এবং শেষপাতে মিষ্টির আয়োজন তো থাকতেই হবে। তবে ষষ্ঠীতে সর্ষে ইলিশ ও অষ্টমীর সবচেয়ে চমকদার আয়োজন হলো খিচুড়ি। ঘরে রান্না করা এসব খাবার পূজার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ।

যারা আমিষ খেতে ভালোবাসেন তারা পাঁঠার মাংস ও নানা ধরনের মাছও রাখেন এই আয়োজনে। শেষ পাতে তো ডাল থাকবেই। পূজার বিশেষ আয়োজনে আবার অনেকে ছোলার ডালও রাখেন এবং পানীয় হিসেবে রাখেন টক দইয়ের শরবত। এছাড়াও থাকে ছানার সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টি দই, ক্ষীর। প্রসিদ্ধ পূজার খাবারের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম নাড়ু, তালের বড়া, দুধপুলি পিঠা ও মিষ্টি।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

জনপ্রিয় সংবাদ

এসেছে পূজার আগমনী বার্তা, দুলছে কাশফুল

আপডেট টাইম ১২:৩১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
ডেস্ক::শরতে উদযাপিত হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। আর বাঙালির কাছে উৎসব মানেই থাকা চাই বাহারি রকমের খাবারের আয়োজন। আর এরকম পূজা-পার্বণে সেই আয়োজন বেড়ে যায় দ্বিগুণ।

পূজা যে এসেছে সেই আগমনী বার্তা বোঝা যায় কাশফুলের মাথা দোলানো দেখে। আর দেখা যায় রান্নাঘরে মায়েদের ব্যস্ততা দেখে। চিড়া, মুড়ি আর গুড় থেকে শুরু করে পিঠেপুলি, নাড়ু, মিষ্টি, মাংসের তরকারি, মাছের তরকারি সবকিছুই যেন থাকা চাই এই তালিকায়।

গুড় মেশানো মুড়ির মোয়া, ঢেঁকি ছাঁটা চালের চিড়া, খই-নারিকেলের নাড়ু আর নকশি পিঠা তৈরিতে মেতে ওঠে বাড়ির বউয়েরা। সেসব খাবার খেতে ছোটদের তুমুল আগ্রহ আর আনন্দ থাকে চোখে পড়ার মতো।

শুধু শিশু নয়, সব বয়সীদের কাছেই এসব খাবার বেশ পছন্দের। নরম তুলতুলে ফুলকো লুচি, লেবুর রস মেশানো ভাত, বেগুন আর মাছ ভাজা। সেই সঙ্গে আরও থাকে পটলের দোলমা, আলুর দম, শুক্তো আর চাটনি।

পূজার খাবারে আলুর দম খুব জনপ্রিয় একটি পদ। এটি জেনো থাকতেই হবে। ফুলকো লুচির সঙ্গে আলুর দম না হলে স্বাদ জমে না। সেই সঙ্গে থাকা চাই বিভিন্ন রকম ফল। এছাড়াও থাকে বিভিন্ন পদের ভর্তার আয়োজনে। গরম ভাতের সঙ্গে বিভিন্ন সবজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন শস্যদানা, মসলা দিয়ে ঝাল করে ভর্তা না হলেও পূজার আনন্দ জমে না যেন!

পূজার খাবারে থাকতে পারে আমিষ-নিরামিষ দুই ধরনের খাবারই এবং শেষপাতে মিষ্টির আয়োজন তো থাকতেই হবে। তবে ষষ্ঠীতে সর্ষে ইলিশ ও অষ্টমীর সবচেয়ে চমকদার আয়োজন হলো খিচুড়ি। ঘরে রান্না করা এসব খাবার পূজার আকর্ষণ বাড়িয়ে দেয় শতগুণ।

যারা আমিষ খেতে ভালোবাসেন তারা পাঁঠার মাংস ও নানা ধরনের মাছও রাখেন এই আয়োজনে। শেষ পাতে তো ডাল থাকবেই। পূজার বিশেষ আয়োজনে আবার অনেকে ছোলার ডালও রাখেন এবং পানীয় হিসেবে রাখেন টক দইয়ের শরবত। এছাড়াও থাকে ছানার সন্দেশ, রসগোল্লা, মিষ্টি দই, ক্ষীর। প্রসিদ্ধ পূজার খাবারের মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিভিন্ন রকম নাড়ু, তালের বড়া, দুধপুলি পিঠা ও মিষ্টি।