ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নারী পুলিশ কর্মকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক::পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছেন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার পুলিশের ওই পরিদর্শক বাদি হয়ে এ মামলাটির আবেদন করেন। ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে মামলা গ্রহণ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি।

বাদি নারী পুলিশ পরিদর্শকের পক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিকে ধর্ষণ করেন। ২০১৯ সালে বাদি ও আসামি দুই জনই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত এসপি মোকতার হোসেন সেখানে পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। সুদানেই ঘটনা ঘটে। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদির বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদি চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান এসপি মোকতার।

এর দুই দিন পর ২২ ডিসেম্বর আসামি পুনরায় পূর্বের ঘটনা ভুল বোঝাবুঝির কথা বলে বাদির বাসায় যান। কিন্তু ওইদিনও বাদিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এই ঘটনাও কাউকে না জানাতে আসামি বাদিকে বলেন। যদি বাদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তাহলে ভীষণ ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেন। পরে বাদি বিষয়টি পুলিশ বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি এখন চলমান রয়েছে।

Tag :

ভিডিও

এই অথরের আরো সংবাদ দেখুন

Azam Rehman

এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নারী পুলিশ কর্মকর্তার

আপডেট টাইম ১২:৩৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক::পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি মোকতার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছেন এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার পুলিশের ওই পরিদর্শক বাদি হয়ে এ মামলাটির আবেদন করেন। ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। তবে মামলা গ্রহণ বিষয়ে এখনো কোনো আদেশ দেননি।

বাদি নারী পুলিশ পরিদর্শকের পক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, আসামি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদিকে ধর্ষণ করেন। ২০১৯ সালে বাদি ও আসামি দুই জনই সুদানে জাতিসংঘ শান্তি মিশনের কর্মরত ছিলেন। অভিযুক্ত এসপি মোকতার হোসেন সেখানে পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার ছিলেন। সুদানেই ঘটনা ঘটে। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক হয়। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদির বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদি চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে জাপটে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখান এসপি মোকতার।

এর দুই দিন পর ২২ ডিসেম্বর আসামি পুনরায় পূর্বের ঘটনা ভুল বোঝাবুঝির কথা বলে বাদির বাসায় যান। কিন্তু ওইদিনও বাদিকে ধর্ষণ করেন তিনি। এই ঘটনাও কাউকে না জানাতে আসামি বাদিকে বলেন। যদি বাদি কাউকে এ ঘটনা জানায় তাহলে ভীষণ ক্ষতি হবে বলেও হুমকি দেন। পরে বাদি বিষয়টি পুলিশ বিভাগে অভিযোগ করেন। অভিযোগটি এখন চলমান রয়েছে।