সমাবেশে পুলিশ সুপারকে বাঁচাতে অপতৎপরতা ও সাংবাদিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শনকারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রেজাউল ইসলাম খানেরও প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামালপুর প্রেসক্লাব, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব, জামালপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও জামালপুর টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হোসেন, জামালপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম রুকন, অধ্যাপক সুরুজ্জামান, নূরুল আলম সিদ্দিকী, বজলুর রহমান, মুকুল রানা, মুখলেছুর রহমান লিখন, মুক্তা আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, এম সুলতান আলম, আজিজ আহমেদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হোসেন বলেন, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদককে পিটিয়ে চামড়া তুলে নিতে চেয়েছেন পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলারও হুমকি দিয়েছেন। একজন পুলিশ সুপারের কাছে যখন গণমাধ্যম কর্মীরাই নিরাপদ নয়, সেখানে পুলিশের কাছ থেকে সাধারণ জনগণ কতটুকু সেবা পাবে তা সহজেই অনুমেয়। তাই জামালপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখতে জেলা থেকে পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার জরুরি।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, পুলিশ সুপারকে বাঁচাতে সদর থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম খান অপতৎপরতা শুরু করেছেন। সাংবাদিকদের ফোন করে ডেকে এনে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। রাতভর সাদা গাড়িতে চেপে সাংবাদিকদের বাড়িবাড়ি গিয়ে সমঝোতার নামে কাউকে উৎকোচ দেয়ার চেষ্টাও করেছেন। আমরা বুঝতে পেরেছি যে, পুলিশ সুপারের সঙ্গে ওসিও সাংবাদিকদের দমন নিপিড়ন ও হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। পুলিশ সুপারের সঙ্গে আমরা ওসিরও প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
পুলিশ সুপার ও ওসি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন ওই পুলিশ সুপার। তার ডাকে সাড়া দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়াসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন। তারপর থেকেই আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।