নিজস্ব প্রতিবেদক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গতি পায় ভাষা আন্দোলন। আর ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিকে ভাষা শহীদ দিবস পালনের দাবি তোলা হয়। বারবার আঘাত আসার পরও বাংলা আজ সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে। শহীদের রক্ত কখনও বৃথা যেতে পারে না।’
সোমবার দুপরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে সাহিত্য চর্চায় কোনো বাধা নেই। যতই বাধা আসুক আমরা এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। শিক্ষা-দীক্ষা, শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি – সবদিক থেকে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
বক্তব্য প্রদানের পর অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ বিশিষ্ট নাগরিক ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ‘একুশে পদক ২০২৩’ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বছর যারা একুশে পদক পেলেন, তারা হলেন: ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে খালেদা মঞ্জুর-ই খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম শামসুল হক (মরণোত্তর) এবং হাজী মোহাম্মদ মজিবুর রহমান; শিল্পকলা বিভাগে অভিনয় ক্যাটাগরিতে মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ; সংগীত বিভাগে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আবদুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর); আবৃত্তি বিভাগে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়; শিল্পকলায় নওয়াজিশ আলী খান; চিত্রকলা বিভাগে কনক চাঁপা চাকমা; মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে মমতাজ উদ্দিন (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর); গবেষণায় ডা. মো. আব্দুল মজিদ; শিক্ষায় অধ্যাপক ডা. মাজহারুল ইসলাম (মরণোত্তর); সমাজসেবায় সাইদুল হক ও অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম (মরণোত্তর); রাজনীতিতে আখতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর); ভাষা ও সাহিত্যে ড. মনিরুজ্জামান এবং শিক্ষা ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সমাজসেবায় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। গত বছর ২০২২ সালে ২৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে মর্যাদাপূর্ণ একুশে পদক দেয়া হয়।