একেএম শামসুদ্দিন :: উপরের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো মনে করবেন দেশে নতুন কোনো বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এমন কোনো ঘটনার খবর দেশের কোনো গণমাধ্যমে আসেনি। তবে গণমাধ্যমে না এলেও বাংলাদেশে দুর্নীতি যে থেমে নেই, এ কথা হলফ করে বলাই যায়। এক যুগেরও বেশি সময় বাংলাদেশ যেভাবে দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে, তাতে ওরকম কিছু ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গত দশ-বারো বছরে দুর্নীতি বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। তারপরও দুর্নীতির এমন কিছু কিছু ঘটনা ঘটে, যা তাৎক্ষণিকভাবে জানার উপায় থাকে না। কারণ, দুর্নাম হবে বলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি এক মাসেরও বেশি সময় পর দেশের মানুষ জেনেছে। এমন আরও কিছু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার যে চেষ্টা হয় না, তা কে বলতে পারে! দেশের অনেকেরই ধারণা, কারও কারও বেলায় এ ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে উঁচু মহলের আশীর্বাদ থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয় না; জনসম্মুখে তা প্রকাশ পেয়ে যায়।
দুর্নীতি এখন বাংলাদেশে একটি চলমান ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রথম প্রথম বড় কোনো দুর্নীতির ঘটনার কাহিনি শুনে মানুষের ভেতর বেশ প্রতিক্রিয়া হতো; এখন ধারাবাহিক দুর্নীতির ঘটনা শুনতে শুনতে তা গা সওয়া হয়ে গেছে। বড় কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকেও উঁচু মহলের সুদৃষ্টির কারণে দোষী ব্যক্তি যখন সবার সামনে পার পেয়ে যান, মানুষের ভেতর তখন হতাশার সৃষ্টি হয়। এ হতাশা কিছুদিন মানুষকে পীড়া দেয়, তারপর একসময় মানুষ হয়তো তা সহ্য করে নেয়। দুর্বৃত্তের দুর্বৃত্তায়ন নিয়ে বহু আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। সরকারকে অনেকেই অনেকভাবে পরামর্শ দিয়েছেন। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ আদালত বহুবার হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তাতে একবিন্দুও কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। দুর্নীতি কমেছে এমন কোনো প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কিছুদিন পরপর নতুন নতুন উপায়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। আশীর্বাদপুষ্ট দুর্বৃত্তরা আজও রয়ে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। প্রশ্ন জাগে-দুর্নীতিবাজ এসব ব্যক্তির টুঁটি চেপে ধরার কি কেউ নেই?
সমাজের প্রায় প্রতিটি স্তর আজ দুর্নীতির বিষক্রিয়ায় ক্ষতবিক্ষত। দেশে সৎ মানুষের চেয়ে দুর্নীতিবাজদের প্রাধান্য বেশি। যারা সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন বা করতে চান, তারা নানাভাবে দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে পরাস্ত হন। একজন দুর্নীতিবাজ বিত্তশালী সমাজে যে দম্ভের সঙ্গে চলাফেরা করেন, একজন সৎ ও সজ্জন মানুষ তা পারছেন না। একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, অবৈধভাবে দেশের কোটি কোটি টাকার সম্পদ দখলের জন্য আজ পর্যন্ত কোনো শীর্ষ দুর্নীতিবাজ বড় ধরনের কোনো বিপদে পড়েনি। এতকিছু করার পরও এ ধরনের ব্যক্তিরা দেশের শীর্ষপর্যায় থেকে যে ধরনের স্বীকৃতি ও সম্মান পান, অন্য কেউ সারা জীবন সততার সঙ্গে বসবাস করেও সে স্বীকৃতি পান না। আমাদের দেশে মূলত দুই ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে। একটি প্রাতিষ্ঠানিক, অন্যটি ব্যক্তিগত দুর্নীতি। বিগত বেশ কয়েক বছরে প্রকল্প ও মহাপ্রকল্পের নামে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি যেভাবে বৈধতা পেয়ে গেছে, তাতে ব্যক্তিগত দুর্নীতির শাখা-প্রশাখার বিস্তারও ঘটেছে। এ দুর্নীতি সমাজ ও রাষ্ট্রের নামিদামি ও শিক্ষিত ব্যক্তির ভেতর আরও বিস্তৃত হয়েছে। যাদের কারসাজিতে শেয়ারবাজার ধ্বংস হয়েছে, যারা লুটপাট করে ব্যাংকিং সেক্টরকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছেন, প্রশাসনের যে কর্তাব্যক্তিরা ভর্তি ও বদলি বাণিজ্য করে এবং বড় বড় প্রকল্পের নামে শত শত কোটি টাকা কামাই করে নিয়েছেন, রাজনৈতিক শক্তি ব্যবহার করে যারা অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এদেশের সরকার ও রাষ্ট্র কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে? অনেকেরই ধারণা, ক্ষমতার বলয়ের আশপাশের কিছু চিহ্নিত ব্যক্তি, এসব ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকেন বলে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্যাক্স অবজারভেটরির মারফত জানা গেছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। এতদিন আমরা শুনে এসেছি, বাংলাদেশি অনেক রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি ও সরকারি কর্মকর্তা মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম এবং কানাডায় বেগমপাড়ায় বাড়ি ক্রয় করে সম্পদ গড়েছেন। এখন শুনছি আরও অনেক বাংলাদেশি করোনার প্রাদুর্ভাব চলাকালীন ২০২০ সালের মধ্যেই দুবাইয়ে ৪৫৯টি প্রপার্টি ক্রয় করেছেন। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরও ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির কোভিডকালীন বিপত্তির মধ্যেও দুবাইয়ে বিদেশি প্রপার্টি ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা ছিলেন শীর্ষে।
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত গত ১৫ জানুয়ারি দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনার অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অনুসন্ধান কার্যক্রমের অগ্রগতি জানিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে এ চারটি সংস্থাকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছিল। অথচ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এ বিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো আদালতের নির্দেশের আট সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তাদের তদন্ত শুরু করেনি। মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে সাংবাদিকরা অগ্রগতির কথা জিজ্ঞেস করলে এসব সংস্থা বলেছে আদালতের আদেশের লিখিত কপি না পাওয়ায় তারা তদন্ত শুরু করতে পারেননি। তবে আগেও দেখা গেছে, হাইকোর্টের আদেশ না পেলেও গণমাধ্যমের সংবাদের ওপর ভিত্তি করে এসব সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালে দুদক তাদের প্রাথমিক তদন্তের উৎস হিসাবে গণমাধ্যম থেকে ২১৬৭ প্রতিবেদন বেছে নিয়েছিল। একইভাবে অন্যান্য সংস্থাও মিডিয়া রিপোর্ট, নথি দেখানোর ভিত্তিতে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত পরিচালনা করেছে। অথচ দুবাইয়ে প্রপার্টি কেনার এ রিটের বেলায় সংস্থাগুলো এমন অজুহাত দেখাল! এ বিষয়ে পরবর্তীকালে আরও কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না, আমরা আজও তা জানতে পারিনি।
বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক এ বিষয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। গত বছর বাংলাদেশের হাইকোর্ট দুদুবার অর্থ কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি দমনে দুদকের ব্যর্থতার সমালোচনা করে তাদের হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন। গত বছর জানুয়ারিতে ‘হাজী মো. সেলিম বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য’ আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় দেওয়ার সময় বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘আমরা সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি যে, হাজার হাজার দৃশ্যমান দুর্নীতিবাজ সম্পদ ও অর্থ দখলে রাখা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তাদের ব্যাপারে দুদক কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সক্ষমতা ও সাহস দেখাতে পারছে না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুদক আইনের ২৬ ও ২৭ ধারায় ব্যবস্থা নিতে কমিশনের এখনো নিজস্ব কোনো উদ্যোগ নেই।’ একই বছরের নভেম্বর মাসে বহুল আলোচিত বেসিক ব্যাংকের অর্থ পাচারের ঘটনায় দুদকের করা একটি মামলার শুনানিকালে দেশের ব্যাংকগুলোয় অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়ে দুদকের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, ‘সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? এটা কি হয়? এসব অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে দুদক যা করছে, তাতে মন হয়-আমরা যেন নাটক দেখছি। নাটক দেখে হাততালি ছাড়া আর তো কিছু দেওয়ার নেই। হয় হাততালি দিতে হবে, না হয় বসে থাকতে হবে।’
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় এদেশের লাখ লাখ ‘Natural Fighter’ শ্রমিকরা যখন রাত-দিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে চলেছে; বাংলাদেশের একশ্রেণির অসাধু শিক্ষিত ব্যক্তিরা তখন শ্রমিকের কষ্টে অর্জিত সেই বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে পাচার করে দিচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে ১৯৭৪ সালে কুমিল্লায় বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম বিএমএ কোর্সের পাসিংআউট প্যারেডে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া এক ভাষণের কথা মনে পড়ে গেল। প্রায় ৫০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু বলে গিয়েছিলেন, ‘শিক্ষিতদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, আমি যে এই দুর্নীতির কথা বললাম, আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ? না। আমার শ্রমিক? না। এই আমরা, যারা শতকরা পাঁচজন শিক্ষিত; এ আমাদের মধ্যেই রয়েছে ঘুসখোর, দুর্নীতিবাজ।’ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ সম্ভবত ক্ষমতাসীন দলের নেতারা শোনেন না। কদাচিৎ যদি শুনেও থাকেন, তারপরও তা মান্য করেন না। তা নাহলে এ সরকারের আমলে দেশব্যাপী দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় কী করে? স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যে হারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মাইকে এবং লাউড স্পিকারে বাজানো হয়, সে তুলনায় দুর্নীতিসংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর এসব ভাষণ বাজানো হয় না বললেই চলে। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনামূলক ভাষণগুলো প্রকাশ্যে বেশি বেশি করে কেন বাজানো হয় না, এ নিয়ে প্রশ্ন জাগতেই পারে। অথচ বঙ্গবন্ধুর এসব ভাষণ শুধু প্রচারই নয়, ভাষণে উল্লিখিত আদর্শবাণী শুনে শুনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা যদি নিজেদের বুকে ধারণ করতে পারতেন, তাহলে দুর্নীতি দমনে আরও অনেক ভালো কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যেত। মুজিব আদর্শের সৈনিক হতে হলে তার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হয় এবং তার আদর্শকে বুকে ধারণ করে তা সর্বক্ষেত্রে চর্চা করতে হয়।
৩ মে ঢাকার একটি জনপ্রিয় পত্রিকার শিরোনাম দেখে এ নিবন্ধটি লেখার উৎসাহবোধ করেছি। শিরোনামটি ছিল, ‘যে কোনো দেশের দুর্নীতিবাজরা ইউরোপে কালো তালিকাভুক্ত ও নিষিদ্ধ হবেন’। সংবাদটি পড়ে মনে মনে ভেবেছি, এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় বাংলাদেশের কারও নাম কি অন্তর্ভুক্ত হতে পারে? ইইউ-এর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হোক বা না হোক, আমরা কি আমাদের দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের তালিকা তৈরি করতে পারি না? তাদের অপকর্মের খতিয়ান, ছবি ও জীবনবৃত্তান্তের পোস্টার ছাপিয়ে পথে, মাঠে, ঘাটে লাগিয়ে ও গণমাধ্যমে তা প্রকাশের মাধ্যমে সামাজিকভাবে কি তাদের বয়কট করতে পারি না? তাদের রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া কি যায় না? এ কাজটি করতে হলে চাই দৃঢ়সংকল্প এবং সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা। এ মহৎ কাজটি নিজের ঘর থেকে শুরু করলেই সব দুর্নীতিবাজের কাছে বার্তা পৌঁছে যাবে। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন এদেশের গরিব ও দুঃখী মানুষের জন্য রাজনীতি করে গেছেন। এ দেশের দরিদ্র মানুষের মুখের গ্রাস যারা কেড়ে খায়, তাদের টুঁটি চেপে ধরতেই হবে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, দুর্নীতি দমনে সরকারের আন্তরিক ইচ্ছার প্রতিফলক ঘটবে। অতঃপর আমরা আশা করব, সরকার দুর্নীতিবিষয়ক বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেসব দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, কলাম লেখক